আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬

খায়বার যুদ্ধ- ১৪: সাফিয়ার স্বপ্নদর্শন বিবাহ ও দাসত্বমোচন!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ১৪৩): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত সতের

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে)

"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।" 

স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর ফুপাত ভাই (সাফিয়া বিনতে আবদুল মুত্তালিবের পুত্র [পর্ব: ১২]) আল-যুবায়ের বিন আল-আওয়ামের মাধ্যমে অমানুষিক নৃশংসতায় কিনানা বিন আবি আল-হুকায়েক-কে নির্যাতন মুহাম্মদ বিন মাসলামা (পর্ব: ৪৮) নামের আর এক অনুসারীর মাধ্যমে খুন করার পর তাঁর কোন অনুসারীকে কিনানা পত্নী সাফিয়া বিনতে হুয়েই বিন আখতাব ও তাঁর এক কাজিন-কে ধরে নিয়ে আসার আদেশ জারি করেছিলেন; কী ধরনের মনোভাবের বশবর্তী হয়ে তাঁর সেই অনুসারী সদ্য খুন হওয়া এই দুই মহিলার স্বামী ও খায়বারের অন্যান্য যে-লোকদের মুহাম্মদের নির্দেশে তাঁর অনুসারীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন, তাদের পাশ দিয়ে এই দুই তরুণীকে মুহাম্মদের কাছে ধরে নিয়ে এসেছিলেন; তাঁদেরকে ধরে নিয়ে আসার প্রাক্কালে পথিমধ্যে কী ঘটনাটি ঘটেছিলো; যখন তাঁদেরকে মুহাম্মদের সম্মুখে ধরে নিয়ে আসা হয়েছিলো, তখন মুহাম্মদ সাফিয়ার এই কাজিনকে কী ভাষায় সম্বোধন করেছিলেন; কী কারণে মুহাম্মদ তাঁর সেই অনুসারীকে মৃদু ভৎর্সনা করেছিলেন - ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

আল-ওয়াকিদির (৭৪৮-৮২২ খ্রিষ্টাব্দ) অব্যাহত বর্ণনার পুনরারম্ভ: [1]
পূর্ব প্রকাশিতের (পর্ব: ১৪২) পর:

দিহায়া আল-কালবি সাফিয়া-কে দেখতে পায় ও তাকে পাওয়ার জন্য সে আল্লাহর নবীর কাছে অনুরোধ করে। যা বলা হয়, তা হলো এই যে, তিনি ধৃত বন্দিনীদের একজন-কে তাকে দেওয়ার ওয়াদা করেন। তিনি সাফিয়ার কাজিন-কে তাকে দান করেন। [5]

আবু আল-কেইন আল-মুযাননির কন্যা হইতে > আবু হারমালার বোন উম্মে আবদুল্লাহ হইতে > আবু হারমালা হইতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইবনে আবি সাবরা আমাকে বলেছেন, তিনি যা বলেছেন: আল্লাহর নবীর পত্নীদের মধ্যে আমি তাঁর যে পত্নীর সাথে ঘনঘন সাক্ষাত করতাম তিনি হলেন সাফিয়া। তিনি আমাকে বলেছেন তাঁর লোকজনদের কথা ও তিনি তাদের কাছে যা শুনেছেন, সেই সব কথা। তিনি আমাকে যা বলেছেন তা হলো:


'যখন আল্লাহর নবী আমাদেরকে বহিষ্কার করে [পর্ব: ৫২],তখন আমরা মদিনা থেকে যাত্রা করি [পর্ব: ৭৫] ও খায়বারে এসে বসতি স্থাপন করি। কিনানা বিন আবি আল-হুকায়েক আমাকে বিবাহ করে ও আল্লাহর নবী এখানে আসার আগে কিছুদিনের জন্যসে ছিল আমার স্বামী। সে আমাকে সুলালিম এর দুর্গে স্থানান্তর করে, সেখানে আমি নিদ্রামগ্ন অবস্থায় যা দেখি, তা হলো - মদিনা থেকে চাঁদটি আমাদের অভিমুখে এসেছে ও তা আমার কোলের ওপর পতিত হয়েছে।আমি তা আমার স্বামী কিনানার কাছে উল্লেখ করি, সে আমার চোখে আঘাত করে ও তা সবুজ বর্ণ ধারণ করে। যখন আমি আল্লাহর নবীর কাছে আসি, তখন তিনি তা দেখেন ও বিষয়টি আমার কাছে জানতে চান, আমি তাঁকে তা অবহিত করাই। [2] [3]

তিনি [সাফিয়া] যা বলেছেন: ইহুদিরা তাদের সন্তানদের নাটার দুর্গগুলো থেকে খালি করে নিয়ে আসে ও তাদেরকে রাখে আল-কাতিবায়। যখন আল্লাহর নবী খায়বারে এসে নাটার দুর্গগুলো দখল করে নেয় [পর্ব: ১৩৮], কিনানা আমার কাছে আসে ও বলে, "মুহাম্মদ নাটা দখল করা শেষ করেছে ও এখানে একজন যোদ্ধাও নেই।" নাটার জনগণদের হত্যা করার প্রাক্কালে ইহুদিদের হত্যা করা হয়েছিল, আরবরা আমাদেরকে বিশ্বাস করেনি।

কিনানা আমাকে স্থানান্তরিত করে নিয়ে আসে আল-নিযার দুর্গে [পর্ব: ১৩৯]। আল্লাহর নবী আল-কাতিবা অগ্রসর হওয়ার আগে আমাদের কাছে আসেন। আল্লাহর নবী আল-কাতিবা [পর্ব: ১৪০] পৌঁছার আগেই আমাকে আল-নিযার দুর্গ থেকে বন্দী করেন।  আল্লাহর নবী আমাকে নিয়ে আসার জন্য ঘোড়া পাঠান, অতঃপর তিনি সন্ধ্যার সময় আমাদের কাছে আসেন ও আমাকে ডেকে পাঠান। আমি নম্রভাবে অবগুণ্ঠিত অবস্থায় আসি ও তাঁর সম্মুখে বসে যাই। তিনি বলেন, "যদি তুমি তোমার ধর্মে বহাল থাকো, আমি সে জন্য তোমাকে বল প্রয়োগ করবো না; কিন্তু তুমি যদি আল্লাহ ও তার রসুলের ধর্ম পছন্দ করো, তবে সেটাই হবে তোমার জন্য অধিক মঙ্গলজনক।"

সাফিয়া বলেছেন: আমি আল্লাহ ও তার রসুল ও ইসলাম ধর্ম মনোনীত করি; অতঃপর আল্লাহর নবী আমাকে মুক্ত করেন, বিবাহ করেন ও তিনি আমার দাসত্ব-মোচন ও দাম্পত্য মূল্য নির্ধারণ করেন। [5] [6]

যখন আল্লাহর নবী মদিনায় ফিরে আসা মনস্থ করেন, তাঁর অনুসারীরা বলে, "সে কি তাঁর পত্নী, নাকি তাঁর রক্ষিতা, তা আমরা আজ যা জানতে পারবো। যদি সে তাঁর পত্নী হয়, তবে তিনি তাকে অবগুণ্ঠিত করবেন; যদি তিনি তা না করেন তবে সে হলো তাঁর রক্ষিতা।" [7] [8]

আল্লাহর নবী যখন যাত্রা শুরু করেন, তিনি আদেশ করেন, আমি যেন অবগুণ্ঠিত হই এবং সবাই যা জানতে পারে, তা হলো - আমি তাঁর পত্নী। তিনি তাঁর ঊরুটি সামনে রাখেন ও আমি আমার পা সেটার ওপর রেখে অশ্বারোহণ করি। আমি তাঁর পত্নীদের দ্বারা যে কারণে পীড়িত হই, তা হলো - তারা আমাকে নিচু চোখে দেখে ও বলে, "এই যে ইহুদি কন্যা।" তবে আমি যা দেখতাম, তা হলো এই যে, আল্লাহর নবী আমার প্রতি ছিলেন সদয় ও উদার। একদিনের কথা, যখন তিনি আমার সাক্ষাতে এসেছিলেন, আমি কাঁদছিলাম। তিনি বলেন, "তোমার কী হয়েছে?" আমি বলি, "আপনার পত্নীরা আমাকে নিচু চোখে দেখে ও বলে, "এই যে ইহুদি কন্যা।" সে [সাফিয়া] বলেছে: আল্লাহর নবী রাগান্বিত হন। তিনি বলেন, "যখন তারা তোমাকে এভাবে বলে অথবা তাচ্ছিল্য করে, তুমি বলো, 'আমার বাবা হলো হারুন ও আমার আঙ্কল হলো মুসা।'"---

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনা: [2] [3]

'ইতিমধ্যে কিনানা বিন আল-রাবি বিন আবুল হুকায়েকের পত্নী থাকা অবস্থায় সাফিয়া যে-স্বপ্নটি দেখে, তা হলো - চাঁদটি তার কোলের ওপর এসে পড়তে যাচ্ছে; সে তার স্বামীকে তা বলে, সে বলে, "এর সরল অর্থ হলো এই যে, তুমি হিজাযের রাজা মুহাম্মদের জন্য লালায়িত (This simply means that you covet the king of the Hijaz, Muhammad)।" সে তার মুখে এমনভাবে ঘুষি মারে যে, তার চোখ কালো হয়ে যায়। যখন তাকে আল্লাহর নবীর কাছে নিয়ে আসা হয়, তখনও সেই দাগটি তার ছিলো; যখন তিনি তা কী কারণে ঘটেছে তা জানতে চান, সে তাঁকে ঘটনাটি বলে।" ---

ইমাম বুখারীর (৮১০-৮৭০ সাল) বর্ণনা:


‘আনাস বিন মালিক হইতে বর্ণিত: আমারা খায়বারে আগমন করি, যখন আল্লাহ তার নবীকে দুর্গের দরজা উন্মুক্ত করতে সাহায্য করে, নববধূ থাকা অবস্থায় যার স্বামীকে খুন করা হয়েছিল, সেই সাফিয়া বিনতে হুয়েই বিন আখতাবের সৌন্দর্যের খবর আল্লাহর নবীকে অবহিত করানো হয়। আল্লাহর নবী তাকে তাঁর নিজের জন্য মনোনীত করেন, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যাত্রা করেন; যখন আমরা সিদ্দ-আস-সাহবা নামক স্থানে এসে পৌঁছোই, সাফিয়া তার রজ:স্রাবের (menses) মাধ্যমে শুদ্ধ হন; অতঃপর আল্লাহর নবী তাকে বিবাহ করেন। এক ছোট চামড়ার মাদুরে 'হাইস' (অর্থাৎ, 'আরবের এক ধরণের খাবার') এর আয়োজন করা হয়। অতঃপর আল্লাহর নবী আমাকে বলেন, "তোমার আশেপাশের লোকদের জন্য আমার দাওয়াত।" সুতরাং, সেটা ছিলো আল্লাহর নবী ও সাফিয়ার বিয়ের ভোজ। তারপর আমরা মদিনার দিকে অগ্রসর হই ও আমি প্রত্যক্ষ করি যে, আল্লাহর নবী তাঁর পোশাকের সাহায্যে তাঁর পেছন দিকে (তাঁর উটের ওপর) তার জন্য এক ধরনের গদি তৈরি করছেন। অতঃপর তিনি তাঁর উটের পাশে বসে পড়েন ও তাঁর হাঁটুটি এমনভাবে রাখেন যাতে সাফিয়া তার ওপরে পা রেখে (উটের ওপর) আরোহণ করতে পারে।‘ [4]


‘আনাস বিন মালিক হইতে বর্ণিত: ------আল্লাহর নবী তাদের যোদ্ধাদের হত্যা করেন, তাদের সন্তান ও মহিলাদের বন্দী করেন। সাফিয়া-কে হস্তগত করে দিহায়া আল-কালবি ও পরবর্তীতে তাকে হস্তগত করে আল্লাহর নবী, যিনি তাকে বিবাহ করেন ও তার [সাফিয়ার] বিবাহের মোহরানা ছিল দাসত্ব হতে মুক্তিদান’।[5] [6]


'আনাস বিন মালিক হইতে বর্ণিত: আল্লাহর নবী খায়বার থেকে প্রত্যাবর্তন কালে সাফিয়া বিনতে হুয়েইয়ের সঙ্গে তিন দিন যাবত অবস্থান করেন, যেখানে তিনি তার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সাফিয়া ছিল তাদের মধ্যে একজন, যাকে অবগুণ্ঠনব্যবহার করার আদেশ জারি করা হয়েছিল।' [7] [8]

- অনুবাদ, টাইটেল ও [**] যোগ - লেখক।


>>> আদি উৎসে মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, আল-ওয়াকিদি, আল-তাবারী ও ইমাম বুখারীর ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা যা জানতে পারি, তা হলো, সাফিয়া বিনতে হুয়েই বিন আখতাব নামের এই অসামান্য সুন্দরী মহিলাটির বিয়ে হয়েছিল মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের এই আগ্রাসী খায়বার আক্রমণের অল্প কিছুদিন পূর্বে। সদ্য বিবাহিত সতের বছর বয়সী এই সাফিয়ার স্বামী কিনানা বিন আল-রাবি বিন আবি আল-হুকয়েক-কে মুহাম্মদ কী কারণে অমানুষিক নৃশংসতায় নির্যাতন ও খুন করেছিলেন, তার বিস্তারিত আলোচনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে (পর্ব: ১৪১); সাফিয়ার স্বামী ও তাঁর অন্যান্য আত্মীয়স্বজনও খায়বার জনপদবাসীদের আরও অনেককে খুন, জখম ও তাঁদের সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত করার পর মুহাম্মদ তাঁদের স্ত্রী ও সন্তানদের বন্দী করে দাস ও যৌনদাসী রূপে রূপান্তরিত করেন। আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, সদ্য বিবাহিত এই সাফিয়া-কে যৌনদাসী হিসাবে প্রথমে হস্তগতকরেছিলেন ‘দিহায়া আল-কালবি নামের মুহাম্মদের এক অনুসারী। পরবর্তীতে যখন এই অসামান্য সুন্দরী সপ্তদশী তরুণীকে মুহাম্মদের কাছে ধরে নিয়ে আসা হয়, মুহাম্মদ তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে তাঁর নিজ যৌনদাসী (রক্ষিতা) হিসাবে মনোনীত করেন! পরিবর্তে তিনি দিহায়া-কে দান করেন সুফিয়ার কাজিনকে। অতঃপর মুহাম্মদ সাফিয়া-কে যে দু'টি বিকল্প প্রস্তাব দেন, তা হলো:

১) ইহুদি অবস্থায় তাঁর পূর্ব ধর্মে অবিরত থাকতে পারা - যার সরল অর্থ হলো, মুহাম্মদেরযৌনদাসী ও রক্ষিতা হয়ে তাঁর বাকি সমস্ত জীবন অতিবাহিত করা; অথবা,

২) মুহাম্মদের বশ্যতা স্বীকার ও তাঁর ধর্মে দীক্ষা লাভ করে মুহাম্মদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দাসত্বমুক্ত হয়ে মুহাম্মদের বহু পত্নীদের একজন হয়ে তাঁর সমস্ত জীবন কাটিয়ে দেওয়া।

মুহাম্মদ তাঁকে এও জানিয়ে দেন যে, তিনি তাঁর ওপর এ ব্যাপারে কোনো জোরজবরদস্তি করবেন না! সিদ্ধান্ত সাফিয়াকেই নিতে হবে: যৌনদাসী, নাকি তাঁর পত্নী ও দাসত্বমুক্ত জীবন - কোনো জোরজবরদস্তি নেই! বুদ্ধিমতী সাফিয়া মুহাম্মদের দ্বিতীয় প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন। আদি উৎসের এই বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, মুহাম্মদের অনুসারীরা জানতেন না যে, সাফিয়া মুহাম্মদের কোন প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তারা অপেক্ষা করে আছেন, তা জানার জন্য। তারা যা জানেন, তা হলো, যদি সাফিয়া অবগুণ্ঠিত অবস্থায় হাজির হন, তবে তিনি হলেন মুহাম্মদের পত্নী, আর যদি তিনি অবগুণ্ঠিত না থাকেন, তবে তিনি হলেন মুহাম্মদের রক্ষিতা। সাফিয়া-কে অবগুণ্ঠিত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তারা নিশ্চিত হন যে, সাফিয়া মুহাম্মদের "সেটাই হবে তোমার জন্য অধিক মঙ্গলজনক" প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। আদি উৎসের ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, সাফিয়া তাঁর এই কর্মের বিনিময়ে দাসত্বমুক্ত হতে পেরেছিলেন এবং এই "দাসত্বমুক্তিই" ছিল এই হতভাগ্য তরুণীটির বিবাহের মোহরানা (দাম্পত্য মূল্য)।

এই ঘটনাটি বর্ণনার মাধ্যমে ইসলাম বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা (অধিকাংশই না জেনে) দাবি করেন যে, সাফিয়ার প্রতি মুহাম্মদ কোনো জোরজবরদস্তি করেননি। কারণ সাফিয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা ছিলো তিনি মুহাম্মদের কোন প্রস্তাবটি গ্রহণ করবেন। মুহাম্মদ-বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা আরও দাবি করেন যে, সাফিয়া স্ব-ইচ্ছায় মুহাম্মদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাঁর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এই দাবির স্বপক্ষে তারা খায়বার যুদ্ধের 'সাফিয়া উপাখ্যানের' যে-বর্ণনাটি হাজির করেন, তা হলো - ওপরে বর্ণিত সাফিয়ার স্বপ্নদর্শন!

আল-ওয়াকিদির বর্ণনায় আমরা যা জানতে পারি, তা হলো, সদ্যবিবাহিত এই সপ্তদশী তরুণীটি এই ঘটনার আগে যে-স্বপ্নটি দেখেছিলেন, তা হলো, "মদিনা থেকে চাঁদটি আমাদের অভিমুখে এসেছে ও তা আমার কোলের ওপর পতিত হয়েছে।" আল-ওয়াকিদি তাঁর এই ঘটনার বর্ণনায় সাফিয়ার স্বামী কিনানার রেফারেন্সে "এই চাঁদ"-এর কোনো অর্থ নির্ধারণ করেননি। অন্যদিকে, মুহাম্মদ ইবনে ইশাক তাঁর বর্ণনায় সাফিয়ার স্বামী কিনানার রেফারেন্সে 'এই চাঁদ'-এর অর্থ নির্ধারণ করেছেন এই বলে, "এর সরল মানে হলো এই যে, তুমি হিজাযের রাজা মুহাম্মদের জন্য লালায়িত।" মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের এই বর্ণনার উদ্ধৃতি দিয়ে ইসলাম বিশ্বাসী পণ্ডিত ও অপণ্ডিতরা দাবি করেন যে, সাফিয়া মুহাম্মদের জন্য ছিলেন লালায়িত ও তিনি স্ব-ইচ্ছায় মুহাম্মদকে পছন্দ করে মুহাম্মদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এখানে কোনো জোরজবরদস্তি ছিলো না!

>> সাফিয়া বিনতে হুয়েই বিন আখতাব ছিলেন মদিনায় বংশ-বংশানুক্রমে অবস্থানরত বানু নাদির গোত্রের এক সদস্যা, এই ঘটনার মাত্র তিন বছর আগে (মার্চ, ৬২৫ সাল) যে-গোত্রের সমস্ত মানুষকে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা প্রায় এক বস্ত্রে বিনা দোষে জোরপূর্বক মদিনা থেকে উৎখাত করে তাঁদের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ লুণ্ঠন করেছিলেন। তখন সাফিয়া ছিলেন ১৪ বছর বয়সের অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু। এই ঘটনার প্রভাব সাফিয়ার শিশু মনে 'আনন্দ যুগিয়ে'মুহাম্মদের প্রতি আকৃষ্ট করেছিলো, এমন চিন্তা, বোধ করি, কোনো উন্মাদেও করবে না। এই সেই সাফিয়া বিনতে হুয়েই বিন আখতাব, এই ঘটনার মাত্র বছর খানেক আগে (মার্চ-এপ্রিল, ৬২৭ সাল) যার অসীম সাহসী পিতা হুয়েই বিন আখতাব কে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা গলা কেটে হত্যা করেছিলেন,বনি কুরাইজার গণহত্যার দিনটিতে! সাফিয়ার পিতা বনি নাদির গোত্র নেতা হুয়েই বিন আখতাব ইচ্ছে করলেই ঐ দিন তাঁর জীবন বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে, খন্দক যুদ্ধ শেষে তাঁর গোত্রের লোকদের কাছে ফিরে না গিয়ে, মৃত্যু অবধারিত জেনেও, বনি কুরাইজার গোত্রের লোকেরা মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে মিত্রবাহিনীকে কোনোরূপ সাহায্য না করা সত্বেও (বিস্তারিত: পর্ব ৭৭-৮৬)বনি কুরাইজার লোকদের সাথে অবস্থান করেছিলেন, যার বিস্তারিত আলোচনা "যৌনাঙ্গের লোম গজানো সকল পুরুষকে খুন (পর্ব: ৯২)" পর্বে করা হয়েছে। তখন সাফিয়ার বয়স ছিলো ১৬ বছর! এই ঘটনার প্রভাব সাফিয়ার শিশু মনে 'আনন্দ যুগিয়ে' মুহাম্মদের প্রতি আকৃষ্ট করেছিলো, এমন চিন্তা, বোধ করি, শুধুমাত্র বদ্ধ উন্মাদের পক্ষেই করা সম্ভব! নিজ পিতার হত্যাকারী সেই মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ তাঁর সাঙ্গদের নিয়ে এসেছেন আবারও তাঁদেরকে আক্রমণ, নির্যাতন, খুন ও বন্দী করে তাঁদের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি লুট করতে! সদ্য বিবাহিত এই তরুণীর স্বামী ও অন্যান্য পরিবার সদস্যদের তারা খুন করেছেন অমানুষিক নৃশংসতায়! এই ঘটনার প্রভাব সাফিয়ার শিশু মনে 'আনন্দ যুগিয়ে' মুহাম্মদের প্রতি আকৃষ্ট করেছিলো, এমন চিন্তা এক সীমাহীন তামাশা ছাড়া আর কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই!

শুধু তাইই নয়,
যে সময়টিতে মুহাম্মদের এই খায়বার আক্রমণটি সংঘটিত হয়েছিলো, সে সময়টিতে মুহাম্মদ কোনো "হিজাযের রাজা (king of the Hijaz)" ছিলেন না। তিনি ছিলেন খন্দক যুদ্ধে নাজেহাল ও বানু কুরাইজার গণহত্যার নায়ক! তিনি ছিলেন মাত্র মাস তিনেক আগে কুরাইশদের সঙ্গে অবমাননাকর "হুদাইবিয়া সন্ধি চুক্তি" স্বাক্ষর শেষে ফিরে আসা এক পরাজিত সৈনিক। এমত পরিস্থিতিতে সাফিয়ার স্বপ্ন দর্শনের সেই "চাঁদ"-কে তাঁর স্বামী "হিজাযের রাজা মুহাম্মদ" রূপে ব্যাখ্যা করেছিলেন, মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের এই উদ্ভট বর্ণনা আরব্য উপন্যাসের যাবতীয় উদ্ভট বর্ণনাকেও হার মানায়। কী কারণে শুধুমাত্র মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের খায়বার হামলা উপাখ্যানের বর্ণনাটি পড়ে খায়বারের জনপদ-বাসীদের ওপর মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের নৃশংসতার ধারনা পাওয়া সম্ভব নয়, তার আলোচনা "রক্তের হোলি খেলা - ‘নাইম’ দুর্গ দখল (পর্ব:১৩৪)!" পর্বে করা হয়েছে।

>> ইমাম বুখারীর ওপরে বর্ণিত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে খায়বার বিজয় শেষে মদিনা প্রত্যাবর্তন কালে "সাফিয়া তার রজ:স্রাবের মাধ্যমে শুদ্ধ হন; অতঃপর আল্লাহর নবী তাকে বিবাহ করেন।" অন্যদিকে মুহাম্মদ তাঁর আল্লাহর উদ্ধৃতি দিয়ে কুরানে ঘোষণা দিয়েছেন:

২:২২৮ - 'আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। ---'

২:২৩৪ - 'আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই।--'

সাফিয়া-কে বিবাহ করার সময় মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ "তাঁর আল্লাহর" এই বিধানটি স্পষ্টতই ভঙ্গ করেছিলেন। তিনি সাফিয়া-কে বিবাহ করার পূর্বে তাঁর "তিন হায়েয বা চার মাস দশ দিন পর্যন্ত" অপেক্ষা করেননি।

মুহাম্মদের আগ্রাসী, অনৈতিক, নৃশংস, অমানবিক কর্মকাণ্ডের বৈধতা প্রদানে যুগে যুগে মুহাম্মদ অনুসারীরা এমনি "সীমাহীন তামাশা"-র আশ্রয় নিয়ে চলেছেন। পৃথিবীর যাবতীয় ইসলাম-বিশ্বাসীরা হলো "মুহাম্মদের দাস!" কী কারণে এই দাসত্ব থেকে তাঁদের মুক্তি নেয় তার আলোচনা 'জ্ঞান তত্ত্ব (পর্ব ১০)" পর্বে করা হয়েছে।  

ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে আল-ওয়াকিদির মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি। ইবনে ইশাকের মূল ইংরেজি অনুবাদ ইন্টারনেটে বিনামূল্যে ডাউনলোড লিঙ্ক: তথ্যসূত্র [2]

The detailed narrative of Al-Waqidi (continued): [1]

Dihya al-Kalbi had seen Safiyya and asked the Messenger of God for her. It was said that he had promised him a girl from those taken prisoner in Khaybar. He gave him Safiyya’s cousin. Ibn Abi Sabra related to me from Abu Harmala, from his sister Umm Abdullah from the daughter of Abu al- Qayn al-Muzanni, who said: Among the wives of the Prophet, I used to visit Safiyya frequently. She told me about her people and what she heard from them. She said:

We set out from Medina when the Messenger of God expelled us and we stayed in Khaybar. Kinana b Abi al-Huqayq married me and he was my husband for some days before the Messenger of God arrived. He moved me to his fortress in Sulalim where I saw in my sleep that the moon had approached from Yathrib and fallen in my lap. I mentioned that to Kinana, my husband, and he struck my eye and it turned green. The Messenger of God looked at it when I came to him and he asked me, and I informed him. She said: The Jews placed their children in al-Katiba, and they emptied the fortress of Nata of their children. When the Messenger of God arrived in Khaybar and took the fortresses of Nata, Kinana visited me and said, “Muhammad has finished with Nata and there is not a single warrior here.” The Jews were killed when the people of Nata were killed and the Arabs did not believe us. The Kinana moved me to the fortress of al-Nizar. The Messenger of God moved to us before al-Katiba. I was taken prisoner from al-Nizar before the prophet reached al-Katiba. The Messenger of God sent me to his saddle, then he came to us in the evening and called to me. I came modestly veiled, and sat before him. He said, “If you persist in your religion, I will not force you from it, but if you choose God and His Messenger it will be better for you.”

Safiyya said: I chose God and His Messenger and Islam, and the Messenger of God set me free, and married me, and he made manumission of my bridal price. When the Prophet desired to set out to Medina his companion said, “Today we will know whether she is his wife or concubine. If she is his wife he will cover her; if not she is his concubine.” When the Prophet set out, he commanded that I be veiled and it was known that I was his wife. He placed his thigh and I placed my foot on it, and I found it great that I placed my thigh on his, and rode. I suffered his wives who looked down on me saying, “O daughter of Jew.” But I used to see the Messenger of God, and he was gracious and generous to me.  One day when he visited me, I was crying. He said, “What is the matter with you?” I said, “Your wives look down on me and say, ‘O daughter of Jew.’” She said: I saw that the Messenger of God was angry. He said, “When they speak to you or dismiss you, say, ‘My father is Aaron and my uncle, Moses.’” --  

(চলবে)

[কুরানের উদ্ধৃতি সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হারাম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা  থেকে নেয়া, অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট ইংরেজি অনুবাদকারীর ও চৌত্রিশ-টি বিভিন্ন ভাষায় পাশাপাশি অনুবাদ এখানে]

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1]“কিতাব আল-মাগাজি”- লেখক:  আল-ওয়াকিদি (৭৪৮-৮২২ খৃষ্টাব্দ), ed. Marsden Jones, লন্ডন ১৯৬৬; ভলুম ২, পৃষ্ঠা ৬৭৪-৬৭৫; ইংরেজি অনুবাদ: Rizwi Faizer, Amal Ismail and Abdul Kader Tayob; ISBN: 978-0-415-86485-5 (pbk); পৃষ্ঠা ৩৩২

[2] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৫১৫

[3] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৮,ইংরেজী অনুবাদ: Michael Fishbein, University of California, Los Angeles, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-7914-3150—9 (pbk), পৃষ্ঠা (Leiden) ১৫৮২

Narrated Anas bin Malik: We arrived at Khaibar, and when Allah helped His Apostle to open the fort, the beauty of Safiya bint Huyai bin Akhtaq whose husband had been killed while she was a bride, was mentioned to Allah's Apostle. The Prophet selected her for himself, and set out with her, and when we reached a place called Sidd-as-Sahba,' Safiya became clean from her menses then Allah's Apostle married her. Hais (i.e. an 'Arabian dish) was prepared on a small leather mat. Then the Prophet said to me, "I invite the people around you." So that was the marriage banquet of the Prophet and Safiya. Then we proceeded towards Medina, and I saw the Prophet, making for her a kind of cushion with his cloak behind him (on his camel). He then sat beside his camel and put his knee for Safiya to put her foot on, in order to ride (on the camel).

Narated By Anas bin Malik: Allah's Apostle (p.b.u.h) offered the Fajr prayer when it was still dark, then he rode and said, 'Allah Akbar! Khaibar is ruined. When we approach near to a nation, the most unfortunate is the morning of those who have been warned." The people came out into the streets saying, "Muhammad and his army." Allah's Apostle vanquished them by force and their warriors were killed; the children and women were taken as captives. Safiya was taken by Dihya Al-Kalbi and later she belonged to Allah's Apostle go who married her and her Mahr was her manumission.

Narrated 'Abdul 'Aziz bin Suhaib: Anas bin Malik said, "The Prophet took Safiya as a captive. He manumitted her and married her." Thabit asked Anas, "What did he give her as Mahr (i.e. marriage gift)?" Anas replied. "Her Mahr was herself, for he manumitted her."

Narrated By Anas bin Malik: The Prophet stayed with Safiya bint Huyai for three days on the way of Khaibar where he consummated his marriage with her. Safiya was amongst those who were ordered to use a veil.

Narrated Anas: The Prophet stayed for three nights between Khaibar and Medina and was married to Safiya. I invited the Muslim to his marriage banquet and there was neither meat nor bread in that banquet but the Prophet ordered Bilal to spread the leather mats on which dates, dried yogurt and butter were put. The Muslims said amongst themselves, "Will she (i.e. Safiya) be one of the mothers of the believers, (i.e. one of the wives of the Prophet) or just (a lady captive) of what his right-hand possesses" Some of them said, "If the Prophet makes her observe the veil,then she will be one of the mothers of the believers (i.e. one of the Prophet's wives), and if he does not make her observe the veil, then she will be his lady slave." So when he departed, he made a place for her behind him (on his and made her observe the veil). 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন