লিখেছেন পুতুল হক
ইসলাম একটি উগ্র সামরিক ধর্ম। প্রথমেই কঠিন শপথবাক্য পাঠ করিয়ে নেয়া হয় - এই শপথ যে ভাঙবে, তার শাস্তি মৃত্যু। মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রথমেই এর অনুসারীদের ধারণা দেয়া হয় যে, তারা উচ্চ শ্রেণীর আর বাকি ধর্মের অনুসারীরা নিম্ন শ্রেনীর। এই কথাটি তারা শুধু বিশ্বাসই করে না, আজীবন প্রচারও করে।
নেতার আদেশ বিনাবাক্যে পালন সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনীয় নীতি। ইসলামের খলিফা কোরানবিরোধী কিছু না করলে তার আদেশের বিরুদ্ধে যাওয়া যায় না। দিনে পাঁচবার এই বাহিনীর সদস্যরা সমবেত হয়। আছে একমাস না খেয়ে থাকার চর্চা। ক্ষুধার্ত অবস্থায় সামরিক কুচকাওয়াজ আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়।
আল্লা একটি মিশন দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে মুসলমানদের, তা হলো - পুরো পৃথিবীতে আল্লার শাসন/আইন কায়েম। দিনে পাঁচবার তাদের মনে করিয়ে দেয়া হয় শপথের কথা, মিশনের কথা। ভিন্ন ধর্মের বা নাস্তিক মানেই ইসলামের শত্রু। শত্রু কখনো ক্ষমা পাবে না। শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ের জন্য শত্রু সম্পর্কে মুসলমানের মনে তীব্র ঘৃণা জীবন্ত অবস্থায় থাকে আজীবন। যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকের মনোবল ধরে রাখার জন্য টনিক হিসেবে রাখা আছে নারী তথা যৌনদাসী।
ইসলামের যোদ্ধারা তাই যখন-তখন তাদের শত্রু হত্যা করতে পারে। পেছন থেকে হোক বা বিনা আক্রমণে হোক। এই মিশনের আরও একটি দিক হলো - পার্থিব জীবন মুসলমানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মিশন শেষে যে জীবন মানে পরকালই এখানে শুধুমাত্র গুরুত্ব পায়।যোদ্ধাদের জন্য সে জগতে আছে ভোগ-বিলাসের সীমাহীন সরবরাহ।
এই বাহিনীতে যোগ দেয়ার সাথে সাথেই সব মুসলমানের কাছে তার পরিবার, দেশ বা জাতির চাইতে আল্লা এবং তার রাসুল তথা ইসলাম বড় হয়ে দাঁড়ায়। ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার পথে পুত্র বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে পিতা তাঁকে হত্যা করবে বা পিতা বাধা হয়ে দাঁড়ালে পুত্র তাকে হত্যা করবে - এমনই কঠোর সেই শপথ। ইসলামের জন্য পৃথিবীর একপ্রান্তে যুদ্ধ হলে অপর প্রান্ত থেকে সৈনিকদের যেতে বলা হয়ে থাকে। ইসলামের সৈনিকরা কঠিন আত্মিক সম্পর্ক অনুভব করে পরস্পরের প্রতি।
ইসলামের সৈনিকেরা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় যে যুদ্ধ করে যাচ্ছে, তা আসলে একই সুতোয় গাঁথা। একই আদর্শের জন্য তারা লড়াই করছে। এসব বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। তাদের মধ্যে যুদ্ধ-কৌশলের তফাৎ থাকতে পারে, কিন্তু লক্ষ্য সবার এক: তা হলো - আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা। এ কারণেই তারা পৃথিবীতে এসেছে। এই মিশনে সফলতা না আসা পর্যন্ত তারা থামবে না। আল্লা তাদের কথা দিয়েছে - মুসলমানরাই বিজয়ী হবে। কাজেই জয় সম্পর্কে তারা নিঃসন্দেহ। আল্লা কখনো ভুল হতে পারে না।
আল্লা অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা মুসলমান সৃষ্টি করেছে, আবার কাফের/নাস্তিকও সৃষ্টি করেছে। আবার মুসলমানদের বলেছে কাফের হত্যা করে আল্লার শাসন প্রতিষ্ঠা করতে এবং কথা দিয়েছে মুসলমানদের জয় নিশ্চিত। আল্লা কখনো মিথ্যা বলতে পারে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন