আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬

বিশ্বাসের দরজায় করাঘাত!: পর্ব ০৩ - (আমার গায়ে যত দুঃখ সয়!)

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ


আমি শিল্পী নই, তবু একটি গান দিয়ে শুরু করি!

আমার গায়ে যত দুঃখ সয়,
বন্ধুয়ারে করো তোমার মনে যাহা লয়..
নিঠুর বন্ধুরে
বলেছিলে আমার হবে
মন দিয়েছি এই ভেবে
সাক্ষী কেউ ছিল না সে সময়
ও হো বন্ধুরে…
সাক্ষী শুধু চন্দ্র তারা 
একদিন তুমি পড়বে ধরা রে বন্ধু
ত্রিভুবনের বিচার যেদিন হয় রে বন্ধু 
বন্ধুয়ারে করো তোমার মনে যাহা লয়!

এটুকুই থাক। কিন্তু হঠাৎ এ গান কেনো? চলুন, উত্তর খুঁজি:

আয়েশা নবী মুহাম্মদের সবচেয়ে প্রিয় পত্নী ছিলেন। মুহাম্মদ ৫১ বছর বয়সে যখন তাকে বিবাহ করেন, তখন আয়েশা'র বয়স ছিল ৬ বছর, আর ১৮ বছর বয়সে আয়েশা বিধবা হন! জীবনে প্রচুর যুদ্ধ এবং মানুষের কষ্টকর মৃত্যু দেখেছেন আয়েশা। নিজে যুদ্ধ করছেন মুহাম্মদের চাচাতো ভাই এবং মেয়েজামাই খলিফা আলীর বিরুদ্ধে; যে যুদ্ধে ১০ হাজার সাহাবী মারা যান।

তৎকালীন আরবে চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল অপ্রতুল, যে কারণে আগুনে পোড়া, পানিতে ডোবা, প্লেগ (বসন্ত) ও পেটের পীড়ায় মৃতদেরকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে; কারণ এসব মৃত্যুকে সবচেয়ে কষ্টকর মৃত্যু হিসাবে দেখা হতো প্রাচীন আরবে!

অনেকেই হয়ত জানেন, মুহাম্মদকে খাইবার যুদ্ধের সময় বিষ খাওয়ানো হয়! এই বিষক্রিয়ায় মুহাম্মদ ক্রমাগত অসুস্থ হতে থাকেন; এবং জীবনের শেষ কয়েকটা বছর ক্রমাগত কষ্টে ভুগতে থাকেন; খাইবার-পরবর্তী সময়ে উমরা হজ্জ করার সময়, মক্কা বিজয় এবং বিদায় হজ্জের সময়কালীন তার শারীরিক কষ্টের বিবরণ হাদিসে পাওয়া যায় (অন্য কোনো পর্বে বিস্তারিত); কিন্তু মুহাম্মদের মৃত্যুর সময়কালীন এই কষ্টের পরিমাণ হয়ে দাঁড়ায় অবর্ণনীয়! এতটাই কঠিন কষ্টে ভুগতে থাকেন মুহাম্মদ যে, তাঁর মনে হতে থাকে, খাইবারের বিষ তার গ্রীবা {গলা/রক্তধমনী/মহাধমনী} কেটে দিয়েছে!
বুখারি, খণ্ড ৫, বই ৫৯, হাদিস ৭১৩: Narrated 'Aisha: The Prophet in his ailment in which he died, used to say, "O 'Aisha! I still feel the pain caused by the food I ate at Khaibar, and at this time, I feel as if my aorta is being cut from that poison."
মৃত্যু-পূর্ববর্তী সময়ে মুহাম্মদের যন্ত্রনার বর্ণনা একাধিক হাদিসে পাওয়া যায় (অন্য কোনো পর্বে বিস্তারিত) এবং তা খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যায়, মুহাম্মদ কতটা জটিল মৃত্যুযন্ত্রণায় ভুগেছেন! তবে সবকিছুকে হিমালয় চূড়ায় নিয়ে যায় পরিণত বয়সের আয়েশার একটি বক্তব্য! আয়েশা ৬৫ বছর বেঁচে ছিলেন, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুযন্ত্রণা দেখেছেন। এই নবীপত্নী যখন বলেন, তিনি তাঁর জীবনে মুহাম্মদের চেয়ে বেশি মৃত্যুকষ্ট (রোগকষ্ট) কাউকে পেতে দেখেননি; তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না, কতখানি মৃত্যুকষ্ট পেয়ে নবী মুহাম্মদ মারা গেছেন! 


এখন প্রশ্ন হচ্ছে: যাকে সৃষ্টি না করলে আল্লাতালা (!) এই জগৎ সৃষ্টি করতেন না, যাকে আল্লা (!) বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছেন; তাঁকে কেন এত রোগযাতনা ভোগ করতে হবে? কেন মুহাম্মদ'কে বলতে হবে: "যেন আমার গ্রীবা কেটে দেওয়া হয়েছে"! মুহাম্মদকে এত কষ্ট-মৃত্যু দেওয়ার পেছনে আল্লার (!) কী এমন প্রেম প্রকাশ পায়? কেন মুহাম্মদের মৃত্যু-সময়ের প্রিয় গান হবার যোগ্যতা রাখে:
আমার গায়ে যত দুঃখ সয়,
বন্ধুয়ারে করো তোমার মনে যাহা লয়!

আমার তো কিছু বোঝা হয়ে উঠলো না। মুমিন মুসলমানদের কাছ থেকে উত্তরটা জানতে ইচ্ছা করে: "মুহাম্মদের প্রতি আপনাদের আল্লার এ কেমন ভালবাসা?"

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন