লিখেছেন সাঈদুর রহমান
একদা আল্লা আরশে বসে বসে অবসাদ বোধ করছিলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন, পৃথিবীটাকে এবার ধ্বংস করে দেবেন। তো ইসরাফিলকে হুকুম দিলেন শিঙায় ফুঁক দিতে। নিমিশেই পৃথিবী ধবংস হয়ে গেল।
এবার বিচারের পালা। সবাই লাইন করে দাড়িয়ে আছে। এক এক করে বিচারকার্য চলছে। একজন দাঁড়িওয়ালা ব্যক্তির সময় এসেছে। আল্লা জিজ্ঞাসা করলেন:
- নাম?
- আল্লা হুজুর!
- আল্লা হুজুর তো আমি! তোমার নাম কী?
- কুদ্দুস। ইয়ে, আব্দুল কুদ্দুস... মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস।
- হুম। (এক ফেরেশতাকে ইশারা করে) খাতা খোলো।
ফেরেশতা জানালো:
- আল্লা হুজুর, উনি একজন হাজী। তয় জোয়ানকালে খুন, ধর্ষণ, হিন্দুদের ঘরবাড়ি পুড়ানোসহ অনেক কাজে জড়িত ছিলেন। পরে তওবা করেছে। আপনি মাফও করে দিয়েছিলেন।
- হুম, কোনো শিরক করেছে?
- না, হুজুর, পাক্কা মুসলিম ছিল। নামাজ পড়েছে, রোজা রেখেছে, হজ্জ পালন করেছে।
- হুম। জান্নাতে পাঠাও।
পেছন থেকে এক নারী দৌড়ে এলেন। বললেন:
- আল্লা হুজুর, ঐ লোক আমার মা-বাপরে খুন করছে, আমারে ধর্ষণ করছে। আমি আদালতে এর বিচার না পেয়ে আপনার কাছে ফরিয়াদ করেছিলাম। আজকের দিনে বিচার পাব বলে আশায় বুক পেতে ছিলাম। দোহাই আপনার, ওরে দোযকে পাঠান।
ফেরেশতা তাঁকে ধমক দিয়ে বললো:
- ওই মাইয়া, তুমি লাইন ছাইড়া দৌড়ে আইছো ক্যান? লাইনে যাও! তোমার সময় আইব, তখন কইবা।
- কিন্তু...
- কোনো কিন্তু নাই, যাও। এক্ষণ যাও।
আল্লা মেয়েটিকে বললেন:
- দাঁড়াও। দেখো মেয়ে, আমি একবার যা বলে দিসি, তা আর বদলানো সম্ভব না। তাছাড়া সে তওবা করছে, হজ্জও করছে। আমি তাই তারে মাফ করে দিছি। আমি শিরক ছাড়া অন্য সব গোনাহ মাফ করে দিই। আমি ক্ষমাশীল, আমি দয়ালু।
- কিন্তু, আল্লা হুজুর...
- কোনো কিন্তু নাই! (ফেরেশতার দিকে ফিরে) ওর খাতা খোলো...
ফেরেশতা জানালো:
- হুজুর, নাচা-গানা করত। নামাজের সময় সিনেমার শুটিং-এ কোমর দোলাইয়া পরপুরুষের লগে নাচানাচি করত। হজ্জও করে নাই, শরীর নষ্ট হয়ে যাবে বইলা রোজাও ঠিক মত করে নাই। ইফতারির সময় হইলে ঠিকই লিপষ্টিক পইড়া সেলফি আফলোড দিত।
- কী! এই বিষয়? দোররা মাইরা জলদি দোযকে পাঠাও! ওর বিচার আবার কী!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন