লিখেছেন শাহিন মন্ডল
আমরা তখন ক্লাস টেনে পড়ছি, চাতরা স্কুলের পাশে এক দাদার সাথে পরিচয় হয়েছিলো। ভালোই সময় দিতো আমাদেরকে। গেলো বছর একদিন থেকে তাকে কেমন মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখেছি, চাপাচাপি করে জানতে পেরেছিলাম, অভিদা নাকি এক মুসলিম মেয়েকে ভালোবাসতো এবং সেই মেয়েটার অনিচ্ছা সত্ত্বেও নাকি বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়ির লোক কাফিরের সাথে তাদের মেয়ের বিয়ে দেবে না। খুব খারাপ লাগতো অভিদার সামনে যেতে, ঐরকম হতাাশ ওর মুখে দেখতে পারতাম না,শুধু ভাবতাম - কী বিষাক্ত নিয়ম মানুষকে ভাগ করে দেওয়ার! ধর্ম মানুষকে কতোটা শান্তি দিয়েছে? এই ঘটনার জন্য দায়ী ধর্ম। যে ধর্ম প্রেমে বাধা দেয়, মানুষে-মানুষে বিভেদ টেনে আনে, সে ধর্ম থাকার কী দরকার? আপনারা যারা ধার্মিক হয়েও সহিষ্ণুতা, সেকুলারিজম আর প্রেমের বাণী প্রচার করে থাকেন, তাঁরা কি বোঝেন না যে, আজ ধর্ম আছে বলেই বিভেদ আছে? আপনাদের কাছে তাই প্রশ্ন: আপনাদের লজ্জা নেই? যখন সিনেমায় দেখানো হয় ভিন্ন ধর্মের অভিনেতা, অভিনেত্রীর প্রেমের গপ্পো, তখন তো বেশ চেটেপুটে উপভোগ করেন, খবরে যখন দেখেন বাড়ি থেকে মেনে না নেওয়ায় আত্মহত্যা করেছে ভিন্নধর্মের প্রেমিক-প্রেমিকা, তখন তো ভ্রু কুচকে অনেক ভাষণ দেবেন, আর নিজের ভাইবোনের বেলায়? সত্যি আপনাদের লজ্জা নেই, লজ্জা শব্দটাও আপনাদের কাছে যেতে লজ্জা পায়। এর চেয়ে আর বেশি কী বলবো! শুধু বিখ্যাত দু'টো লাইন মনে পড়ে গেলো, "ধর্মটাকেই চিতায় তোলো, ধর্মটাকেই কবর দাও।"
ধর্ম! হ্যাঁ, ধর্ম! এই ধর্মের তো বহু অর্থ দেখেছি কিন্তু এক কথায় আমরা যেটা বুঝি, মানে সনাতন, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সেগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করবো ভাবছিলাম। আচ্ছা, এই ধর্মগুলো থাকায় কার কী সুবিধা হচ্ছে? শুধুমাত্র এই ধর্ম ভিন্ন হলেই বিভেদ, দাঙ্গা শুরু হয়, আর লাশ লুটে খায় ধর্ম ও ধার্মিকের দল। আপনি কী বলবেন? আপনি সহিষ্ণু ও সেকুলার ধার্মিক। আচ্ছা, ধরে নিলাম তা-ই। আপনি খুব ভালো ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ, এখন আপনার কাছে প্রশ্ন: পারবেন আপনার মেয়ে অথবা বোনকে ভিন্নধর্মের ছেলের সাথে দেখতে? পারবেন না তো!
ধর্মের বিষ যে আপনার শরীরে, কীভাবে পারবেন! আচ্ছা, জন্মের পর কি ধর্ম নিজে বেছে নিয়েছিলেন? আপনাদের মত তথাকথিত সেকুলারদের মুখেই তো বলতে শুনি, "কোনো ধর্মই খারাপ নয়।" যদি তাই-ই হয়, তাহলে বিধর্মীকে বিবাহ করাকে কোনো ধর্ম স্বীকৃতি দেয় না কেনো? আজ ধর্ম আছে বলেই ধর্মীয় মৌলবাদ আছে, তাই নয় কি?
কুকুর-বেড়ালদের মধ্যে এমন কোনো ধর্ম নেই বলেই তাদের ভেতরে বৃহত্তর কোনো দাঙ্গা বাধে না। তাহলে আমরা কুকুর-বেড়ালেরও অধম নই কি? ধর্ম নামক যে বিষাক্ত মাদক ঘটায় বিরোধের উত্পত্তি, সেটা কীভাবে প্রেমের কথা বলে, বুঝি না। আমরা নাকি সভ্য জাতি। মানুষ নাকি সভ্য! হাস্যকর! বস্ত্র পরিধান করলেই সভ্য হওয়া যায় না, বরং কুকুর-বেড়াল মানুষের থেকেও সভ্য কারণ তারা ধর্মের মত অপ্রয়োজনীয় কিছু মানে না, আর তাই নিয়ে দাঙ্গাও করে না।
যে বিষয় নিয়ে শুরু করেছিলাম - একটা মানুষ আর একটা মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারবে না, কারন তাদের ধর্ম আলাদা, এখানে ধর্ম নিজেই বলে দিচ্ছে "যে মুসলিম সে মুসলিম", "যে হিন্দু সে হিন্দু", "যে খ্রীষ্টান সে খ্রিষ্টান" - অর্থাৎ তারা কেউই মানুষ নয়, তা না হলে মানুষের সাথে মানুষের বিবাহরীতি থাকতো, হিন্দুর সাথে হিন্দু বা মুসলিমের সাথে মুসলিম - এই বিবাহরীতি থাকতো না।
আমরা তখন ক্লাস টেনে পড়ছি, চাতরা স্কুলের পাশে এক দাদার সাথে পরিচয় হয়েছিলো। ভালোই সময় দিতো আমাদেরকে। গেলো বছর একদিন থেকে তাকে কেমন মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখেছি, চাপাচাপি করে জানতে পেরেছিলাম, অভিদা নাকি এক মুসলিম মেয়েকে ভালোবাসতো এবং সেই মেয়েটার অনিচ্ছা সত্ত্বেও নাকি বিয়ে হয়ে গেছে। বাড়ির লোক কাফিরের সাথে তাদের মেয়ের বিয়ে দেবে না। খুব খারাপ লাগতো অভিদার সামনে যেতে, ঐরকম হতাাশ ওর মুখে দেখতে পারতাম না,শুধু ভাবতাম - কী বিষাক্ত নিয়ম মানুষকে ভাগ করে দেওয়ার! ধর্ম মানুষকে কতোটা শান্তি দিয়েছে? এই ঘটনার জন্য দায়ী ধর্ম। যে ধর্ম প্রেমে বাধা দেয়, মানুষে-মানুষে বিভেদ টেনে আনে, সে ধর্ম থাকার কী দরকার? আপনারা যারা ধার্মিক হয়েও সহিষ্ণুতা, সেকুলারিজম আর প্রেমের বাণী প্রচার করে থাকেন, তাঁরা কি বোঝেন না যে, আজ ধর্ম আছে বলেই বিভেদ আছে? আপনাদের কাছে তাই প্রশ্ন: আপনাদের লজ্জা নেই? যখন সিনেমায় দেখানো হয় ভিন্ন ধর্মের অভিনেতা, অভিনেত্রীর প্রেমের গপ্পো, তখন তো বেশ চেটেপুটে উপভোগ করেন, খবরে যখন দেখেন বাড়ি থেকে মেনে না নেওয়ায় আত্মহত্যা করেছে ভিন্নধর্মের প্রেমিক-প্রেমিকা, তখন তো ভ্রু কুচকে অনেক ভাষণ দেবেন, আর নিজের ভাইবোনের বেলায়? সত্যি আপনাদের লজ্জা নেই, লজ্জা শব্দটাও আপনাদের কাছে যেতে লজ্জা পায়। এর চেয়ে আর বেশি কী বলবো! শুধু বিখ্যাত দু'টো লাইন মনে পড়ে গেলো, "ধর্মটাকেই চিতায় তোলো, ধর্মটাকেই কবর দাও।"
ধর্ম! হ্যাঁ, ধর্ম! এই ধর্মের তো বহু অর্থ দেখেছি কিন্তু এক কথায় আমরা যেটা বুঝি, মানে সনাতন, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সেগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করবো ভাবছিলাম। আচ্ছা, এই ধর্মগুলো থাকায় কার কী সুবিধা হচ্ছে? শুধুমাত্র এই ধর্ম ভিন্ন হলেই বিভেদ, দাঙ্গা শুরু হয়, আর লাশ লুটে খায় ধর্ম ও ধার্মিকের দল। আপনি কী বলবেন? আপনি সহিষ্ণু ও সেকুলার ধার্মিক। আচ্ছা, ধরে নিলাম তা-ই। আপনি খুব ভালো ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ, এখন আপনার কাছে প্রশ্ন: পারবেন আপনার মেয়ে অথবা বোনকে ভিন্নধর্মের ছেলের সাথে দেখতে? পারবেন না তো!
ধর্মের বিষ যে আপনার শরীরে, কীভাবে পারবেন! আচ্ছা, জন্মের পর কি ধর্ম নিজে বেছে নিয়েছিলেন? আপনাদের মত তথাকথিত সেকুলারদের মুখেই তো বলতে শুনি, "কোনো ধর্মই খারাপ নয়।" যদি তাই-ই হয়, তাহলে বিধর্মীকে বিবাহ করাকে কোনো ধর্ম স্বীকৃতি দেয় না কেনো? আজ ধর্ম আছে বলেই ধর্মীয় মৌলবাদ আছে, তাই নয় কি?
কুকুর-বেড়ালদের মধ্যে এমন কোনো ধর্ম নেই বলেই তাদের ভেতরে বৃহত্তর কোনো দাঙ্গা বাধে না। তাহলে আমরা কুকুর-বেড়ালেরও অধম নই কি? ধর্ম নামক যে বিষাক্ত মাদক ঘটায় বিরোধের উত্পত্তি, সেটা কীভাবে প্রেমের কথা বলে, বুঝি না। আমরা নাকি সভ্য জাতি। মানুষ নাকি সভ্য! হাস্যকর! বস্ত্র পরিধান করলেই সভ্য হওয়া যায় না, বরং কুকুর-বেড়াল মানুষের থেকেও সভ্য কারণ তারা ধর্মের মত অপ্রয়োজনীয় কিছু মানে না, আর তাই নিয়ে দাঙ্গাও করে না।
যে বিষয় নিয়ে শুরু করেছিলাম - একটা মানুষ আর একটা মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারবে না, কারন তাদের ধর্ম আলাদা, এখানে ধর্ম নিজেই বলে দিচ্ছে "যে মুসলিম সে মুসলিম", "যে হিন্দু সে হিন্দু", "যে খ্রীষ্টান সে খ্রিষ্টান" - অর্থাৎ তারা কেউই মানুষ নয়, তা না হলে মানুষের সাথে মানুষের বিবাহরীতি থাকতো, হিন্দুর সাথে হিন্দু বা মুসলিমের সাথে মুসলিম - এই বিবাহরীতি থাকতো না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন