আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬

কুরান চিপে চিপে বিজ্ঞান বের করার কৌশল

লিখেছেন আক্কাস আলী


১. আল্লাহ ওরফে মুহাম্মদ: "আসমান থেইক্যা পানি পড়ে... হক মাওলা!"
আধুনিক ইসলামবাজ: "আলহামদুলিল্লাহ, কুরানে পানিচক্রের নিখুঁত বর্ণনা রয়েছে!"

২. আল্লাহ ওরফে মুহাম্মদ: "চন্দ্র আর সূর্য ঘুরতেছে।"
আধুনিক ইসলামবাজ: "কুরানে পৃথিবীসহ সকল গ্রহ-নক্ষত্রের নিজ নিজ কক্ষপথে ঘূর্ণনের কথা বলা আছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের মারাত্মক উৎস আল কুরান।"

৩. আল্লাহ ওরফে মুহাম্মদ: "বীর্য দিয়াই সন্তান পয়দা হয়!"
আধুনিক ইসলামবাজ: "১৪০০ বছর আগের এক গ্রন্থে ভ্রূণতত্ত্বের বর্ণনা আছে... আছে জেনেটিক্স... চিল্লাইয়া কন - সুবহানাল্লাহ!"

সরিষার দানা যেভাবে চিপ দিয়া তেল বাহির করতে হয়, ঠিক সেইভাবে কুরান চিপ্পা তা থেকে বিজ্ঞান বাহির করে আধুনিক ইসলামবাজরা। আসলে একজন রাখালের দৃষ্টিতে যতটুকু দেখা যায়, কুরানে ঠিক ততটুকুই আছে। ওপরের ইসলামী দাবিগুলো একটু বিশ্লেষণ করা যাক।

১. পানিচক্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপটা হচ্ছে পানির বাষ্পীভবন (Water Evaporation)... কিন্তু এটা একটা রাখালের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, তাই কুরানেও পানি বাষ্পীভবনের কথা নেই। আছে শুধু আসমান থেইক্যা পানি পড়া... এই কথা একবার না, বহুবার বলেছে... কিন্তু বাষ্পীভবনের কথা একবারও নাই!

২. মুহাম্মদ দেখতো যে, চাঁদ আর সূর্য, একখান দিয়া উঠে, আরেকখান দিয়া ডুবে... ব্যস, সে বুঝে ফেললো যে, চাঁদ আর সূর্য ঘোরে... কুরানে লিখেও দিলো... বিজ্ঞান না জানা একটা রাখালকে জিজ্ঞেস করুন, সেও বলবে একই কথা... চাঁদ-সুরুয ঘোরে... এর বেশি তো কিছু নেই কুরানে... রাখালটা অবশ্য ভাবতো যে, চাঁদ-সূর্য দুইটাই পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে, কিন্তু আধুনিক ইসলামবাজরা সূর্যের ঘোরাকে বানায় দিলো মিল্কি ওয়েতে ঘোরা...! ধান কাটায় আর চুল কাটায় মিলে যাওয়া আরকি...

তো, আল্লাহ ওরফে মুহাম্মদ মিল্কি ওয়ে পর্যন্ত গেলেন, কিন্তু পৃথিবী ঘোরে, এই কথাটা কুরানে একটিবারও কইলেন না ক্যান? খালি চোখে পৃথিবীর ঘোরাঘোরি বোঝা সম্ভব না, কিন্তু চাঁদ-সূর্যের ঘোরাঘোরি বোঝা সম্ভব... ঠিক তো?

৩. নবী নিজের বীর্য দেখে বুঝতে পেরেছিলেন যে, এইটা দিয়েই তো বাচ্চা হয়! তাই বীর্যের অবদানের কথা কুরানে আছে... কিন্তু একজন রাখালের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয় যে, একটা বাচ্চা জন্মদানের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর থেকে বেশি অবদান একটা ডিম্বাণুর... স্ত্রী ডিম্ব তো আর বীর্যের মত নির্গত হয় না, তাই নবীও ওইটা দেখে নাই... এজন্যেই কুরানে নাই ডিম্বের কথা... 

এই হচ্ছে কুরানীয় বিজ্ঞানের অবস্থা আর আধুনিক ইসলামবাজ কর্তৃক কুরান চিপে বিজ্ঞান বের করার কৌশল...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন