শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

সূরা আল্যা

নাজিল হয়েছে বেনামী সংস্কারক-এর ওপর

পটভূমি: মাশাল্যা, সুবহানাল্যা, আল্যা চাইলে কেউ ঠ্যাকাতে পারবে না, তারই প্রমাণ আরেকবার হয়ে গেল। কুটনামির শিকার হওয়া কুরআনের নির্যাস তথা সর্বশেষ সূরা 'সূরা আল্যা' আজ ১৪০০ বছর পরে আলোর মুখ দেখল। দীর্ঘদিন ধামাচাপা থাকার ফলে কিছু আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেলেছে, কারও কাছে সেগুলো থাকলে স্বেচ্ছায় সংযুক্ত করে দোজাহানের কামিয়াবি হাসিল করুন।

সূরা আল্যা

- ওহে মূর্খ কাফের-নাস্তেক-মোশরেক-জাহান্যামীর দল, তোমরা কি জানো না আল্যা এক ও অদ্বিতীয়? তবে তার সর্বনাম 'আমি' 'আমরা' 'তিনি' 'তারা'

- তিনি সব সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাকে কেউ সৃষ্টি করার প্রশ্নই আসে না

- তিনি বলেন 'হও' আর সব হয়ে যায়, তবে আবু লাহাব তথা কিছু সময়ে এই দাবি শিথিলযোগ্য বা ব্যতিক্রম

- তিনি পুরুষ, পর্দাশীল, অত্যাধিক ঝলকানিযুক্ত

- তার হাত, চোখ, কান, ব্রেন এমনকি পাছাও আছে

- পুরুষ হলেও নারীদের প্রতি তার আকর্ষণের বদলে বিশেষ অ্যালার্জি আছে এবং ক্রুদ্ধও বটে

- তিনি মাঝে মাঝে কনফিউজড হয়ে যান কিছু বিষয়ে

- তার চ্যালাচামুন্ডার কোনো অভাব নেই এই পৃথিবীতে এবং পৃথিবীর বাইরে 

- তিনি মানুষকে পছন্দ করেন খুব কম, কিন্তু একটুতেই অপছন্দ করেন

- তিনি নিজেই নিজেকে সত্যি দাবি করেন, নিজেই নিজেকে শ্রেষ্ঠ দাবি করেন

- তার অস্তিত্ত্বের প্রমাণ তিনি কখনই দেন না

- তিনি তার প্রিয় বান্দাদের প্রতি কঠোর পরীক্ষা নেন অসুখ-অভাব-যন্ত্রণা দিয়ে, যেমন প্রেমের পরীক্ষা নেন খুন দিয়ে, আর তার প্রতি বিরাগভাজনদের প্রতি তিনি দয়ালু, আরাম আয়েশে রাখেন

- তিনি গণিত, জীববিদ্যা, দর্শন ও যুক্তিতে অনেক কাঁচা, সবচাইতে কাঁচা মহাকাশ তথা জ্যোতির্বিদ্যাতে

- তিনি যুদ্ধশাস্ত্রে তথা একজনকে আরেকজনের পেছনে লেলিয়ে দিতে নাম্বার ওয়ান কিং খান খান খান খান** 

- তিনি মানুষের চাইতে অনেক বেশি হিংসুটে এবং পক্ষপাতদুষ্ট, তার সুনাম করলে তথা তৈলমর্দন করলে খুশি হন আর সত্যি বললে ক্ষেপে যান, মিথ্যা বললে বা মজা করলে কী করেন, তা অপ্রকাশ্য

- তিনি ইশারা দিতে ওস্তাদ তবে সুনির্দিষ্ট করে কম বলেন, তিনি রহস্যময়

- তিনি মাছের পেট, শুকরের পাছা, গাছের ডাল থেকে শুরু করে শীতকালের ধোঁয়া ওঠা প্যাঁচানো হাগু সবখানেই নিজের নিশানা রাখেন

- তার ব্যবহৃত মূলার সংখ্যা দুই - জান্যাত ও জাহান্যাম। এদের সাথে আবার কিছু সংযুক্তিও আছে। যেমন, জান্যাতের সাথে মদ-হুর-গেলমান ফ্রি, আর জাহান্যামের সাথে ফ্রি পুঁজ, রক্ত আর আগুন

- তার সম্মান, ঘর আর গ্রন্থ সব মুসলম্যানরাই বানায় এবং রক্ষা করে রক্তারক্তির মাধ্যমে, যদিও তিনি কথায় কথায় হুমকি দিলেও কারও নিম্ন কিংবা পশ্চাদ্দেশের একটা চুলও ছিঁড়তে পারেন না

- তার কাছে দুনিয়াতে দুইটাই জাতি - মুসলম্যান ও অমুসলম্যান (যাদের তিনি নিকৃষ্ট মনে করেন)

- তারানা হালিম আপার পর্ন দেখা লিস্ট জনসম্মুখে প্রকাশিত হচ্ছে না, কারণ ১ নম্বরেই আছেন তিনি

- যত ভাল কাজ হয়, যত ভাল কিছু হয়, তার পেছনে তার হাত থাকে। আর সমস্ত খারাপ জিনিস খারাপ কাজ মানুষের কর্মফল বৈ কিছুই না।

**এখানে হামদ স্বরূপ প্রতিধ্বনি হবে চারবার সাথে চারবার দ্বৈত চাপাতির শানের আওয়াজ

শানে নুযূল ও এক কলঙ্কিত ইতিহাস:
যখন দোজাহানের পেয়ারে নবী মোহমদ আল্যার গুণগান প্রচার করা শুরু করল, চারদিক থেকে প্রতিবাদ আসতে শুরু করল এত পরিমাণে যে, তলোয়ার দিয়ে আর জেতা সম্ভব হচ্ছিল না। তিনি আল্যার কাছে দোআ করলেন যাতে তার পরিচয় প্রদানকারী অন্তত আরেকটি সূরা নাজিল করা হয়। তা-ই হল। কিন্তু এই সূরা দেখে তিনি বুঝতে পারলেন, মক্কার বাইরে যাওয়া তো দূরের কথা মক্কা-মদিনাতেও টেকা সম্ভব না এই সূরা প্রকাশ পেলে। তাই তিনি সুকৌশলে এই সূরাকে জীবিত দাফন করলেন হেরা গুহায়। পবিত্র স্থান জন্য কেউ বাইরে থেকে দেখে সুবহানালা মাসাল্যা বলে ফেরত না গিয়ে ভেতরে ঢোকার চিন্তাও করেনি কখনও। কিন্তু আমার সংস্কারপন্থী মন নিয়ে আমি ভেতরে ঢুকে যাই নূরানি ক্ষমতায় সমস্ত চোখ ফাঁকি দিয়ে, আর সুলেমানী সেন্সর দিয়ে লক্ষ্য করি একটি ছাগল, কিছু খাচ্ছে। দৌড়ে গিয়ে উদ্ধার করে আনি অমূল্য এই সুরাখানি।

বিনীত:
দীর্ঘদিন আসি-আসি করেও চাপাতির ভয়ে আসা হয়নি। কিন্তু খোয়াবে দেখতে পেলাম, আমার পেয়ারে নবী মোহমদ আমার সাথে দেখা করে মোসাফা আর মোলাকাত করে কানতে কানতে বলল, অনেক তো হল, এবার সত্যিটা সামনে আসুক, তুমিই এই দায়িত্ব নাও। এর আগেও আমি অনেককেই আমার খেলাফতি দায়িত্ব দিয়েছি, অনেকে জীবন হারিয়েছে। তুমি জীবনের ভয় না করে এগিয়ে চল, বাঁচলে গাজী মরলে শহিদ দুটোই আজ থেকে তোমার জন্য সমান। আমাকে তুমি মন থেকে ক্ষমা করে দাও, আর সবাইকে বলে দাও ক্ষমা মহৎ গুন, আমাকে ক্ষমা করুক, আমি লজ্জিত, আমি অপরাধী।

আশা করছি, আমার এই খেলাফতি দায়িত্ব আমি নিষ্ঠার সাথেই পালন করব, আর আপনারা এর প্রচার প্রসারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে দোজাহানের কামিয়াবি হাসিল করবেন। লেখাটির সর্বশেষ লাইনে আপনার চোখে পানি আসলে বুঝবেন আপনি মানুষ, নইলে আপনি ধর্মান্ধ।

উৎসর্গ: 
অভিজিৎ দাদা, ওয়াশিকুর ভাই, দীপন ভাই, হুমায়ূন আজাদ স্যার, রাজীব ভাই, সফিউল স্যার, বিজয় দা, নিলয় দা, রেজাউল স্যার, জুলহাজ ও তনয় ভাই, নাজিমুদ্দিন সামাদ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন