লিখেছেন পুতুল হক
বুরখা-হিজাব ছাড়াও পোশাকের ক্ষেত্রে বাঙালি মেয়েদের আরো বড় একটা পরিবর্তন ঘটে গেছে। শাড়ি নয়, এখন জাতীয় পোশাক বলা যায় শালোয়ার-কামিজকে। শাড়ি হিন্দুয়ানী পোশাক বলে জোর প্রচারণা দীর্ঘদিন ধরে চালানো হয়েছে। এবং মুসলমান মেয়েদের মধ্যে এই কথাটি খুব গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
শাড়ি পরে নামাজ হয় না। মাটি নাকি সব দেখে! বিস্তারিত লিখতে অসহ্য লাগছে। এসব কথা মানুষ বলে কীভাবে? এরা এতো রুচিহীন, নোংরা হয় কেমন করে?
সময়ের সাথে পোশাকের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। এখন যেভাবে শাড়ি পরা হয়, পঞ্চাশ বছর আগে তেমনটা ছিল না। সময়ের পরিবরতনে নানান জাতের মানুষের সংস্পর্শে আমাদের পোশাকের পরিবর্তন ঘটেছে এবং ঘটবে। কিন্তু সুকৌশলে বাঙালির সংস্কৃতি থেকে বাঙালিকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য কিংবা বাঙালির কাছে বাঙালি সংস্কৃতিকে অপাংক্তেয় বা হেয় প্রমাণ করার জন্য যখন শাড়িকে বেশরিয়তি বলা হয়, সেটাকে কীভাবে মেনে নেয়া যায়?
ত্রিশ বা চল্লিশ বছর আগে শুধুমাত্র কিশোরী এবং অবিবাহিত মেয়েরা শালোয়ার-কামিজ পরত। এখন আমার নানিদের পরনেও থাকে শালোয়ার-কামিজ। কয়েক বছর আগেও উৎসব-অনুষ্ঠানে পরার জন্য শাড়ি ছিল পরিণত-বয়স্ক মেয়েদের প্রধান পোশাক। এখন সেখানেও বুরখা টাইপের লম্বা কামিজ জায়গা করে নিয়েছে।
চলাফেরার সুবিধার জন্য বা কাজের সুবিধার জন্য শালোয়ার-কামিজ বেছে নেয়ার কথা বলা নিতান্তই একটা অপব্যাখ্যা। তাহলে আমরা অন্তত চাইনিজ মেয়েদের মত শার্ট-প্যান্ট বেছে নিতাম।
মূল কারণ ধর্মীয় এবং পাকিস্তানী জাতীয়তাবাদের প্রতি প্রেম। মুসলমানের কাছে "সবার উপর ইসলাম সত্য, তাহার উপর নাই।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন