লিখেছেন সাঈদুর রহমান
➤ বাঙালি জাতির নবী হযরত জাকির নায়েক (জো. না.) একটি লেকচারে বলেছিলেন, কোরানে কোনো জায়গায় শিয়া-সুন্নি নেই।
➤ তিনি আরো বলে থাকেন, মুসলিমরা যেন নিজেদের শিয়া-সুন্নি বলে পরিচয় না দেন। কথাটা বলে একটা উদাহরণ তিনি টানেন। সেটা হল - আরবদের নবী হযরত মোহাম্মদ কি শিয়া না সুন্নি মুসলিম ছিলেন?
কথাটা শোনামাত্রই হাততালি শুরু হয়ে যায়। বোকা মুসলিমরা একটা বারের জন্যও ভাবে না, কথাটা কতটুকু হাস্যকর। যারা 'মুহাম্মদকে অনুসরণ' করে তাদের সুন্নি বলা হয়। মোহাম্মদ কি নিজেকে নিজে অনুসরণ করত, যে-কারণে তাকে সুন্নি বলা যাবে? তিনি শিয়া হতে পারেন নাকি, পরে বলছি।
➤ কোরানে সুরা ৩৭: ৮৩ তে বলা হয়েছে ইব্রাহিম ছিল নুহের শিয়া।
শিয়া শব্দের অর্থ অনুসরণকারী। যে কেউ কাউকে অনুসরণ করলে তাকে শিয়া বলা চলে। শিয়ারা বলে, তারা কোরান এবং মুহাম্মদ এবং তার মনোনীত ব্যক্তিদের অনুসরণ করে। তাই তারা নিজেদের শিয়া পরিচয় দেয়। এ ক্ষেত্রে দুনিয়ার সকল সুন্নি মুসলিমদেরও মুহাম্মদের শিয়া বলা চলে।
সুরা ২: ১৮৩ তে বলা হয়েছে আল্লা মুহাম্মদকে বলছে ইব্রাহিমকে অনুসরণ করতে। এদিক দিয়ে মুহাম্মদকেও ইব্রাহিমের শিয়া বলা চলে। তাছাড়া কোরানের ২৮: ১৫ তে মুসার অনুসারীকে শিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
➤ শিয়ারা ৫ টা প্রধান নামাজ তিন ওয়াক্তে আদায় করে। কিন্তু সুন্নিরা সেটা আলাদা ৫ ওয়াক্তে আদায় করে।
শিয়ারা আয়েশা, আবু বক্কর, ওমর, উতমানদের কাফির তুল্য মনে করে। তারা মুতা বিবাহ করে, তাকিয়া করে, নামাযের ধরন ভিন্ন, আযান ভিন্ন।
শিয়াদের এসব কিছু না করলে, না মানলে, হে জাকির নায়েকের উম্মতগণ, নিজেদের সুন্নি মুসলিম বলেই পরিচয় দিন।
বি.দ্র. এই মুফত উপদেশটা দিতে হল এক লোকের উপর বিরক্ত হয়ে যিনি তোতা পাখির মত আমাকে বলেছিলেন, আমি মুসলিম। শিয়া-সুন্নি নই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন