লিখেছেন নীল নিমো
আজকে একজন মুরিদকে নিয়ে ডেনমার্কের নরেপোর্ট মেট্রো স্ট্রেশনে মেট্রো ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। মেট্রো স্টেশনে দাড়িয়ে ডেনমার্কে টিনেজ কাপলরা একজনকে আরকজন জড়িয়ে ধরে প্রকাশ্যে চুমো খায়, এটা-সেটা করে। এইটা খুবই সাধারন ঘটনা। তো, আজকে আমাদের পাশে দাড়িয়ে একটি আরব মুসলিম কাপল ফ্রেন্স কিসিং খাচ্ছিল।
মুসলিম কাপলের ফ্রেন্স কিসিংয়ের দিকে ইঙ্গিত করে মুরিদ জিজ্ঞাস করিল:
আমি জানি যে, পথভ্রষ্ট মুসলামানদেরকে দোজখের ভয় দেখালেই সহজে লাইনে আনা যাবে। এদের ব্রেনওয়াশ করা তেমন কঠিন না। তাই আমি শয়তানের উপর দোষ চাপিয়ে বলিলাম:
- শয়তান এদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে। মুসলামানদের কোনো দোষ নাই। এই সম্পর্কে আল্লাহপাক ১১৪ নম্বর সুরার ৫ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেছেন: "যে (শয়তান) কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে"
কিছুক্ষন পর আরেকটি খ্রিষ্টান কাপলের ফ্রেন্স কিসিংয়ের দিকে ইঙ্গিত করে মুরিদ জিজ্ঞাস করিল:
- হুজুর, খ্রিষ্টান কাপলদের পথভ্রষ্টের জন্য দায়ী কে? আল্লাহ, শয়তান, নাকি ওরা নিজে?
আমি বুঝতে পারলাম, খ্রিষ্টান হলেও লাইনে আনা একেবারে অসম্ভব না। ব্রেনওয়াশ করা সহজেই সম্ভব। তাই ওদের উপর দোষ চাপিয়ে বলিলাম:
- এরা নিজেরা নিজেদেরকে পথভ্রষ্ট করে রেখেছে। এদেরকে টাইট দিলে লাইনে আনা যাবে। এই সম্পর্কে আল্লাহপাক ৩০ নম্বর সুরার ৯ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেছেন: "…কিন্তু (মানুষ) তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল।…"
এর কিছুক্ষন পর একটি নাস্তিক কাপলের ফ্রেন্স কিসিংয়ের দিকে ইঙ্গিত করে মুরিদ জিজ্ঞাস করিল:
- হুজুর, নাস্তিক কাপলদের পথ ভ্রষ্টের জন্য দায়ী কে? আল্লাহ, শয়তান, নাকি ওরা নিজে?
আমি জানি যে, নাস্তিকরা ফালতু যুক্তি সহজে মানতে চায় না। নাস্তিকদের ব্রেনওয়াশ করা সহজ না। এদেরকে লাইনে আনা অসম্ভব। তাই বলে তো, সবকিছুর নিয়ন্ত্রণকর্তা আল্লাহকে দোষ দেওয়া যায় না। আল্লাহপাকের দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করিয়া বলিলাম:
- আল্লাহপাক ইচ্ছা করেই নাস্তিকদের পথভ্রষ্ট করে রেখেছে। এইসম্পর্কে আল্লাহপাক ৩৫ নম্বর সুরার ৮ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেছেন: "…নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথ প্রদর্শন করেন।.”
আল্লাহপাকের কাছে হাজার শুকরিয়া, কোরান ব্যবহার করে নিজের ইচ্ছামত যে কারোর উপর দোষ চাপানো যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন