লিখেছেন নীল নিমো
আজকে বয়ান দিচ্ছিলাম:
- আল্লাহপাক মাটি দিয়ে একসাথে পৃথিবীর সব মানুষ তৈরি করেছিলেন। এখন তিনি পর্যায়ক্রমে পৃথিবীতে মানুষকে পাঠাচ্ছেন। আর নবী করিম (সঃ) কে পাঠিয়েছেন আমাদেরকে ইসলাম শিক্ষা দিয়ে মুসলমান বানাতে...
কথা শেষ করতে পারলাম না। এক নাস্তিক এসে আমাকে জিজ্ঞাস করিল:
- হুজুর, আল্লাহপাক যখন মাটি দিয়ে মানুষ তৈরি করেছিল, তখন কি সে মানুষদেরকে মুসলমান হিসাবে তৈরি করেছিল?
নাস্তিক আমাকে সিলেবাসের বাহিরের প্রশ্ন করে ফেলায় আমি একটু বিব্রত বোধ করলাম। তবে আমি টেকনিকালি উত্তর দিলাম:
- এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ নিষ্পাপ মুসলমান হিসাবে জন্মগ্রহণ করে।
নাস্তিক প্রশ্ন করিল:
- কিন্তু, হুজুর, প্রতিটি শিশু যদি মুসলমান হয়ে জন্মগ্রহণ করে, তাহলে নবী মুহাম্মদের প্রয়োজন কী? আমরা সবাই তো এমনিতেই অটোমেটিক মুসলমান। নবী মুহাম্মদ তো তাহলে একটা বাতিল মাল। ঠিক কিনা?
আমি উত্তর দিলাম:
- আস্তাগফিরুল্লাহ, নবী-রাসুলদেরকে বাতিল মাল বলা ঠিক না।
নাস্তিক বলিল:
- হুজুর, প্রাকৃতিকভাবেই একজন স্বাভাবিক শিশুর কোনো রোগ থাকে না। এরপর সেই সুস্থ শিশুর ক্যান্সার, এইডস, যক্ষা, ধনুষ্টংকার ইত্যাদি রোগ হতে পারে।
তেমনি প্রাকৃতিকভাবেই বিশ্বাসের দিক দিয়ে প্রতিটি শিশুই নাস্তিক হয়ে থাকে। এরপর সেই নাস্তিক শিশুটি মুসলমান, হিন্দু ইত্যাদিতে কনভার্ট হতে পারে।
একজন এইডস রোগি কোনোভাবেই নতুন করে HIV ভাইরাস দিয়ে সংক্রামিত (ইনফেক্টেড) হতে পারে না। তেমনি একজন জন্ম নেওয়া মুসলমান শিশুকে কোনোভাবেই নতুন করে কালেমা পড়িয়ে, খতনা করিয়ে, আরবি নাম রেখে মুসলমান বানানো যায় না।
তাই বলা যায় যে, প্রতিটি শিশুই নাস্তিক হিসাবেই এই পৃথিবীতে আসে, পরে এরা ধর্ম দ্বারা সংক্রমিত হয়।"
নাস্তিকের কথা শুনে আমার হঠাৎ করে মনে পড়ল, অনেকদিন আমি HIV ব্লাড টেষ্ট করিনি। আমার মিশরীয় কৃতদাসী মরিয়মকে আমি বিশ্বাস করি না। তাই আমি তাড়াহুড়ো করে ব্লাড টেষ্ট করতে দৌড় দিলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন