লিখেছেন পুতুল হক
মোহাম্মদ মহান আল্লাহর ওয়াস্তে 'দারুল ইসলাম' নামে এক স্বপ্ন তাঁর অনুসারীদের অন্তরে গেঁথে দিয়েছে। আল্লাহ এবং নবীকে মুসলমান যেভাবে বিশ্বাস করে, ঠিক সেভাবে এই স্বপ্নে বিশ্বাস রেখেছে। মোহাম্মদ তার আল্লাহর মাধ্যমে সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার উপায় বাতলে গেছে। মুসলমান ঠিক সে উপায়ে যখন স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে, তখন তাকে অন্যায় বলা বিশ্বাসের বরখেলাপ, মোহাম্মদ এবং তার আল্লাহকে অপমান করা।
আইসিস, তালেবান, আল-কায়েদা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা জামাতে ইসলামকে কেউ যদি জঙ্গি বলে, তবে মোহাম্মদকে জঙ্গি বলা হয়। এখন আমি যদি বলি, যা হবার হয়েছে, অনন্তকাল ধরে খুনোখুনি চলতে পারে না, এবার এসব বন্ধ করা উচিত, তাহলে কি আমার অন্যায় হবে?
নবী বংশের কেউ যদি থেকে থাকে, সে-ও নিশ্চই গাড়িতে, বিমানে চড়ে, টুথব্রাশ-টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজে। নবী কখনো ট্যাপের পানি পায়নি, স্যানিটারি ল্যাট্রিন দেখেনি, রোগ হলে এ যুগের মত চিকিৎসা পায়নি। তাই বলে মুসলমানরা কি এসব ব্যবহার করছে না?
খুব স্পস্ট কথা, মোহাম্মদের মত করে কিংবা তার দেখিয়ে যাওয়া পথে জীবন কাটানো একালে সম্ভব নয়। তেমনি সম্ভব নয় দারুল ইসলাম। যদি দুঃস্বপ্নেও কেউ দারুল ইসলাম দেখে, তাহলে পৃথিবীতে কী দেখবে? জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা হবে না, সঙ্গীতসহ সকল কলা থেমে যাবে, এতদিনের কষ্টের যে সভ্যতা তা ধংস হয়ে যাবে।
আমরা যদি একটি অগ্রসরমান পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি, তবে ইসলামী খেলাফত আসে কীভাবে? আবার দেড় হাজার বছর পিছিয়ে আমরা যদি পৃথিবীকে একটি সমতল ভুমি আর আকাশকে তার খুঁটিবিহীন ছাদ ভাবি কিংবা সূর্যকে আরশের তলায় লুকোতে দেখি, তবে আমরা এগোবো কীভাবে?
আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল মোহাম্মদকে মুসলমান ভুলে যাবে, সেটা বলছি না। কিন্তু দেড় হাজার বছরে আমরা এটা অন্তত জানি যে, মানুষ দিনে দিনে অনেক নতুন কিছু শিখবে, জানবে। সময়ের ব্যবধানে আল্লাহ এবং রাসুলের আরও অনেক উক্তি ভুল বলে প্রমাণিত হবে।
এটুকু স্বীকার করার মত অভিযোজন ক্ষমতা কারো যদি না থাকে, তবে তাঁর টিকে থাকার সামর্থ্য নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন