লিখেছেন রাজিব রাজ রায়
আমার রুমমেট সুজন খুব ঠাকুরভক্ত। একদিন হঠাৎ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দেখি, স্নান করে সূর্যের দিকে দুই হাত জোড় করে কী যেন বিড় বিড় করতাছে। ভাবলাম, ঠাকুরপূজা করবে কিন্তু কিছুক্ষণ চিন্তা করে মাথায় এলো: আগে তো কোনোদিন এতো সকালে স্নান করে নাই!
আমার বুঝতে আর বাকি রইল না, রাতে স্বপ্নে তার পাশে স্বপ্নের রাজকন্যা আসছিলো। তারপরও ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হয়। প্রশ্ন করলাম:
- দোস্ত, কী হইছে?
কোনো জবাই নাই। ধ্যানে মগ্ন। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম একই প্রশ্ন। তাতেও কোন উত্তর নাই। ধ্যান শেষে আমার উপর রাগ ঝেড়ে বলল:
- কী সমস্যা?
- কী হইছে তোর?
আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আবার ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম:
- ভাই, কী হইছে, এতো সকাল সকাল স্নান-পূজা... ব্যাপার কী?
সে আমাকে উত্তর দিলো:
- তোর মত ফালতু মানুষের প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না। জীবনে কোনোদিন ধর্মের বই কিংবা কোনো শ্লোক পড়েছিস।
আমি ওর কথা শুনে পুরা বোকচোদ হয়ে গেলাম, আমার ইচ্ছা জাগলো ধর্মের বই পড়ার। সাথে সাথেই ওর বই থেকে শ্লোক পড়তে শুরু করলাম। একটা শ্লোক পড়ার পরই আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না, সকাল সকাল সুজনের স্নান আর পূজার মানে কী।
শ্লোকটা হলো:
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য ব্রহ্মচারী যদি অনিচ্ছাবশতঃ স্বপ্নাবস্থায় রেতঃস্ফলন করে, তাহলে সে স্নান করে, গন্ধপুস্পাদির দ্বারা সূর্যদেবের অর্চনা ক'রে 'পুর্নর্মামৈতু ইন্দ্রিয়ম্' অর্থাৎ "আমার বীর্য পুনরায় আমাতে ফিরে আসুক্"- এই মন্ত্র তিনবার জপ করবে। [মনুসংহিতা ২-১৮১]
হিন্দু ভাইরা রাতে স্বপ্নে স্বপ্নের রাজকন্যার সাথে রাত কাটাতেই পারেন - যেহেতু এই মন্ত্রের বলে আপনার হারিয়ে যাওয়া বীর্য আবার ফিরে পাবেন।
বি: দ্র: সুজন চরিত্রটি কাল্পনিক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন