লিখেছেন নীল নিমো
আজকে শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে বয়ান দিচ্ছিলাম। বিষয় ছিল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মক্কা বিজয়। বয়ান দিচ্ছিলাম এইভাবে:
- ... বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় ছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক স্মরণীয় ঘটনা। ১৪০০ বছর পার হয়ে গেল, পৃথিবীর কোনো সেনাপতি আজ পর্যন্ত পারে নাই এবং পারবে না বিনা রক্তপাতে শত্রুকে পরাস্ত করতে। দ্বীনের নবী হজরত মোস্তফা (সঃ) একমাত্র সেনাপতি, যিনি এই কাজ করতে পেরেছিলেন...
বয়ান শান্তিমত শেষ করতে পারলাম না, একটা ছিনতাইকারী সামনের কাতারে বসা ছিল। হলুদ দাঁত কেলিয়ে খিলখিল করে জোরে জোরে হাসতেছিল। আমার মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ হয়ে গেল। প্রশ্ন করলাম:
- ওরে জাহান্নামি ছিনতাইকারী, তুই কবে জেল থেকে ছাড়া পেলি? এইভাবে হাসতেছিস কেন?
ছিনতাইকারী হাসতে হাসতে উত্তর দিল:
- হুজুর, নবীজির স্ট্র্যাটেজি দুনিয়ার কোনো সেনাপতি না বুঝলেও আমি, এই অধম ছিনতাইকারী, বুঝতে পারি এবং অনুসরণ করি।
আমি আনন্দে গদগদ হয়ে বললাম:
- মাশাল্লাহ। তা তুই কীভাবে কাজটা করিস, দাঁড়িয়ে সবাইকে বল।
ছিনতাইকারী মসজিদে দাড়িয়ে বলল:
- খুবই সিম্পল ব্যাপার। ভোঁতা ছুরি, চাপাতি দিয়ে বিনা রক্তপাতে ছিনতাই করা যায় না। ভোঁতা জিনিষ দেখলে লোকজন ভয় পায় না। বরং উল্টো ছিনতাইকারীকে অ্যাটাক করে। এতে করে মারামারি হয়, রক্তপাত হয়। তাই আমি নবীজির স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করে সবসময় সাথে ধারালো চকচকে চাপাতি, ছুরি রাখি। ধারালো ছুরি দেখলে লোকজন সহজে ভয় পেয়ে দ্রুত সবকিছু দিয়ে দেয়। একেবারে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয়ের মত। নবীজি ১০ হাজার সৈন্য নিয়ে মক্কা আক্রমণ করেছিল। উনি ভোঁতা ছুরি, মানে ১০ জন লোক নিয়া মক্কা আক্রমণ করে নাই। এভাবে ভিক্টিমের মনে আতংক সৃষ্টি করে বিনা রক্তপাতে সহজে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানে ছিনতাই করতে হয়।
ছিনতাইকারীর কথা শুনে উত্তেজনার ঠেলায় আমার বায়ু বের হয়ে গেল। আমি ওযু করতে দৌড় দিলাম।
আজকে শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে বয়ান দিচ্ছিলাম। বিষয় ছিল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মক্কা বিজয়। বয়ান দিচ্ছিলাম এইভাবে:
- ... বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় ছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক স্মরণীয় ঘটনা। ১৪০০ বছর পার হয়ে গেল, পৃথিবীর কোনো সেনাপতি আজ পর্যন্ত পারে নাই এবং পারবে না বিনা রক্তপাতে শত্রুকে পরাস্ত করতে। দ্বীনের নবী হজরত মোস্তফা (সঃ) একমাত্র সেনাপতি, যিনি এই কাজ করতে পেরেছিলেন...
বয়ান শান্তিমত শেষ করতে পারলাম না, একটা ছিনতাইকারী সামনের কাতারে বসা ছিল। হলুদ দাঁত কেলিয়ে খিলখিল করে জোরে জোরে হাসতেছিল। আমার মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ হয়ে গেল। প্রশ্ন করলাম:
- ওরে জাহান্নামি ছিনতাইকারী, তুই কবে জেল থেকে ছাড়া পেলি? এইভাবে হাসতেছিস কেন?
ছিনতাইকারী হাসতে হাসতে উত্তর দিল:
- হুজুর, নবীজির স্ট্র্যাটেজি দুনিয়ার কোনো সেনাপতি না বুঝলেও আমি, এই অধম ছিনতাইকারী, বুঝতে পারি এবং অনুসরণ করি।
আমি আনন্দে গদগদ হয়ে বললাম:
- মাশাল্লাহ। তা তুই কীভাবে কাজটা করিস, দাঁড়িয়ে সবাইকে বল।
ছিনতাইকারী মসজিদে দাড়িয়ে বলল:
- খুবই সিম্পল ব্যাপার। ভোঁতা ছুরি, চাপাতি দিয়ে বিনা রক্তপাতে ছিনতাই করা যায় না। ভোঁতা জিনিষ দেখলে লোকজন ভয় পায় না। বরং উল্টো ছিনতাইকারীকে অ্যাটাক করে। এতে করে মারামারি হয়, রক্তপাত হয়। তাই আমি নবীজির স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করে সবসময় সাথে ধারালো চকচকে চাপাতি, ছুরি রাখি। ধারালো ছুরি দেখলে লোকজন সহজে ভয় পেয়ে দ্রুত সবকিছু দিয়ে দেয়। একেবারে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয়ের মত। নবীজি ১০ হাজার সৈন্য নিয়ে মক্কা আক্রমণ করেছিল। উনি ভোঁতা ছুরি, মানে ১০ জন লোক নিয়া মক্কা আক্রমণ করে নাই। এভাবে ভিক্টিমের মনে আতংক সৃষ্টি করে বিনা রক্তপাতে সহজে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানে ছিনতাই করতে হয়।
ছিনতাইকারীর কথা শুনে উত্তেজনার ঠেলায় আমার বায়ু বের হয়ে গেল। আমি ওযু করতে দৌড় দিলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন