আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭

হাদীসের প্রথম পাঠ - ০৩

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ

পর্ব ১ > পর্ব ২


নীতি-দ্বৈতনীতি

প্রতিটি মানুষ সমান, ইসলামের এই নীতির প্রশংসা না করলে ছোট করা হবে মুহাম্মদের নীতিবোধের। তবে সমান হবার প্রথম শর্ত আপনাকে অবশ্যই মুসলিম হতে হবে!
বুখারী-১-২-১২:  তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ করবে, যা নিজের জন্য পছন্দ করে।
বুখারী-৯-৮৫-৮৩: এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই, না সে তার প্রতি জুলুম করবে, না তাকে অন্যের হাওলা (দায়িত্বে দেওয়া) করবে। যে কেউ তার ভাইয়ের প্রয়োজন মেটাবে, আল্লাহ তার প্রয়োজন মেটাবেন।
বুখারী-৮-৭৩-৭০: মুহাম্মদ বলেছেন: মুসলমানকে গালি দেওয়া/ক্ষতি করা ফাসিকি (কবিরা গুনাহ) এবং একে অন্যেকে হত্যা করা কুফরী।
ইসলামে মিথ্যা সব সময়ই মিথ্যা নয়, এমনকি কসমও নয় চুড়ান্ত কসম!
বুখারী-৩-৪৯-৮৫৭: সে ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য (নিজের থেকে মিথ্যা বলে) ভালো কথা পৌঁছে দেয় কিংবা ভালো কথা বলে।
বুখারী-৮-৭৮-৬১৮: আবু বকর কখনও কসম ভঙ্গ করেননি, যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাআলা কসমের কাফফারা সংক্রান্ত আয়াত নাযিল করেন। তিনি বলতেন: আমি যেকোনো ব্যাপারে কসম করি, এরপর যদি এর চেয়ে উত্তমটি দেখতে পাই তবে উত্তমটিই করি এবং আমার কসম ভঙ্গের জন্য কাফফারা আদায় করে দেই।
মুহাম্মদ নিজে শিখিয়েছেন, উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মিথ্যা কথা বলা অন্যায় নয় মোটেই। মুহাম্মদের জামাতা আলী'র ভিন্নমত হবার কারণ আছে কি?
বুখারী-৫-৫৯-৩৬৯: মুহাম্মদ বললেন: কাব ইবনে আশরাফের হত্যা করার জন্য প্রস্তুত আছো কে? কেননা সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলকে কষ্ট দিয়েছে। মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা দাঁড়ালেন, এবং বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি কি চান যে আমি তাকে হত্যা করি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা বললেন, তাহলে আমাকে কিছু মিথ্যা কথা বলার অনুমতি দিন। মুহাম্মদ বললেন: হ্যাঁ বল।বুখারী-৯-৮৪-৬৪: আলী বলেছেন: আমি যখন তোমাদেরকে রাসুলুল্লাহ–এর কোন হাদীস বর্ণনা করি ‘আল্লাহর কসম’! তখন তাঁর উপর মিথ্যা কথা আরোপ করার চেয়ে আকাশ থেকে নিচে পড়ে যাওয়াটা আমার কাছে শ্রেয়। কিন্তু আমি যদি আমার ও তোমাদের মধ্যকার বিষয় সম্পর্কে কিছু বলি, তাহলে মনে রাখাতে হবে যে, মিথ্যা শত্রুর বিরুদ্ধে একটি কৌশল।
মুসলিম-৩২-৬৩০৩: মুহাম্মদ বলেছেন: সে ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মাঝে আপোষ মীমাংসা করে দেয়। সে কল্যাণের জন্যই (মিথ্যা) বলে এবং কল্যাণের জন্যই চোগলখুরী (দুমুখো) করে। ইবনে শিহাব বলেন: তিনটি ক্ষেত্র ব্যতীত কোনো বিষয়ে রাসুলুল্লাহ মিথ্যা বলার অনুমতি দিয়েছেন বলে আমি শুনিনি। যুদ্ধ ক্ষেত্রে, লোকদের মাঝে আপোষ-মীমাংসার জন্য, স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর কথা ও স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর কথা প্রসঙ্গে।
ইসলামে বিচারব্যবস্থা শরিয়া আইন-নির্ভর, শরিয়া মানুষের অন্যায়ের সমতাভিত্তিক বিচার করে বলে ধারণা করেন অনেকেই। তা হতে পারে অবশ্যই, যদি আপনি একজন (কাফির) অমুসলিমকে মানুষ মনে না করেন!
বুখারী-১-৩-১১৩: আবু জুহায়ফা বলেন: আমি আলী-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাদের কাছে কি লিখিত কিছু আছে? তিনি বললেন: না, কেবলমাত্র আল্লাহর কিতাব রয়েছে, আর সেই বুদ্ধি ও বিবেক, যা একজন মুসলিমকে দান করা হয়। এ ছাড়া যা কিছু এ পত্রটিতে লেখা আছে। আবু জুহায়ফা বলেন: আমি বললাম, এ পত্রটিতে কী আছে? তিনি বললেন: দিয়াতের (আর্থিক ক্ষতিপূরণ) ও বন্দী মুক্তির বিধান, আর এ বিধানটিও যে, মুসলিমকে কাফিরের বিনিময়ে হত্যা করা যাবে না।
মুহাম্মদ এতটাই নৈতিক মানুষ ছিলেন, মৃত্যুর পূর্বে তার অনুসারীদের দিয়ে গিয়েছিলেন সবচেয়ে বড় মানবিকতার পাঠ!
বুখারী-৪-৫২-২৮৮: মুহাম্মদ ইন্তিকালের সময় তিনটি বিষয়ে ওসীয়ত করেন। (১) মুশরিকদেরকে আরব উপদ্বীপ (মক্কামদীনা, ইয়ামামা ও ইয়ামান) থেকে বিতাড়িত করো। (২) প্রতিনিধি দলকে আমি যেরূপ উপঢৌকন দিয়েছি তোমরাও আনুরূপ দিও। (৩) (রাবী বলেন) তৃতীয় ওসীয়তটি আমি ভুলে গিয়েছি।
মুসলিম দাস-দাসী-গোলামের প্রতি তার মায়া ছিলো অসম্ভব, অথচ অমুসলিম নারী-শিশু নিয়ে তার দ্বৈতনীতি বিদ্যমান ছিলো আজীবন!
বুখারী-৩-৪৬-৬৯৩: মুহাম্মদ বলেছেন, কেউ কোনো মুসলিম গোলাম আযাদ (মুক্ত) করলে আল্লাহ সেই গোলামের প্রত্যেক অংগের বিনিময়ে তার এককটি অংগ (জাহান্নামের) আগুন থেকে মুক্ত করবেন। সাঈদ ইবনে মারজানা বলেন, এ হাদীসটি আমি আলী ইবন হুসায়নের খিদমতে পেশ করলাম। তখন আলী ইবনে হুসায়ন তার এক গোলামের কাছে উঠে গেলেন যার বিনিময়ে আবদুল্লাহ ইবনে জাফার তাকে দশ হাজার দিরহাম কিংবা এক হাজার দীনার দিতে চেয়েছিলেন এবং তিনি তাকে আযাদ করে দিলেন।
মুসলিম-১৯-৪৩২২: সাব ইবন জাছছামা থেকে বর্ণিত: আমি মুহাম্মদ-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমরা রাতের আধারে অতর্কিত আক্রমণে মুশরিকদের শিশুদের উপরও আঘাত করে ফেলি। মুহাম্মদ বললেনঃ, তারাও তাদের (মুশরিক যোদ্ধাদের) অন্তর্গত।
(চলবে)

শুধু আপনার ধর্মটিই সঠিক


কুদরতিক্রিয়া - ১৪

লিখেছেন গরিব অল্ফ সিক্কিত মাদেসার হুজুর কুদরত আলি

৩৪.
মনে করুন, এই মুহুরতে ফক্রিত জিহাদের ডাক আইসল। আফনে একজন ফক্রিত মুচলিম হিসাবে জিহাদে যুগ দিলেন। কারন জিহাদ করা ফরজ। তকন যুদি বাংলাদের ফুলিস আফনাকে জংগি বলি দরি জেলে সালান করে, তকন কি কইরবেন আফনে? এরফর আরো যুদি দেকেন আফনার আসেফাসের মানুস বা বন্দু বান্দব আফনাকে গিন্না কইত্তেসে বা বইলতেসে, আফনি ফক্রিত মুসলিম না, তকন কেমন লাগবে আফনের?

৩৫.
একডি সজ সড়ল ফ্রস্ন: আইসসা, আমাগের নবির দেসের বরো বরো আরব রা দারি রাকে না কেনু, টুফি ফরে না কেনু? তারা কি কুরান-হাদিম ফরে না। কুরান-হাদিচ ত তাদের নিজ মাতরি বাসায় ই রসিত, কুরান হাদিচ ত তারা আমাদের সেয়ে বেসি বুজার কতা, তাই না কি? 


সবির এই লুকডা দারি না রাকি মুচ রাইকসে কেনু? মুচ রাকা ত হারাম। তাদের দেসেত ইচলামি সাসন কায়েম আসে, তারফরেও তারা কেনু নবির সামাইন্য সুন্নত দারি ডা রাকে না? "আমেরিকার সরযন্ত্র" এইডা বলি কেউ আবার উত্তর দিয়েন না। কুদরত আলি সরল মানুস, তাই এই সহজ ফ্রশ্ন ডা কইল্লাম। সহজ উত্তর সাই।

৩৬.
এক কারাপের কারাপে কয়, বাংলাদেশের ভুত মানেই নিকি আরব দেসের জীন। আমি বইল্লাম, বাংলাদেশের ভুত বইলতে কিসু নাই, সবই রুফকতার গপ্প। তারফর কারাপ ডায় কয়, তাইলে জীন বইলতে ও কিসু নাই, সবই আরব্য রুফকতার গপ্পো। আমি বইল্লাম, দিমু লাত্তি। হেতি কয়, হুজুর আফনে যুদি হারা জীবন সাদনা কইরা আমারে এক্কান জিন দেকাইতে ফারেন, কুদার কসম আমি হারা জিবন আফনের গুলামি করুম। ফাইরবেন নি দিকাইতে? আমি বইল্লাম, যা, বাগ একান তেকে! জিন চুকে দিকা যায় না।

সমান-অসমান


বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৭

দূরদৃষ্টিহীন সৃষ্টিকর্তা

লিখেছেন পুতুল হক

চোদ্দশো বছর আগের মক্কা নগরী। সেখানে মোহাম্মদ নামে চল্লিশ বছরের এক লোক বাস করতো। তার স্ত্রী খাদিজা একজন ধনাট্য ব্যবসায়ী এবং মোহাম্মদের চাইতে বয়সে পনের বছরের বড়। মোহাম্মদ খাদিজার বেতনভুক কর্মচারী ছিলো এবং পরবর্তীতে ঘরজামাই। ঘরজামাই মানে হচ্ছে গৃহপালিত জামাই।

এক রোদ ঝলমল করা দুপুরে আকাশ থেকে নেমে এলো বিরাট ডানাওয়ালা এক জীব। সেই জীব মানুষের মত করে কথা বলে। মক্কার সব নারী-পুরুষ সেখানে সমবেত হল। ডানাওয়ালা ও সবাক সেই জীব খাঁটি আরবি ভাষায় সবাইকে শুনিয়ে বলল:
- আমি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছ থেকে তোমাদের জন্য আল্লাহর বাণী নিয়ে এসেছি। এই বাণী অনুসরণ করলে তোমরা পাবে ইহলৌকিক এবং পারলৌকিক মুক্তি। এতেই আছে তোমাদের জন্য সর্বকালের জীবন বিধান। তোমাদের মধ্যে যে মোহাম্মদ, খাদিজার স্বামী, আব্দুল্লাহর পুত্র, তাকে মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তোমরা তাঁর কথা শুনবে, তাঁর দেখানো পথে চলবে।

এরপর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মক্কার সকল নারী-পুরুষ ও শিশু মোহাম্মদকে তাদের পথপ্রদর্শক হিসেবে মেনে নিলো। ডানাওয়ালা জীব প্রায়ই আসতো মহান আল্লাহর বাণী নিয়ে, সবাইকে ডেকে তা পড়ে শোনাতো। ধীরে ধীরে আল্লাহ এবং মোহাম্মদের কথা চারদিকে রটে গেলো। দেশ-বিদেশ থেকে লোক এসে মোহাম্মদকে তাঁদের পথপ্রদর্শক হিসেবে মেনে নিল। সারা বিশ্ব আল্লাহতে বিশ্বাস করলো এবং আল্লাহর ধর্ম ইসলাম হল পৃথিবীর একমাত্র সহি ধর্ম।

#

ব্যাপারটা যদি এমন হত, তাহলে কারো মনে কোনো সন্দেহ, অবিশ্বাস থাকতো না। কিন্তু এমনটা হল না।

মোহাম্মদের কাছে প্রথম ডানাওয়ালা জীব এসেছিল হেরা গুহায়। মোহাম্মদ ছাড়া আর কেউ তাকে দেখেনি, কেউ তার কথা শোনেনি। সৃষ্টিকর্তা চাইলো তার কথা প্রচারিত হোক, কিন্তু তার বাণী সে পাঠালো গোপনে।

গোপন ব্যাপারের প্রতি সৃষ্টিকর্তাদের একটু বেশিই আকর্ষণ থাকে।

কোন কোরান


বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা - ৩

লিখেছেন ইমানুল হক

৫.
আল্লা আমাক ৪৫ বছরে অনেক কিছু দিয়েসে তার নিয়ামত ইসেবে। এই যেমুন, কয়ডা দিন দরি একডা মাইয়ারে বালা লাইগদাছে। নাম অইলো মজ্জিনা। আমাগো গিরামেই থাহে। খুব বালা লাগে তারে, বয়স বেশি না। মাথ্র ৯ বছর। যহনি সামন দিয়া যায়, তাহাই থাইকতে মুন চায়। তাছাড়া যহন মনে অয়, নবিজির লগে দেহা অইলে সুন্নতি কামের জইন্য তিনি আমাক ক্যামনে জরাই দরে মুলাকাত কইরবে, তাই বেবে কুশিতে দুই চোক আমার বন্দ অই যায়। যাঅক, আবার গিরামে ইমানদার লুক ইসেবে বড়ই নাম ডাক। ফাচ অক্ত নামায পড়ি, ইডা আল্লার রঅমতে আমার সুনামডাও বাড়াইছে। বিয়ার চিন্তা ডুকি গেল মাতায়। কি করি? ঠিক কইল্ল্যাম, মিয়ার বাফের কাছ গটকডারে পাডাইতে অবি। মিয়ার বাপও আমার মতই একজন খাটি মুমিন বান্দা, দাড়ি-টুপি সব সুময়েই থাহে মাতায়। কফালে সুন্নতি দাগ বানাই পেইলছে ইতিমইদ্দে। আমার বয়সি লুক। বিবাহের ফ্রস্তাবডা দিলাম এলাকার হাপেজসাপ কুদ্রতালি হুজুরের মাইদ্দমে। কারণ হেয় আবার সুন্নতি বেফার-সেফার বালা বুজাইতে ফাইরবো মিয়ার বাপেরে।

আমাগের নবীজি (সাঃ) ও ৫১ বছর বয়সে ৬ বছরের আয়শাক বিয়ে কইচ্ছিলেন। পরে ৯ বছরে গরে উটাই নেন, ছুবানাল্লা। [সুনান আবু দাউদ :: আদব ও শিষ্টাচার অধ্যায় ৪৩, হাদিস ৪৯৩৬ মূসা ইবন ইসমাঈল (র) .... আইশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা যখন মদীনায় আসি, তখন আমার কাছে কয়েকজন মহিলা আসে, আর সে সময় আমি দোলনায় দোল খাচ্ছিলাম। এ সময় আমার মাথার চুল ছোট ছিল। তারা আমাকে নিয়ে গিয়ে সুন্দর রুপে সুসজ্জিত করে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর কাছে নিয়ে আসে। এ সময় তিনি আমার সাথে সহবাস করেন, আর তহন আমার বয়স আছিল নয় বছর।] তাছাড়া কুরানে আল্লাতালা গুসোনা দিয়া কইছেন যে, "বিবাহ কর নারীদের মইধ্য থিকা যাকে তোমাগের বালো লাগে, দুই, তিন বা চারটি। আর যদি আশঙ্কা থাহে যে (স্ত্রীদের মাঝে) সুবিচার কইত্তে ফাইরবা না, তাঅলে (মাত্র) একটি (বিবাহ কর)…." – সুরা নিসা ০৩:০৩।

আরেক বিবিরে কাওয়ানের লাই যতেষ্ট টাহা আল্লায় আমারে দিছে ইনশাল্লায়া। যাঅক, কুদ্রতালি হুজুর দুইদিনেই মিয়ার বাপেরে পডাই পেইল্ল্যেন। আলামদুলিল্ল্যা। বাড়িতে দুই বিবিরেও জানানো ওইলো ফ্রস্তুতি নিতে নতুন বিবির জইন্য। এক নম্বর বিবি যেমুন তেমুন, দুই নম্বর বিবি আবার একটু অল্প সিক্কিত। সে রাগে ফায়ার অই গ্যাছে। সে আমারে কিচুতেই তিন নম্বর বিবাঅ কইত্তে দিবে না। সে আমাক বইল্য বিবাঅ কইত্তে অইলে তাগো পারমিসন লাইগবো। আমিও এদিকে নাচোরবান্দ্যা বিবাঅ করার জইন্য।

আমাগো নবীজি ককনোই বিয়া কইত্তে কুন বিবির অনুমিত লয় নাই। আমি বুইজলাম [নারী শয়তানের রূপ (Sahih Muslim 8:3240)] তারে ফড়া ফানি কাওয়ান লাইগবো। যাইঅক, তারে এক গড়ে আপাতত তালা মারি রাকি বিয়ার প্রতম রাত্রি বাসর সাইরলাম। আলামদুলিল্লায়া!! আল্লা!

কি যে খুশি লাইগদেসে! ইসলামি, ইসলামি একডা শান্তির বাতাস ফাইচ্ছি অন্তেরের মইদ্দে। আল্লা তুমাক অশেষ ধইন্ন্যবাদ নবীর আদশ্য অক্করে অক্করে ফালনে আরো একদাপ আগাইয়া দেওয়ার লাই। পৃতিবিতে যতদিন বাইচবো, মুসলিম অয়েই বাচবো। আল্লা আমাক আরো বালো তাকার তওপিক দেও। আমিন।

গরুপূজারি গাধাগুলো - ১৮৪


বিশ্বাসের দরজায় করাঘাত!: পর্ব ১৮ – (তোর কী হবে রে, হিমু!)

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ


গাঁও-গেরামের মানুষ আমি, ঢাকা এলেই কেমন জানি দমবন্ধ লাগে! অন্তর্মুখী মানুষ হিসেবে পোশাক-আশাক, লৌকিক অনুষ্ঠান খুব একটা ভালো লাগে না আমার! যাক এসব আত্মপ্রচার; আসল কথায় আসি। ২০০৮ সালের ঘটনা, ঢাকায় দু'দিনের জন্য জরুরি কাজে খালাতো ভাইয়ের বাসায় ছিলাম। শুক্রবার বিকেলে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়ছিলাম, হঠাৎ খালাতো ভাই ধরে নিয়ে গেলো হুমায়ূন আহমেদের ভক্তদের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে! গিয়ে পড়লাম মহা ফাঁপরে; শালার খালাতো ভাইসহ সবাই হলুদ রংয়ের পাঞ্জাবি পরে এসেছে। মাঝখানে আমি কালো একটা টিশার্ট পরে পোকার মত কিলবিল করছি! শেষতক বুঝলাম, এটা হিমু-ভক্তদের মিলনমেলা!

শালার ভাইরে কইলাম: "আমি তো জীবনে হুমায়ূন আহমেদের হ পর্যন্ত পড়ি নাই! আমারে নিয়া আসলি কোন দুঃখে! আর আনলি যখন এই কালো টিশার্ট পরে আসতে দিলি কেন! আগে কইলে আর কিছু না পারি, আমার কাছে গু কালারের একটা টিশার্ট ছিলো, সেটা পরে আসতাম! হলুদ আর গু কালার তো প্রায় কাছাকাছি যায়!"

আলোচনা পর্ব চলছিলো; সবাই গুণগান করছিলেন হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট চরিত্র হিমুর! অনেকেই আড়চোখে দেখছিলো আমাকে! এর মাঝে একজন মাইকে বলেই ফেললো, “আমাদের মাঝে একজন কালো রঙের ভাই আছেন! তিনি সম্ভবত হিমু, হুমায়ূন আহমেদ আর আজকের অনুষ্ঠান সম্পর্কে না জেনেই চলে এসেছেন! এবার তিনি আমাদের সামনে কিছু বলবেন!" আমি বুঝলাম, আমাকে বাঁশ দেবার চেষ্টা হচ্ছে, মনে মনে বললাম, “আমারে তো চেনো না বান্দরের (হিমুর) দল! বাঁশ আমি উল্টো দেওয়াও জানি!"

ডায়াসে দাঁড়িয়ে:  
"উপস্থিত বন্ধুরা, সকলকে জন্ডিসীয় ‍শুভেচ্ছা! আজকের অনুষ্ঠানে এসে আমার প্রথম উপলব্ধি যেটা হলো: হলুদের আধিক্যে এই রুমের সবার হয়ত জন্ডিস হয়েছে! জন্ডিসের বাংলা অর্থ সম্ভবত 'ন্যবা', সে হিসাবে আপনারা সকলেই আজ ন্যবার রোগী! আমি হুমায়ূন না-পড়া একজন পাঠক, তাই হিমু বা হুমায়ূন নিয়ে বেশি বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়! আপনারদের সকলের তাঁর লেখার প্রতি ভক্তি দেখে সত্যিই মুগ্ধ হচ্ছি! এবং আপনারা তার সৃষ্টি একটি চরিত্রের প্রতি এতটা নেশাগ্রস্ত দেখে অবাকও হচ্ছি! হয়ত উপস্থিত আপনারা প্রায় সবাই মুসলিম ঘরের সন্তান! যদি আপনারা হলুদ রঙের পোশাকের প্রতি নবী মুহাম্মদের মনোভাব জানতেন, তবে হয়ত অনেকেই হলুদ রঙের পোশাক পরে হিমু হতে দ্বিধাগ্রস্ত হতেন! কারণ:

নবী ‍মুহাম্মদ হলুদ পোশাক পরতে নিষেধ করেছেন!
আলী ইবনে আবু তালিব বলেন নবী মুহাম্মদ আমাকে রুকু অবস্থায় কুরআন তিলওয়াত করতে, সোনার অলংকার ব্যবহার করতে এবং হলুদ বর্ণের পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন
সহিহ মুসলিম: হাদিস ৫৩৩১ (ই.ফা. ৫২৬৪, ই.সে. ৫২৭৭)

নবী ‍মুহাম্মদ হলুদ পোশাক জ্বালিয়ে দিতে বলেছেন!
আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত: নবী মুহাম্মদ আমার পরনে হলুদ বর্ণের দু'খানা কাপড় দেখলেন । তিনি বললেন: তোমার মা কি তোমাকে এ কাপড় পরিধান করতে বলেছে? আমি বললাম, আমি কি এ দুটো ধুয়ে নেব? তিনি বললেন: তুমি এ দুটো বরং জ্বালিয়ে দাও
সহিহ মুসলিম: হাদিস ৫৩২৯ (ই.ফা. ৫২৬২, ই.সে. ৫২৭৫)

তো: উপস্থিত হিমু ভাইয়েরা, কোনো কিছুর প্রতি ভালো লাগা থাকা ভালো, তবে তা যদি আপনার নিজস্ব মৌলিকতাকে নষ্ট করে, তবে তা অনুকরণ করা সব সময় সুখকর নয় - তা সে যা-ই হোক না কোনো! আপনার মন যখন চায়, যে কোনো রংয়ের পোশাক পরতে পারেন, তবে তা যদি হিমুর নামে আপনার স্বকীয়তাকে নষ্ট করার পর্যায়ে চলে যায়, তবে আমার মত কালো বহিরাগত মানুষ নবী মুহাম্মদের উদাহরণ টেনে একথা বলতেই পারে, তোর কী হবে রে, হলুদ হিমু!... আজকের অনুষ্ঠানে আমার মত উটকো ঝামেলাকে কথা বলতে দেবার জন্য ধন্যবাদ!"

(চলবে)

মনজাগরণ যাদের হয় না



মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

নিমো হুজুরের খুতবা - ৩৬

লিখেছেন নীল নিমো

আজকে রাস্তায় এক জাহান্নামি নাস্তিকের সহিত দেখা হয়ে গেল। নাস্তিক দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কারণ, এরা আমার ওযু নষ্ট করে দেয়।

জাহান্নামি নাস্তিকটা আমাকে দেখে দাঁত কেলিয়ে হাসতে হাসতে বলিল:
- হুজুর, আপনি একজন ইসলামি স্কলার। আমি একজন পাতি নাস্তিক। আপনার কাছে একটি প্রশ্ন ছিল, দেখি, উত্তর দিতে পারেন কিনা।

আমি উত্তর দিলাম:
- ওহে পাতি নাস্তিক, তুই কি প্রশ্ন করতে চাস?

নাস্তিক প্রশ্ন করিল:
- কে সর্বপ্রথম কোরান মজিদেকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পবিত্র কোরান মজিদের অবমাননা করেছিল?

আমি বল্লাম:
- নাস্তিকরা?

নাস্তিক উত্তর দিল:
- হয় নাই, ভুল উত্তর।

আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। বলিলাম:
- তাহলে নিশ্চয়ই ইহুদি, নাসারা, খ্রিষ্টান কিংবা হিন্দুরা।

নাস্তিক বলিল:
- হয় নাই, ভুল উত্তর। মুসলমানরাই সর্বপ্রথম কোরান পুড়িয়েছিল। নবীজির ঘনিষ্টতম সাহাবী, ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রাঃ) সর্বপ্রথম কোরান মজিদে আগুন দেন। তিনি আগুন দিয়ে কোরান মজিদ পুড়িয়ে ফেলে আসমানি কিতাব কোরানের অবমাননা করেছিলেন।

নাস্তিকের কথা শুনে কোনোমত ওযুটা শক্তমত চেপে ধরে কেটে পড়লাম।

উন্মুখ উল্লুক উম্মতেরা


সৌদি নারীদের সত্যি কাহিনী - ২

মূল: খালেদ ওলীদ
অনুবাদ: আবুল কাশেম

[ভূমিকা: ডিসেম্বর মাসে খালেদ ওলিদের ইসলাম পরিত্যাগের জবানবন্দির অনুবাদ করেছিলাম। তখন লিখেছিলাম, খালেদ আমাকে অনেক ই-মেইলে সৌদি আরাবের ইসলাম সম্পর্কে লিখেছিল। এখানে আমি তার আর একটি লেখা অনুবাদ করে দিলাম। উল্লেখযোগ্য যে খালেদের এই লেখাটি একটা বইতে প্রকাশ হয়েছে। বইটার টাইটেল হলো: Why We Left Islam. - আবুল কাশেম, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১০]

আগের পর্ব

দেখুন, এই সৌদি সমাজে আমার ভগিনীরা একেবারেই অসহায় এবং সীমাহীনভাবে পীড়িত। নিজেদের জীবন নিজের হাতে নিয়ে চালাবার কোনো অধিকার তাদের নেই। ওরা সম্পূর্ণভাবে আমার পিতা, আমার ও অন্যান্য ভাইদের ওপর সর্বদা নির্ভরশীল। ওরা কোনোভাবেই একা বাইরে যেতে পারে না। ওদের কেউ ঘরের বাইরে গেলে একজন পুরুষ, যেমন ভাই অথবা পিতাকে নিয়ে যেতে হবে - তার দেহরক্ষী অথবা সহায় হিসেবে। এমনকি দুর্ঘটনা, হাসপাতাল অথবা অন্য কোনো জরুরি অবস্থাতেও ওদের কেউ ঘরের বাইরে পা ফেলতে পারবে না। বিশ্বাস করুন, ওদের কারও হাসপাতাল যাবার প্রয়োজন হলে আমার ভাইকে ডাকতে হবে। তাকে অন্য শহর থেকে আসতে হবে ৩০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে। সৌদি আরবে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষেধ; আমার বোনেরা গাড়ী চালাতে পারে না, আমার পিতাও গাড়ী চালানো জানেন না। এসব কারণে আমার ভগিনীদের এই সীমাহীন দুর্দশার মাঝে কালাতিপাত করতে হয়। যতই জরুরি বা গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, ওদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য ওদেরকে ওদের মাহ্‌রামের (আমি, আমার ভাই অথবা পিতা) জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া ওদের কোনো পথ নাই। এদিকে আমার পিতা কেমন করে ব্যাংকের কার্ড (এ টি এম) ব্যবহার করে টাকা তুলতে হয়, তা জানেন না। তাই আমার কোনো ভগিনী টাকা ওঠাতে চাইলে তার কার্ড কোনো অজ্ঞাত লোকের হাতে তুলে দিতে হবে। নিত্যনৈমিত্তিক জিনিস কিনতে চাইলে টাকা কোনো অজানা পুরুষের হাতে দিতে হবে। সেই লোক তখন যা খুশি তাই দাম বলবে। এভাবে সৌদি মেয়েদের দৈনিক অসীম দুর্দশাপূর্ণ অবস্থার মাঝে জীবন কাটাতে হয়। আমি এখানে মাত্র কয়েকটি উদাহরণ দিলাম। আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি আমার নিজের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ওদের সাহায্য করি।

নিত্য নবীরে স্মরি – ২৭৯


সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭

চিঠি হুমকি - ২: খসরু পারভেজ-এর প্রতিক্রিয়া ও নির্দেশ!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব-১৬৩): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত সাঁইত্রিশ

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে)

স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দামেস্কের শাসনকর্তা আল মুনধির বিন আল-হারিথ ও পারস্যের শাসনকর্তা 'কিসরার' কাছে যে চিঠি-হুমকি প্রেরণ করেছিলে,ন তার ভাষা কেমন ছিলো, সেই চিঠিগুলো পড়ার পর এই শাসকরা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন, তা জানার পর মুহাম্মদ তাঁদেরকে কীভাবে অভিশাপ বর্ষণ করেছিলেন, তার আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

প্রশ্ন হলো,
"বিনা উস্কানিতে যদি কোনো ব্যক্তি শাসকদের কাছে চিঠি লিখে ঘোষণা দেন যে 'আমার বশ্যতা স্বীকার করো, তাহলে তুমি হবে নিরাপদ', অতঃপর তাঁরা যখন সেই হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন, তখন সেই ব্যক্তিটি তাঁদের কে করেন অভিসম্পাত, তবে এই শাসকদের পক্ষ থেকে ঐ ব্যক্তিটির বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে?"

আল-তাবারীর (৮৩৮-৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ) অব্যাহত বিস্তারিত বর্ণনা: [1] [2] 

পূর্ব প্রকাশিতের পর:

দ্বীনবানের দীন বাণী - ৫৮


মডারেট মুছলিম বা ইছলামের অন্য কোনও ইজ্জতরক্ষক "ইহা ছহীহ ইছলাম নহে" জাতীয় বাণী বর্ষণের আগেই একটি হাদিস জেনে নিন, যাতে ইছলামের নবী বলেছে, "আমি সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছি।" (বুখারি ৫২:২২০)

ইসলামে যা প্রধান

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ

পাঁচ-পাঁচবার নামাজ পড়ি,
তিরিশটা দিন রোজা,
তারপরেও কমছে না তো
আমার পাপের বোঝা!

প্রতি বছর দিচ্ছি জাকাত,
দিচ্ছি বড় দান,
তবুও কেন পাই না অামি
বেহেস্তী সুঘ্রাণ!

তিরিশ পারা কোরান পড়ি
বুঝি বা না বুঝি
বুখারী অার মুসলিমে তাই
সঠিক রাস্তা খুঁজি!

উমরা করি, হজ্জও করি
মক্কা-মদিনা গিয়া,
হালাল বিবি রাখছি ঘরে
বোরখা-হিজাব দিয়া!

মিথ্যা কথা কই না আমি
হালাল কামাই খাই,
তবুও কেন বেহেস্ত যাবার
নিশ্চয়তা নাই!

তবে যদি...

সকল কিছু ফালায় দিয়া
জিহাদ-পথে যাই,
তবেই নাকি হুর-গেলমান
ডিরেক্ট বুকে পাই!

নবীর হাদীস স্পষ্ট বলে,
হও রে আগুয়ান -
তলোয়ারের তলেই অাছে
বেহেস্তী আসমান!

নবী আমার সোনার খনি
তার কথাটাই খাঁটি,
নামাজ পড়ো, যুদ্ধ করো
হও রে পরিপাটি!

যদ্দিন না খোদার শাসন
কায়েম নাহি হয়,
হাতে রাখো অস্ত্র, বুকে -
জিহাদী হৃদয়!

তেল বলো আর সোনাই বলো
অাসল সেটা নয়,
ইসলামেতে জিহাদ প্রধান
সত্য পরিচয়!

মডারেট সুবচন


শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৭

কুদরতিক্রিয়া - ১৩

লিখেছেন গরিব অল্ফ সিক্কিত মাদেসার হুজুর কুদরত আলি

৩১.
কম্ফিটার এর উফরে ডিফ্লমা কইত্তে যাই জীবন ডা শ্যাষ। ইহুদি নাসারা রা যে কেমতে এত জটিল কম্ফিটার বানাইল, বুজি না। এই ডিফ্লমা ফরিক্কার কারনে আজিয়া সুক্কুরবারের জুম্মার নামায ডা ফইয্যন্ত ফইত্তে ফারি নাই। মেহফিলে সুময় দেওয়া ত দুরের কতা, ঠিক মত বাত কাওনের অ টাইম নাই। টাট্টিকানায় গিয়া অবসর ফাইলে পেচবুকে একটু ডুকি আরকি। হে আল্লা, তুমি আরে উডাই নেও, আমি নাস্তেক দের সাতে মুকাবিলা কইত্তে যাই কম্ফিটার সিকতে সিলাম। আর এই ডিফ্লমার খারনে আমি নামাযে ঠিকমত সুময় দিতি ফারি না। সব দুস অই ইহুদি নাসারা নাস্তেক দের।

৩২.
আমরা করতি আসি জিহাদ, আর হালার সরকারে কয় জংগিবাদ।

৩৩.
আজিয়া সকালে জাবেদ আলি সাসার বস্তিতে গিয়া দেকি, সাসারে তার বড় বউ ঝারু দিয়া পিডাইতেছে। আর সাসায় বাচনের লাই তার ছুডু বউ এর কোলে উডি বই রইসে। তাবিজ বেচনের টেকা দিয়া হেতি কিসু ফান বিরি কাইসিল আর ছুডু বউ এর লাগি এক্কান লিপিসটিক কিনি আইনসিল। আর তাতেই বড় বিবি খেপি ঝারু দি পিডাইছে। সারাদিন তাবিজ বেচি মুডে আসি টেকা সাসায় তার বড় বউ এর আতে তুলি দেয়। আর বাকি টেকা দি না জানি কি কি করাসেন, আল্লাই তা বালা জানেন।

জাবেদ সাসার বড় বউ রে দেকলি ফরে আমার বাংলা সিনেমার বেডি বিলেন রসুন জামিল মেডামের কতা মুনে ফরি যায়। দুইজনে এক্কেরে সেইম টু সেইম। সাসারে কত বুজাই, আজেবাজে টেকা করচ করন চাড়ো। সংসার যকন বড় করস, তকন সব বিবিরে সুমান চুকে দেক। কিন্তু সাসায় কতা সুনে না। ছুডু বিবিরে লুকাইয়া জিলাপি কিনি কাওয়ায়। মাইজ্জা ডা রে এইডা ওইটা কিনি দেয়, আরও কত কি বইলব! নিজের দুসে এই বুড়া বয়সে ঝারুর পিডা কাইলে কার কি করার আচে, কন?

ইছলামী জঙ্গিবাদ ও ইউরোপীয় সুশীলতা


(পূর্ণাকারে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করতে হবে)

জিহাদের বাস্তবতা

লিখেছেন সাঈদুর রহমান

(লেখাটি লিখেছিলাম ২০১৪ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর। জিহাদ নিয়ে বুখারী হাদিস থেকে অনেকটা বিশ্লেষণধর্মী এই লেখাটি ছিল মডারেটদের উদ্দেশ্যে।)

কেন জানি মনে হচ্ছে, আইসিসকে অনুসরণ করে আরো কয়েকটি জিহাদী দল ইসলামিক খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশও এটার বাহিরে নয়।

জিহাদ নিয়ে কার কী ধারণা, জানা নেই। সবার কাছে হয়তো নিজ নিজ ব্যাখ্যা আছে, যা জিজ্ঞাসা করলে অবশ্যই পাওয়া যাবে। কেউ হয়তো বলবেন, বাবা-মায়ের সেবা করা এক ধরনের জিহাদ। আবার কেউ কেউ বলবেন, নিজেকে শয়তানের কাছ থেকে বাঁচিয়ে রাখাও জিহাদ। তবে হাদিস-গ্রন্থগুলো পড়লে চিত্রটা অন্যরকম লাগে। বুখারী শরীফের জিহাদ অধ্যায় থেকে কয়েকটা হাদিস বলি। হাদিসগুলো মনে রাখবেন। মানুষ কেন জিহাদে যেতে চায়, বুঝে যাবেন। এবং নিজে অবশ্যই হাদিস শরীফ খুলে পড়ে নেবেন।

মোমিনাকে জঙ্গি বানানোর পদ্ধতি

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

নিমো হুজুরের খুতবা - ৩৫

লিখেছেন নীল নিমো

গত শুক্রবার বয়ান দিচ্ছিলাম ঠিক এইভাবে:
- জাহান্নামি নাস্তিকরা মনে করে, আল্লাহ নাই, সবকিছু নাকি শূন্য থেকে আপনা-আপনি সৃষ্টি হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ। কতটা মাথা খারাপ হলে মানুষ এই কথা বিশ্বাস করতে পারে? নাস্তিকদের আসলেই মাথা খারাপ।

পাশে একজন জাহান্নামি নাস্তিক বসা ছিল, সে উত্তর দিল:
- হুজুর, আপনি কি তাহলে শূন্যতে বিশ্বাস করেন না?

পল্টিবাজ কোরান - ০৭


হাদীসের প্রথম পাঠ - ০২

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ


মানুষ মুহাম্মদ - নবী মুহাম্মদ

আবু কাশেম মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব! ৬১০ সালের শুরুতে মক্কায় এ নামেই পরিচিত ছিলেন মুহাম্মদ, এখন যাকে আমরা ‘নবী মুহাম্মদ’ নামে চিনি। ৬১০ সালের আগষ্ট মাস থেকে এই আজকের দিন পর্যন্ত ‘মানুষ মুহাম্মদ’-এর ওপর নবুয়্যতের যে-পোশাক চাপানো হয়েছে, তারই ফলশ্রুতিতে পৃথিবী আজ দুটি ভাগে বিভক্ত; একদলে আছে মুহাম্মদের অনুসারী মুসলিম, বাকি সমগ্র পৃথিবীর মানুষের পরিচয় অবিশ্বাসী-কাফের নামে!

যেহেতু এই সিরিজটিতে আমরা মানুষ মুহাম্মদ ও নবী মুহাম্মদের ভালো-মন্দের একটি রূপরেখা তুলে ধরবো, তাই প্রথম অধ্যায়ে সব বিষয়ের ছোট-খাট আভাস দেবো। চলুন, প্রথমেই জেনে নিই কেমন ছিলেন এই মানুষটি, চেহারা থেকে শুরু করে মন-মননে, চাল-চলনে।

হিজাবী হুরি যতো - ৯


বুধবার, ২২ মার্চ, ২০১৭

সহি ইছলাম প্রসারণ প্রকল্প

লিখেছেন বেনামী সংস্কারক

সুবানাল্যা, মাশাল্যা... ইছলামই একমাত্র সত্য ধর্ম, শান্তির ধর্ম, আর সেই জন্যই ইছলামের সায়াতলে নাসতেক কাফেররা দিনের পর দিন আশ্রয় গ্রহণ করছে। একদিন পুরো বিশ্ব এভাবেই ইছলামবাজ দিয়ে ভরে যাবে।

এখন দেখা যাক, ইছলাম ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা পৃথিবীতে সবচাইতে বেশি যেভাবে:

ধাপ ১:
জোর করে অন্যদের মুসলম্যান বানানো।

যেমন, জেলখানার কলিগ থুক্কু কয়েদিকে জোর করে মুছলিম-হবি-নয়তো-গর্দান-যাবে বলিয়া হুমকি। এছাড়া নেটে হাজার হাজার খবর পাবেন বিশ্বস্ত সূত্রসহ, যেখানে দেখবেন, লোভ দেখিয়ে বা জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়

ধাপ ২:
এর পরে জনসংখ্যা ডেসটিনির হাতের চাইতেও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধিকরণ।

যেমন, এবার ইউরোপে প্রভাব বিস্তারের লক্ষে পাঁচটি করে বাচ্চা নিতে বলল এর-দো-আন। জানেন তো, মুছলিমদের সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য পালে-পালে বাচ্চা বিয়ানোর জন্য উৎসাহ দেয়া হয় ইছলামে। আর তাছাড়া, ইছলামে জন্মনিয়ন্ত্রণ হারাম তো বটেই।

ধাপ ৩:
সারা পৃথিবীতে শান্তির নজির ছড়িয়ে দিতে গিয়ে শহিদ নতুবা শ্রীঘর (রেফারেন্স চাহিয়া লজ্জা দিবেন না)


বারবার ধাপ ১-৩ এর অনুসরণ।

নিশ্চয়ই মুছলম্যানরা সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে গর্ব করার অধিকার রাখে।

ক্রুশের বদলে


কুদরতিক্রিয়া - ১২

লিখেছেন গরিব অল্ফ সিক্কিত মাদেসার হুজুর কুদরত আলি

২৮.
নাস্তেক দের কতা মুনে অইলে ফরে আমার সুদু আসি ফায়। খিক খিক খিক... হি হি হি। নাস্তেক রা কয় দুয়া নিকি হস্ত মিতুন এর মত। যাকে বেবে করা অয়, তার কুনু কামে লাগে না। সুদু যে করে, সেই সুক ফায়। হা হা হা। নাস্তেক দের কতা সইত্য হলি ফরে ত আজিয়া আমরা ইস্তেমার মাডে সবাই মিলি কত বরো হস্তমিতুন করি ফেইল্লাম। সেক হাসিনাও আমাদের সাতে হস্ত মিতুন কইল্লেন। কিন্তু নাস্তেক রা কয়, এইগুলাক নিকি কুনু কামে আহে না! দুয়া যুদি কুনু কামে না আইসত, তাহলে ফিতিবিতে এত এত মানুস দুয়া করে কেন, অরে নাস্তেক?

২৯.
নাস্তেক রা কয়, আসমান বলি নাকি কিসু নাই। নীল যে রং আমরা দেখি, অইটা নাকি আমরার দৃষ্টি সীমা। আসমানের কুন রং নাই। এ জন্যি রাতের আকাশ রে কালো দেখায়। আসমান নাকি আলুর ফ্রতিফলন। মঙ্গল গ্রহের আকাশ নাকি লালচে বা বাদামি! এখন গুগলে সার্চ দিয়া দেখি, গঠনা সত্যি। এখন আমি কিতা করতাম? আমি ত নাস্তেকদের কথায় বিব্রান্ত হই যাইতেছি।

৩০.
আজিয়া মাদেসার মুহতামিম বরো হুজুরের কাস তেকে সেই গাইল কাইসি। হুজুর কয়:
- হারা রাত জাগি জাগি পেচবুকে কিয়া করেন? পজরের অয়াক্তে টিক মত উডতে ফারেন না। নামাচে সব সুময় লেইট করেন। সকালে মাদেসায় আইসা জিমান।

আমি কইলাম:
- হুজুর, আমার উপ্রে সয়তানে আসর কইচ্চে। আমি কিয়া করাম? পেচবুকের মুহো আমাকে আসন্ন করি ফেলাইসে। দুইয়াদারি কাম লই আমি বেস্তো অই গেসি। হুজুর, আমার জইন্ন দুয়া করেন আর সয়তানের দুকা তেকে বাছার ফত দিকাই দেন।

হুজুর অনেক্কন সিন্তা কইরা আমার এক্কান তাবিজ দিসেন আর এক গেলাস ফানি ফরা ফু দি কাওয়াসেন। একন আল্লা মালুম, আমি যেনু সয়তানের দুকা ত্তন বাচি সহি চালামতে চইলতে ফারি। সবাই দুয়া কইরবেন...

ইসলাম ভইরা দে


মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা - ২

লিখেছেন ইমানুল হক

০৩.
আমি যেইদিন হইছি, সেইদিন খুবই বিস্টি আছিল। আমি হওয়ার সাত সাত আমার বাপ (হেমায়েতুল হক) দৌড়াইয়া গেছে আযান দেওয়ার লাই, আমার হুজুর চাচার আদেশে। আযানও দিতাছে, আমারও কান্দন ইস্টার্ট। আমার বাপে গেছেগা আযান ভুইল্ল্যা। হুজুর চাচা কয়, এই যে শয়তানের ছুয়াতেই এমন হইছে। (জন্মের সময় সন্তান কাঁদে শয়তানের স্পর্শে। - সহিহ বুখারি, খণ্ড ৪, বই ৫৪, হাদিস ৫০৬)। যদিও ডাক্তরেরা ভুয়া কতা বলি বেড়ায় যে, "জন্মের সুময় শিশু যহন অয় তহন ভ্রূণস্তরের এমনিওটিক ফ্লুইড আর অন্যান্য নিঃসরনের ফলে লাংস কলাপস অয় আর শ্বাস -প্রশ্বাসের ক্রিয়া তহনই শুরু অয়।এইসব সিক্রেশনের জইন্য শ্বাস প্রশ্বাসের রাস্তা ঠিকমত ক্লিয়ার অয় না। তাই বাচ্চা সর্বশক্তিতে কাইন্দা ওঠে আর ক্লিয়ার শ্বাসপ্রশ্বাস তহনই শুরু হয়। আর লাংস তহনইএকটিভেটেড অইয়া যায়।"

যাইঅক, ডাক্তরগো ভুল দারণা একদিন ঠিকই ভাংবে, কিন্তু আপছুস, তাগোরে কেউ জাহান্নামের আগুন থিকা বাচাইবার পাইরবনা। যাক, ঘটনায় আসি। বাপে ছিলো নাছোড়বান্দা, হুজুর চাচারে দিয়া ঝাড়াইয়া তারপর ক্ষান্ত দিছে। যার বদৈল্যতেই আমি আইজকার এই ফরহেজগার ইমানুল হক, ইমান লইয়া দ্বীনি জীবন যাপন কইরতেছি। আমার বাপ খুব বালা লোক আছিলো। আল্লা তাক বেস্ত নসিব করুক। সবাই আমার বাপের লাই দোয়া কইরবেন। আরেকডা ব্যাপারে দুয়া চাই: আমি যেন এই শক্ত ঈমান লই বাইচতে ফারি।

০৪.
এক কাফের মুশরেকের কতার জবাব দিব আইজ। হেই মুনাফেক হালা নবির সুন্নত খতনা নিয়া হাসে, কয়, "বুল করেছে আল্লায়, সুধরাইবো কি মোল্ল্যায়?" (নাউজুবেল্লা)।

যাক, গটনায় আসি, আমার বয়স তহন ছয় বছর। বাপে ঠিক কইল্য সুন্নতে খতনা করাইব। এই নিয়া খুবই ব্যতিব্যস্ত অই গেল। কী আর করার, ডাক ফইড়ল আমাগের হুজুরচাচার। হে আবার এই কাজে ইক্সপার্ট। কারণ সুন্নতে খতনা নিকি আবার সুন্নতে মুয়াক্কাদা। হাদিসে আছে, "হযরত উসামা ইবনে যায়েদ রাযি. হ্যার পিতা থিকা বর্ণনা করেছেন, রাসূল স. কইছেন, খতনা পুরুষদের জইন্য সুন্নত। আর নারীদের জইন্য সম্ভ্রমের উপকরণ। (মুসনাদে আহমাদ: হাদীস নং-২০৭৩৮)।

তা আমি যহন হুনলাম, আমি ত ভয়েই শ্যাষ। আল্লা আমার নুনু কাটি লাইব, তাইলে আমি মুতুম কি দিয়া! আমি ত চাইছি ছুটি ফলামু। কিন্তু যাইওক, আমাক দরি আইনলো আমার সুলেমান মামা। আমাক নেওয়া অইল হুজুর চাচার কাছে। উনি মামাকে বইল্লেন আমাক ফিছ মুরা করি দইরতে। আর আমাক কইলেন, "ইমান, ভয়ের কিছু নাই, খালি একখান ফিফড়ার কামুর খাইবা। কিচ্চু অইবনা।" কে হুনে কার কতা, আমিতো আগেই চিল্লান ইস্টার্ট করি দিসি। আমাক কইল চোখ বন্দ কইরতে। ভয়ে ভয়ে বইল্লাম, ইক্টু ফিফড়ার মত ব্যতা ফাইলাম, দেহি কাম গটাই ফেলছে। যাক, বাবা খুশি অই কইল, "দেহ ইমানের মা, আমগো ইমান আইজকা থিকা মুসলমান অই গ্যাছে, পুলাডা এত দিন মালোয়ান আছিল। আল্লার দরবারে লাক লাক শুকরিয়া।"

আমি হেই দিনডার কতা আজও মনে করি, কত কষ্ট করি আমি মুসলমান অইছি। কিন্তু তাগের অগ্রিম জায়ান্নামি চিত্র দেকি খারাপ লাগে, যারা আল্লার এই নিয়ামত না বুজি খিকখিক করে হাসে আর কয়, "বুল করেছে আল্লায়, সুধরাইবো কি মোল্ল্যায়?" আমি তাগের কইতে চাই, "তরার ত জন্মের ঠিক নাই, আল্লার নবির সুন্নত ক্যামনে বুজবি!! এই জন্যই তরা হারামী কাফের, মুশরেক আর সিষ্টির নিক্রিষ্ট ফ্রানি। (আল্লা কইছে, "তারাই সিষ্টির নিক্রিষ্ট ফ্রানি, যারা সত্য ফ্রত্যাখ্যান করে আর অবিশ্যাস করে।" - কুরান ৯৮:৬)। আল্লা তগের হেদায়াত দেক।"

পরিশেষে কই, এ আল্লা, আমাক তুমি মাপ করি দেও, অগো কতা মনে ফইড়লেই আমার নাফাকি কতা মুগদা চইল্লা আহে, অযুডা সাত সাত ভেংগে যায়। যেবাবেই ওক, আমাক আমার ইমান নিয়ে চলার তৌফিক দেও মাবুত। আমিন।

কোরান ও রবীন্দ্রনাথের কুম্ভিলকবৃত্তি

শুধু ইহুদি-নাছারার বিজ্ঞানীরাই কি কোরান থেকে চুরি করে? না, এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কাফের কবিরাও। রবীন্দ্রনাথের কথাই ধরা যাক। তিনি তো কোরানের একটি আয়াত থেকে পুরো চোথা মেরেছেন!




নিমো হুজুরের খুতবা - ৩৪

লিখেছেন নীল নিমো

আজকে সকালবেলা এক নাস্তিককে মুসলমান বানাতে গিয়ে আমিই নাস্তানাবুদ হয়ে গেলাম। ঘটনাটি নিম্নরূপ:

গতকাল রাত্রে এক নাস্তিককে বলেছিলাম:
- ইসলাম খুবই সহজ ধর্ম। শুধুমাত্র পরিপূর্ণ জীবনবিধান পবিত্র কোরান মজিদকে মেনে নিলেই হবে। সে মুসলনমান হয়ে যাবে। হিন্দু, খ্রিষ্টান, ইহুদি ধর্মের মত ইসলাম ধর্ম জটিল ধর্ম নয়। ইসলাম ধর্মকে আল্লাহপাক মানুষের জন্য সহজ করে দিয়েছেন।

আলহামদুল্লিলাহ, আমার কথা শুনে, নাস্তিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি হয়ে গেল। ঠিক হলো, আজকে সকালবেলা নাস্তিক আমার কাছে এসে কালিমা পড়ে মুসলমান হয়ে যাবে।

তো, আজকে সকালবেলা নাস্তিক আমার কাছে এলে আমি নাস্তিককে কালিমা তৈয়েবা পড়িতে বলিলাম:
- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।

নাস্তিক বলিল:
- হুজুর, আমি কোরানের আয়াত ছাড়া কোনোকিছুই পড়িব না। কালিমা তৈয়েবা কোরান শরিফে নাই।

আমি বলিলাম:
- হাদিসে আছে। পড়ে ফেলুন।

নাস্তিক বলিল:
- নবীজির মৃত্যুর ২০০ বছর পর হাদিস রচনা করা হয়েছিল। হাদিস আসমানি কিতাব নহে। উজবিকাস্তানে জন্ম নেওয়া তুর্কি ইমাম বুখারী, সহি হাদিস সংকলন করেছিলেন ৮৪০ সালে। শিয়া, সুন্নি, আহমেদিয়া, সুফিরা সহি হাদিস নিয়া দ্বিমত প্রকাশ করেছে। এমনকি অনেক সুন্নিও দাবি করে যে, তাওহীদ এবং রিসালত এক সাথে কোনো হাদিসে আসে নাই। তাই বিতর্কিত হাদিস পড়ে আমি মুসলমান হতে চাই না। আপনি বলেছিলেন, আসমানি কিতাব কোরান মানলেই হবে। মুসলমান হতে হলে বিতর্কিত হাদিস পড়তে হবে, এটা আপনি তো আগে বলেন নাই।

নাস্তিকের কথা শুনে আমি তব্দা হয়ে গেলাম। আমার নিজের ঈমানের ভিত্তি লইয়া নাস্তিক টান মারল। আমার মাথাটা ঘুরে উঠলো। আমার দুরবস্থা দেখে নাস্তিক তাড়তাড়ি ১১২-তে ফোন করল।

গরুপূজারি গাধাগুলো - ১৮৩


সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭

পুতুলের হক কথা - ৩০

লিখেছেন পুতুল হক

১১২.
এই দেশের অধিকাংশ মুসলমানের ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্থ না-বুঝে কোরআন খতম করা পর্যন্ত। তাদের খ্রিষ্টধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান বিটিভির বড়দিনের অনুষ্ঠান। আর হিন্দুধর্ম সম্পর্কে তাদের জ্ঞান বিটিভির জন্মাষ্টমী আর দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান। বুদ্ধপূর্ণিমার ক্ষেত্রেও তাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বিটিভি সেরা। কিন্তু যারা সাম্প্রদায়িক (আর ধার্মিক মানেই সাম্প্রদায়িক), তাদের মধ্যে কখনো স্থায়ী সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হয় না।

১১৩.
এতোগুলো স্রষ্টা পৃথিবী জুড়ে, কিন্তু আন্তর্জাতিকমানের স্রষ্টা নেই একটিও। আমাদের মহান আল্লাহ বেহেস্তে আমের কোন বন্দোবস্ত রাখেননি। আম্রপালি, ল্যাংড়া কিংবা হিমসাগর যেখানে ফলে না, সেটা আবার কিসের বেহেস্ত? রোজার মাস ছাড়া বাকি সময়ে খেজুর দেখলে মনে হয় উটের খাবার। অবশ্য উট খেজুর খায় কি না, আমি জানি না।

১১৪.
ভয়ংকর সাম্রাজ্যবাদী রাজনৈতিক কৌশলের নাম ইসলাম। এই মতবাদ সবার আগে দখল করে আক্রান্তের বিবেক, স্বাভাবিক বোধ, মানবিকতা আর ন্যায়পরায়ণতা। আক্রান্ত ব্যক্তি এসব মানবিক গুণ বন্ধক দিয়ে নিজেকে সমর্পণ করে এমন এক সত্ত্বার কাছে, যে নির্দেশ দেয় - পিতা পুত্রের গলায় ছুরি চালাও, ভাই ভাইকে গুলি করো। এমনই এক সত্তা, যে নারী-পুরুষের স্বাভাবিক প্রেমকে তার অস্তিত্ত্বের প্রতি হুমকি মনে করে। এমনই এক সত্তা, যে মানব জাতির অর্ধাংশ নারীকে কেবল যৌনসামগ্রী হিসেবে দেখতে শেখায়। তার তৈরি বেহেস্তে নানান আরাম-সামগ্রীর মধ্যে নারীও কেবল এক সামগ্রী। ইচ্ছে হল, ৭২ নারী কাউকে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়ে গেলো! আহা... ভুল হয়ে গেলো। তারা তো নারী নয়, তারা হুর। নারীর চাইতেও আরামপ্রদ!

পারলৌকিক প্লেবয়


সৌদি নারীদের সত্যি কাহিনী

মূল: খালেদ ওলীদ
অনুবাদ: আবুল কাশেম

[ভূমিকা: ডিসেম্বর মাসে খালেদ ওলিদের ইসলাম পরিত্যাগের জবানবন্দির অনুবাদ করেছিলাম। তখন লিখেছিলাম, খালেদ আমাকে অনেক ই-মেইলে সৌদি আরাবের ইসলাম সম্পর্কে লিখেছিল। এখানে আমি তার আর একটি লেখা অনুবাদ করে দিলাম। উল্লেখযোগ্য যে খালেদের এই লেখাটি একটা বইতে প্রকাশ হয়েছে। বইটার টাইটেল হলো: Why We Left Islam. - আবুল কাশেম, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১০]

অনেকেই বলে থাকেন, ইসলাম নারীদের শ্রদ্ধা করে এবং তাদের মূল্য দিয়ে থাকে। কিন্তু আমার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি বলতে পারি, এই ধারণা সর্বৈব মিথ্যা। সৌদি আরবের আদি অধিবাসী হিসেবে আমি স্বচক্ষে দেখেছি, কী ঘৃণ্য ও নীচুভাবে ইসলামী সমাজে নারীদেরকে স্থান দেওয়া হয়েছে। আমি যা চাক্ষুষ দেখেছি - ইসলামে নারীদের কী দুর্দশাদায়ক ও হীনকর অবস্থা - তা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করব এই রচনায়। আমি হলফ করে বলতে পারি: এই রচনার প্রতিটি শব্দ সম্পূর্ণ সত্য এবং সত্য ছাড়া এক বিন্দু মিথ্যা নেই। এই রচনায় কিছুমাত্র মনগড়া বা অতিরঞ্জিত বিষয় নেই। এই লেখা আমি নিজের মন থেকে লিখেছি, কেউই আমাকে বাধ্য কিংবা প্রভাবিত করেনি এই লেখার জন্য। এর কারণ - আমার জন্ম সৌদি আরবে, এবং এই সৌদি আরবেই আমি পাকাপোক্তভাবে থাকি।

নিত্য নবীরে স্মরি – ২৭৮


রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৭

চিঠি-হুমকি - ১: দামেস্ক ও পারস্যের শাসনকর্তার কাছে!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব-১৬২): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – একশত ছত্রিশ

লিখেছেন গোলাপ

(আগের পর্বগুলোর সূচী এখানে)

"যে মুহাম্মদ (সাঃ) কে জানে সে ইসলাম জানে, যে তাঁকে জানে না সে ইসলাম জানে না।"

স্বঘোষিত আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হুদাইবিয়ার সন্ধিচুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন করার পর (পর্ব: ১১১-১২৯) প্রায় চার বছর জীবিত ছিলেন। তিনি তাঁর ঘটনাবহুল নবী-জীবনের শেষের এই চারটি বছর (মার্চ, ৬২৮ সাল - জুন, ৬৩২ সাল) আরব, পারস্য, বাইজানটাইন (রোমান) ও ইথিওপিয়ার কিছু শাসকদের কাছে যে-চিঠিগুলো লিখেছিলেন, সেগুলো তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি তাঁর কোন কোন অনুসারীদের পত্রবাহক রূপে নিযুক্ত করেছিলেন - তার আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

আমাদের আত্মীয়েরা – ১০৫

আমরা বানরেরই বংশধর, হাওয়ার পোলা নই।

কুদরতিক্রিয়া - ১১

লিখেছেন গরিব অল্ফ সিক্কিত মাদেসার হুজুর কুদরত আলি

২৫.
এক বদমাইশ ইনবকসে আমারে কয়, হুজুর আফনেরে আমরা সগলে মিলি এক্কান উফাদি দিমু আর আফনি তা নামের লগে বেবহার কইরবেন। আমি বইল্লাম, আইসসা, তা উফাদি কানা কি? সেতি বইল্ল, আল্লামা কুদরত আলি বগলফুরি (দাঃ বাঃ)। আমি কুসি অই বইল্লাম, মাশয়াল্লা মাশয়াল্লা কুব বালা, আমি গহন কইল্লাম। হেতি এইবার কয়, হুজুর তাইলে আজিয়া তেকে আফনি আল্লামা কুদরত আলি বগলফুরি দাত বাংগা। আফনি যে হারে নাস্তেকদের দাত বাংগেন আর দুম্বার গুস্ত কাই আফনের এক্কান দাতও ত বাংগা, তাই আফনাকে আমরা কুদরত আলি (দাত বাংগা) উফাদি দিলাম। নাউজুবেল্লা নাউজুবেল্লা, দূরে গিয়া মর সালা কাফির! বলি আই হেতির দিকে এক্কান সাফাতির চবি ইনবকসে ফাডাই দিসি। আর কাফের সুদির ফুত রে কই, দাত বাংগা কিন্তু আমাগের নবিজির সুন্নত। আমাগের নবিজির এক্কান দাত মুবারক অ বাংগা সিল। তাই বইলে ত আমাগের নবিজিরে কেউ এমুন নামে ডাকত না। সুদু মাত্র তর মত ইতর বদমাইস কাফের হইলেই একমাতর নবিজিক এমুন নামে ডাকা সম্বব। আর সাফাতির সবি দেকি আসা করি বয়ে সেতি আর আমাক দাত বাংগা কওয়ার সাহশ ফাবে না।

২৬.
কালিজিরার উপর কিছু দিন যাবত আমল কইত্তেছিলাম। এখন দেখি টাওয়ারের সিগনাল ব্যাপক স্ট্রং হই গেছে। রাইতে বিরাইতে টাওয়ারে শুধু আজে বাজে সিগনাল দেয়। একন আমি কি কত্তাম?

২৭.
এক নাস্তেক আমারে কয়, গনিমতের মাল নাকি নবিজি একা ভোগ কইরতেন। ওরে নাস্তেক, সুরা আল-আনফাল (৮) এর ১ নং ও ৪১ নং আয়াত দেখ। আমাদের নবিজি এত নিমক হারাম না যে, গনিমত এর মাল একা ভোগ কইরবেন। নবিজি তার দোস্ত আল্লারে ভাগ দিয়া তারপর গনিমত ভোগ কইত্তেন। সুরা আনফালের ৪১ নং আয়াতে পস্ট উল্লেখ আছে, গনিমতের মালের এক পঞ্চমাংস অর্থাৎ ৫ ভাগের ১ ভাগ আল্লার। তার দোস্ত ছাড়া নবিজি কি একলা গনিমত খাইতে পারেন। এইবার নাস্তেক টা জিগায়, গনিমতের মাল নবিজি আল্লার কাছে পাঠাইতেন কেম্নে - বিমানে না রকেটে? এই বার আর সহ্য হইল না, দিচি নাস্তেক টারে লাথি মাইরা ফালায়া।

ইছলামী জিহাগ



প্রাসঙ্গিক সংবাদ: একদুই

শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৭

আল্লাহর অস্তিত্বের অকাট্য প্রমাণ – ১২

আল্লাহর অস্তিত্বের শত-সহস্র অকাট্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বেতমিজ নাস্তিকেরা তাতে ঈমান আনতে চায় না। অথচ তারা নাকি যুক্তিবাদী! বর্তমান সিরিজে তাদের উদ্দেশে একের পর এক প্রমাণ হাজির করা হবে। দেখা যাক, এবার তারা কী বলে।

প্রমাণ ৫৬.
বিগ ব্যাং-এর সময় আপনি সেখানে ছিলেন? ছিলেন না। আপনি নিজের চোখে দেখেছেন? দেখেননি। এর থেকেই প্রমাণিত হয়, আল্লাহর অস্তিত্ব আছে।

প্রমাণ ৫৭.
আমার সঙ্গে ঘটা অলৌকিক একটি ঘটনার কথা শুনে নাস্তিকেরা সেটির প্রাকৃতিক ও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দেয়। কিন্তু আমি তো জানি, ঘটনাটি অলৌকিক ছিলো। আল্লাহ না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতো? অতএব আল্লাহর অস্তিত্ব আছে।

প্রমাণ ৫৮.
আমি বানরের আত্মীয়? অসম্ভব। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে, আল্লাহর অস্তিত্ব আছে।

প্রমাণ ৫৯.
- (আস্তিকের দাবি)
- (নাস্তিকের যুক্তি)
- নাস্তিকেরা আমার যুক্তি বোঝে না।
এটাই কি প্রমাণ করে না যে, আল্লাহর অস্তিত্ব আছে?

প্রমাণ ৬০.
কোরানে বলা আছে, অবিশ্বাসীরা নিকৃষ্ট প্রাণী। আমি নিকৃষ্ট প্রাণী নই। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহর অস্তিত্ব আছে।

(বিদেশী রচনার ছায়া অবলম্বনে)

চিত্রপঞ্চক - ১৪৫

প্রক্সি ব্যবহারকারীদের জন্য সরাসরি লিংক: http://imgur.com/a/IV20r

পরিসংখ্যান: ইছলামী স্টাইল



কথাটা মনে পড়লো প্রথম আলোর "সারা বিশ্ব" পাতায় বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা একটি সংবাদ দেখে। শিরোনাম: "ব্রিটেনে ইসলাম গ্রহণের হার এক দশকে দ্বিগুণ।" তথ্য উপস্থাপনার ধরনটি লক্ষণীয়। ১ যখন ২ হয়, সেটি দ্বিগুণ, আবার ১ কোটি ২ কোটিতে পরিণত হলে সেটিও দ্বিগুণ। আর তাই উপরোক্ত খবরের শিরোনামে "শতকরা একশো ভাগ বৃদ্ধি" বললে তা আরও বেশি গুরুত্ববহ মনে হতো। 

ওপরের খবরটির বিশ্লেষণ পড়লে ইছলামী হিসেবের ভেতরের শুভঙ্করের ফাঁকটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। খবরে দাবি করা হয়েছে, ব্রিটেনে প্রতি বছর গড়ে ৫২০০ জন ইছলাম গ্রহণ করেছে। 

এখন দেখা যাক, সংখ্যাটি কীভাবে পাওয়া গেছে। এক ইছলামী চিন্তাচৌবাচ্চা, মানে থিংক ট্যাংক, (লক্ষ্য করুন, কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা নয়) লন্ডনের মসজিদগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। তাতে দেখা যায়, গত বারো মাসে ১৪০০ জন ইছলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। একে তো সংখ্যাটি পরীক্ষিত নয়, তার ওপরে সেটি কেমন জানি সন্দেহজাগানিয়া। ঠিক ১৪০০? ১৩৯২ বা ১৪৩৮ নয়? আচ্ছা, তবু না হয় মেনে নিলাম। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ৫২০০ - পুরো ব্রিটেনের ক্ষেত্রে আরোপিত এই সংখ্যাটি কোনও জরিপ বা হিসেবের ফল নয়। স্রেফ কল্পনা করে নেয়া হয়েছে লন্ডনের ১৪০০-কে ভিত্তি হিসেবে ধরে। কীভাবে? তা তাদের আল্যা জানে!

আর এ কথাও সত্য, ইসলাম গ্রহণকারীদের একটি বড়ো অংশ মোছলমান ভাই-বেরাদরদের অমুছলিম স্ত্রী, যারা বিয়ের সময় মসজিদে গিয়ে "লা ইলাহা" পড়ে নামেমাত্র মুসলিম হয়। এছাড়া জেলখানার কয়েদিদের মধ্যেও ধর্মান্তরিত হয়ে নূরের পথে আসে অনেকে। তাদের অনেককেই বলপ্রয়োগ করে বা ভীতিপ্রদর্শন করে মুসলমান বানানো হয়। কেউ মুসলমান হয় আলাদা সুবিধালাভের জন্য। সাম্প্রতিককম এক খবর পড়ুন: এক সিরিয়াল কিলার ইসলাম গ্রহণ করেছে কারি খাবার লোভে, কারণ জেলখানায় মুছলিমদের জন্য কারি সরবরাহ করা হয়।

পক্ষান্তরে, ইছলামত্যাগীদের সংখ্যা বাড়ছে আশাব্যঞ্জক গতিতে, যদিও সে কথা মূলধারার পত্রিকায় আসে না বড়ো একটা। অবশ্য তাদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা দুষ্কর, কারণ তাদের অধিকংশই সরব এবং প্রকাশ্য নয়। ইছলাম ত্যাগকারীকে হত্যার বিধান ইসলামে আছে জেনেও প্রাণের ঝুঁকি নিতে চাইবে ক'জন? তবু দুঃসাহসী কিছু প্রাক্তন মুছলমান নিজেদের পরিচয় গোপন রাখছেন না। প্রবণতাটি শুভ।