বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৭

দূরদৃষ্টিহীন সৃষ্টিকর্তা

লিখেছেন পুতুল হক

চোদ্দশো বছর আগের মক্কা নগরী। সেখানে মোহাম্মদ নামে চল্লিশ বছরের এক লোক বাস করতো। তার স্ত্রী খাদিজা একজন ধনাট্য ব্যবসায়ী এবং মোহাম্মদের চাইতে বয়সে পনের বছরের বড়। মোহাম্মদ খাদিজার বেতনভুক কর্মচারী ছিলো এবং পরবর্তীতে ঘরজামাই। ঘরজামাই মানে হচ্ছে গৃহপালিত জামাই।

এক রোদ ঝলমল করা দুপুরে আকাশ থেকে নেমে এলো বিরাট ডানাওয়ালা এক জীব। সেই জীব মানুষের মত করে কথা বলে। মক্কার সব নারী-পুরুষ সেখানে সমবেত হল। ডানাওয়ালা ও সবাক সেই জীব খাঁটি আরবি ভাষায় সবাইকে শুনিয়ে বলল:
- আমি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছ থেকে তোমাদের জন্য আল্লাহর বাণী নিয়ে এসেছি। এই বাণী অনুসরণ করলে তোমরা পাবে ইহলৌকিক এবং পারলৌকিক মুক্তি। এতেই আছে তোমাদের জন্য সর্বকালের জীবন বিধান। তোমাদের মধ্যে যে মোহাম্মদ, খাদিজার স্বামী, আব্দুল্লাহর পুত্র, তাকে মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তোমরা তাঁর কথা শুনবে, তাঁর দেখানো পথে চলবে।

এরপর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মক্কার সকল নারী-পুরুষ ও শিশু মোহাম্মদকে তাদের পথপ্রদর্শক হিসেবে মেনে নিলো। ডানাওয়ালা জীব প্রায়ই আসতো মহান আল্লাহর বাণী নিয়ে, সবাইকে ডেকে তা পড়ে শোনাতো। ধীরে ধীরে আল্লাহ এবং মোহাম্মদের কথা চারদিকে রটে গেলো। দেশ-বিদেশ থেকে লোক এসে মোহাম্মদকে তাঁদের পথপ্রদর্শক হিসেবে মেনে নিল। সারা বিশ্ব আল্লাহতে বিশ্বাস করলো এবং আল্লাহর ধর্ম ইসলাম হল পৃথিবীর একমাত্র সহি ধর্ম।

#

ব্যাপারটা যদি এমন হত, তাহলে কারো মনে কোনো সন্দেহ, অবিশ্বাস থাকতো না। কিন্তু এমনটা হল না।

মোহাম্মদের কাছে প্রথম ডানাওয়ালা জীব এসেছিল হেরা গুহায়। মোহাম্মদ ছাড়া আর কেউ তাকে দেখেনি, কেউ তার কথা শোনেনি। সৃষ্টিকর্তা চাইলো তার কথা প্রচারিত হোক, কিন্তু তার বাণী সে পাঠালো গোপনে।

গোপন ব্যাপারের প্রতি সৃষ্টিকর্তাদের একটু বেশিই আকর্ষণ থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন