আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা - ২

লিখেছেন ইমানুল হক

০৩.
আমি যেইদিন হইছি, সেইদিন খুবই বিস্টি আছিল। আমি হওয়ার সাত সাত আমার বাপ (হেমায়েতুল হক) দৌড়াইয়া গেছে আযান দেওয়ার লাই, আমার হুজুর চাচার আদেশে। আযানও দিতাছে, আমারও কান্দন ইস্টার্ট। আমার বাপে গেছেগা আযান ভুইল্ল্যা। হুজুর চাচা কয়, এই যে শয়তানের ছুয়াতেই এমন হইছে। (জন্মের সময় সন্তান কাঁদে শয়তানের স্পর্শে। - সহিহ বুখারি, খণ্ড ৪, বই ৫৪, হাদিস ৫০৬)। যদিও ডাক্তরেরা ভুয়া কতা বলি বেড়ায় যে, "জন্মের সুময় শিশু যহন অয় তহন ভ্রূণস্তরের এমনিওটিক ফ্লুইড আর অন্যান্য নিঃসরনের ফলে লাংস কলাপস অয় আর শ্বাস -প্রশ্বাসের ক্রিয়া তহনই শুরু অয়।এইসব সিক্রেশনের জইন্য শ্বাস প্রশ্বাসের রাস্তা ঠিকমত ক্লিয়ার অয় না। তাই বাচ্চা সর্বশক্তিতে কাইন্দা ওঠে আর ক্লিয়ার শ্বাসপ্রশ্বাস তহনই শুরু হয়। আর লাংস তহনইএকটিভেটেড অইয়া যায়।"

যাইঅক, ডাক্তরগো ভুল দারণা একদিন ঠিকই ভাংবে, কিন্তু আপছুস, তাগোরে কেউ জাহান্নামের আগুন থিকা বাচাইবার পাইরবনা। যাক, ঘটনায় আসি। বাপে ছিলো নাছোড়বান্দা, হুজুর চাচারে দিয়া ঝাড়াইয়া তারপর ক্ষান্ত দিছে। যার বদৈল্যতেই আমি আইজকার এই ফরহেজগার ইমানুল হক, ইমান লইয়া দ্বীনি জীবন যাপন কইরতেছি। আমার বাপ খুব বালা লোক আছিলো। আল্লা তাক বেস্ত নসিব করুক। সবাই আমার বাপের লাই দোয়া কইরবেন। আরেকডা ব্যাপারে দুয়া চাই: আমি যেন এই শক্ত ঈমান লই বাইচতে ফারি।

০৪.
এক কাফের মুশরেকের কতার জবাব দিব আইজ। হেই মুনাফেক হালা নবির সুন্নত খতনা নিয়া হাসে, কয়, "বুল করেছে আল্লায়, সুধরাইবো কি মোল্ল্যায়?" (নাউজুবেল্লা)।

যাক, গটনায় আসি, আমার বয়স তহন ছয় বছর। বাপে ঠিক কইল্য সুন্নতে খতনা করাইব। এই নিয়া খুবই ব্যতিব্যস্ত অই গেল। কী আর করার, ডাক ফইড়ল আমাগের হুজুরচাচার। হে আবার এই কাজে ইক্সপার্ট। কারণ সুন্নতে খতনা নিকি আবার সুন্নতে মুয়াক্কাদা। হাদিসে আছে, "হযরত উসামা ইবনে যায়েদ রাযি. হ্যার পিতা থিকা বর্ণনা করেছেন, রাসূল স. কইছেন, খতনা পুরুষদের জইন্য সুন্নত। আর নারীদের জইন্য সম্ভ্রমের উপকরণ। (মুসনাদে আহমাদ: হাদীস নং-২০৭৩৮)।

তা আমি যহন হুনলাম, আমি ত ভয়েই শ্যাষ। আল্লা আমার নুনু কাটি লাইব, তাইলে আমি মুতুম কি দিয়া! আমি ত চাইছি ছুটি ফলামু। কিন্তু যাইওক, আমাক দরি আইনলো আমার সুলেমান মামা। আমাক নেওয়া অইল হুজুর চাচার কাছে। উনি মামাকে বইল্লেন আমাক ফিছ মুরা করি দইরতে। আর আমাক কইলেন, "ইমান, ভয়ের কিছু নাই, খালি একখান ফিফড়ার কামুর খাইবা। কিচ্চু অইবনা।" কে হুনে কার কতা, আমিতো আগেই চিল্লান ইস্টার্ট করি দিসি। আমাক কইল চোখ বন্দ কইরতে। ভয়ে ভয়ে বইল্লাম, ইক্টু ফিফড়ার মত ব্যতা ফাইলাম, দেহি কাম গটাই ফেলছে। যাক, বাবা খুশি অই কইল, "দেহ ইমানের মা, আমগো ইমান আইজকা থিকা মুসলমান অই গ্যাছে, পুলাডা এত দিন মালোয়ান আছিল। আল্লার দরবারে লাক লাক শুকরিয়া।"

আমি হেই দিনডার কতা আজও মনে করি, কত কষ্ট করি আমি মুসলমান অইছি। কিন্তু তাগের অগ্রিম জায়ান্নামি চিত্র দেকি খারাপ লাগে, যারা আল্লার এই নিয়ামত না বুজি খিকখিক করে হাসে আর কয়, "বুল করেছে আল্লায়, সুধরাইবো কি মোল্ল্যায়?" আমি তাগের কইতে চাই, "তরার ত জন্মের ঠিক নাই, আল্লার নবির সুন্নত ক্যামনে বুজবি!! এই জন্যই তরা হারামী কাফের, মুশরেক আর সিষ্টির নিক্রিষ্ট ফ্রানি। (আল্লা কইছে, "তারাই সিষ্টির নিক্রিষ্ট ফ্রানি, যারা সত্য ফ্রত্যাখ্যান করে আর অবিশ্যাস করে।" - কুরান ৯৮:৬)। আল্লা তগের হেদায়াত দেক।"

পরিশেষে কই, এ আল্লা, আমাক তুমি মাপ করি দেও, অগো কতা মনে ফইড়লেই আমার নাফাকি কতা মুগদা চইল্লা আহে, অযুডা সাত সাত ভেংগে যায়। যেবাবেই ওক, আমাক আমার ইমান নিয়ে চলার তৌফিক দেও মাবুত। আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন