শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭

হাদীসের প্রথম পাঠ - ০৪

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩

ইহুদী-নাছারা-খ্রিষ্টান

মুহাম্মদের হাদিস অনুসারে একজন মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। দারুণ প্রসংশনীয় নীতি ইসলামের; কিন্তু মুসলমান না হলে সে আর আপনার ভাই হবার যোগত্য রাখে না! একজন অমুসলিম ইসলামের চোখে নোংরা, জঘন্য, পাপী, ঘৃণার পাত্র! তা সে পৃথিবীর সবচেয়ে দানশীল-সহনশীল-চিন্তা চেতনায় যতই মহৎ মানুষই হন!  ইহুদী, খ্রিষ্টান (নাছারা) আর বাদবাকী জাতপাতের মানুষ নিয়ে মুহাম্মদের মানসিকতা বোঝা যাবে নিচের হাদিসগুলো পাঠে:
বুখারী-১-১২-৭৪৯: মুহাম্মদ বলেছেন: ইমাম "ওয়ালাদ দওয়াল্বিন.. তাদের পথে নয় যারা গযবপ্রাপ্ত (ঈহুদী) ও পথভ্রষ্ট (খ্রিস্টান) নয়" পড়লে তোমরা 'আমীন' বলো। কেননা, যার এ (আমীন) বলা ফিরিশতাদের (আমীন) বলার সাথে একই সময় হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
বুখারী-২-২৩-৪৫৭: মুহাম্মদ একবার সূর্য ডুবে যাওয়ার পর বের হলেন, তখন তিনি একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে বললেন: ঈহুদীদের কবরে আযাব দেওয়া হচ্ছে। (এটা আযাব দেওয়ার আওয়াজ)
বুখারী-৩-৩১-২২২: মুহাম্মদ মদীনায় আগমন করে দেখতে পেলেন যে, ইহুদীগণ 'আশুরার দিনে রোজা/সাওম পালন করে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: কী ব্যাপার? (তোমরা এ দিনে সাওম পালন কর কেন?) তারা বলল, এ অতি উত্তম দিন, এ দিনে আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাঈলকে তাদের শত্রুর কবল হতে নাজাত দান করেন, ফলে এ দিনে মূসা সাওম পালন করেন। মুহাম্মদ বললেন: আমি তোমাদের অপেক্ষা মূসার অধিক নিকটবর্তী, এরপর তিনি এ দিনে সাওম পালন করেন এবং সাওম পালনের নির্দেশ দেন।
ইহুদী সম্প্রদায় মিথ্যাবাদী, তারা ইদুরতূল্য! মুসলিমদের তাই তাদের বিপরীত করতে হবে সবসময়।
বুখারী-৩-৪১-৫৯৯: মুহাম্মদ বলেছেন: কোন ব্যক্তি যদি কোনো মুসলিমের অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করে, তা হলে সে আল্লাহর সমীপে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত থাকবেন। আশআস বলেন, আল্লাহর কসম; এটা আমার সম্পর্কেই ছিল। আমার ও এক ঈহুদী ব্যক্তির সাথে যৌথ মালিকানায় এ খন্ড জমি ছিল, সে আমার মালিকানার অংশ অস্বীকার করে বসলো। আমি তাকে রাসুলুল্লাহ্ এর কাছে নিয়ে গেলাম। রাসুলুল্লাহ্ আমাকে বললেন: তোমার কোন স্বাক্ষী আছে কি? আমি বললাম: না। তখন তিনি ঈহুদীকে বললেন: তুমি কসম করো। আমি তখন বললাম: ইয়া রাসুলাল্লাহ্! সে তো কসম করবে এবং আমার সম্পত্তি নিয়ে নেবে। তখন আল্লাহ তাআলা (এ আয়াত) নাযিল করেন: নিশ্চয় যারা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে, এরা আখেরাতের কোন অংশই পাবে না এবং আল্লাহ কিয়ামাতের দিন তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না, বস্তুতঃ তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি (৩:৭৭)।
বুখারী-৪-৫৫-৬৬২: মুহাম্মদ বলেছেন: তোমরা তো তোমাদের পূর্ববর্তীদের পাপের তরীকাহ (নিয়ম) পুরোপুরি অনুসরণ করবে! প্রতি বিঘতে বিঘতে এবং প্রতি গজে গজে! এমনকি তারা যদি গো সাপের গর্তেও প্রবেশ করে থাকে তবে তোমরাও তাতে প্রবেশ করবে! আমরা বললাম: ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি কি ঈহুদী ও খ্রিস্টানদের কথা বলছেন? মুহাম্মদ বললেন: তবে আর কার কথা?
বুখারী-৪-৫৫-৬৬৪: মুহাম্মদ কোমড়ে হাত রাখাকে পছন্দ করতেন না; আর বলতেন: ঈহুদীরা এরূপ করে।
বুখারী-৪-৫৫-৬৬৮: মুহাম্মদ বলেছেন: ঈহুদী ও খ্রিস্টানরা (দাঁড়ি ও চুলে) রং লাগায় না বা খেযাব দেয় না। অতএব তোমরা (রং লাগিয়ে বা খেযাব লাগিয়ে) তাদের বিপরীত কাজ কর।
বুখারী-৬-৬০-১৫৭: মুহাম্মদ বলেছেন: আল্লাহ তাআলা ঈহুদীদেরকে লানত করেছেন, যখন তিনি তাদের উপর চর্বি হারাম করেছেন তখন তারা ওটাকে তরল করে জমা করেছে, তারপর বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করেছে।
বুখারী-৪-৫৫-৫৪৭: মুহাম্মদ বলেছেন: বনী ইসরাঈল যদি না হতো, তবে গোশত দুর্গন্ধযুক্ত হতো না। আর যদি হাওয়া (ঈভ) না হতেন তবে কোনো নারীই তাঁর স্বামীর খেয়ানত করত না।
বুখারী-২-২৩-৩৭৬: মুহাম্মদ এক ঈহুদী মেয়ে লোকের (কবরের) পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যার পরিবারের লোকেরা তার জন্য কান্নাকাটি করছিল। তখন তিনি বললেন: তারা তো তার জন্য কান্নাকাটি করছে। অথচ তাকে কবরে আযাব দেওয়া হচ্ছে।
মুসলিম-৩৭-৬৬৬৬: মুহাম্মদ বলেছেন: যখনই কোন মুসলমান মারা যায় তখন আল্লাহ তার স্থলে একজন ঈহুদী বা খ্রিষ্টান ব্যক্তিকে জাহান্নামে দাখিল করেন।
মুসলিম-৪২-৭১৩৫: মুহাম্মদ বলেছেন: বনী ইসরাঈলের একটি উম্মত (সম্প্রদায়) নিখোঁজ হয়ে গেছে। জানা নেই তারা কোথা হারিয়েছে। এদের সম্পর্কে আমার ধারণা, এ সম্প্রদায় (বিকৃত রূপ ধারণ করে) ইঁদুরের রূপ নিয়েছে। তোমরা কি দেখছো না। ঈঁদুরের সামনে উটের দুধ রাখা হলে তা পান করে।

ইহুদী নারীরা যুদ্ধে গনিমত বা দাসী হিসাবে বিনিময় বা মুক্তির নামে ভোগযোগ্য!
বুখারী-৫-৫৯-৫১২: মুহাম্মদ খায়বারের নিকটবর্তী এক স্থানে প্রত্যুষে সামান্য অন্ধকার থাকতেই ফজরের নামায আদায় করলেন। তারপর আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করে বললেন, খায়বার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা যখনই কোনো গোত্রের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছি তখনই সতর্ককৃত সেই গোত্রের সকাল হয় অশুভ রূপ নিয়ে। এ সময়ে খায়বার অধিবাসীরা (ভয়ে) বিভিন্ন অলি-গলিতে গিয়ে আশ্রয় নিতে আরম্ভ করল। নবী তাদের মধ্যেকার যুদ্ধে সক্ষম লোকদের হত্যা করলেন। আর শিশু (ও মহিলাদের)-দের কে বন্দী করলেন। বন্দীদের মধ্যে ছিলেন সাফিয়্যা বিনতে হুইয়াই প্রথমে তিনি দাহইয়াতুল কালবীর অংশে এবং পরে নবী-এর অংশে বন্টিত হন। নবী তাঁকে আযাদ করত এই আযাদীকে (মুক্তিকে) মোহর ধার্য করেন (এবং বিবাহ করে নেন)।
ইসলাম এবং মুসলিমদের থেকে নিরাপত্তা চাইলে ইহুদীদের আত্মসমর্পণ করা বাধ্যতামূলক!
বুখারী-৯-৯২-৪৪৭: একদা আমরা মসজিদে নববীতে ছিলাম। রাসুলুল্লাহ মসজিদ থেকে বের হয়ে আমাদেরকে বললেন: তোমরা চলো ঈহুদীদের সেখানে যাই। আমরা তাঁর সঙ্গে বেরিলে এলাম। অবশেষে আমরা বায়তুল মিদরোসে (তাদের শিক্ষাগারে) পৌঁছলাম। তার পর নবী সেখানে দাঁড়িয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন: হে ঈহুদী সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম কবুল কর, এতে তোমরা নিরাপদে থাকবে। ঈহুদীরা বলল, হে আবুল কাসিম (‘কাসিমের পিতা’, মুহাম্মদের প্রথম সন্তানের নাম ছিলো কাসিম)! আপনার পৌছানোর দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন। এরপর তিনি বললেন: আমার ইচ্ছা তোমরা ইসলাম কবুল কর এবং শান্তিতে থাকো। তারাও আবার বলল, হে আবুল কাশিম! আপনার পৌঁছানোর দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন। রাসুলুল্লাহ তাদেরকে বললেন: আমি এরূপই ইচ্ছা রাখি। তৃতীয়বারেও তিনি তাই বললেন। পরিশেষে রাসুলুল্লাহ বললেন: জেনে রেখো, জমিন একমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের। আমি তোমাদেরকে এই এলাকা থেকে উচ্ছেদ করে দিতে চাই। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যাদের অস্থাবর সম্পত্তি আছে, তা যেন সে বিক্রি করে দেয়; অন্যথায় জেনে রেখো জমিন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের।
বুখারী-৪-৫২-৬৮: খন্দকের যুদ্ধ থেকে যখন রাসুলুল্লাহ ফিরে এসে অস্ত্র রাখলেন এবং গোসল করলেন, তখন জিব্রাইল তাঁর কাছে এলেন, আর তাঁর মাথায় পট্টি ন্যায় ধুলি জমেছিল। তিনি বললেন আপনি অস্ত্র রেখে দিলেন অথচ আল্লাহর কসম, আমি এখনো অস্ত্র রাখিনি। রাসুলুল্লাহ বললেন: কোথায় যেতে হবে? তিনি বানু কুরাইযার প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন: এদিকে। তারপর রাসুলুল্লাহ তাদের দিকে বেরিয়ে গেলেন।
বুখারী-৪-৫২-১৫৩: বনু নযীরের সম্পদ আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসুল-কে ‘ফায়’ (বিনা যুদ্ধে প্রাপ্ত) হিসেবে দান করেছিলেন। এতে মুসলমানগণ অশ্ব বা সাওয়ারী চালনা করেনি। এ কারণে তা রাসুলুল্লাহ-এর জন্য নির্দিষ্ট ছিল। এই সম্পদ থেকে নবী তাঁর পরিবারকে এক বছরের খরচ দিয়ে দিতেন এবং অবশিষ্ট আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদের প্রস্তুতি স্বরূপ হাতিয়ার ও ঘোড়া ইত্যাদিতে ব্যয় করতেন।
বুখারী-৪-৫২-১৭৬: মুহাম্মদ বলেছেন: তোমরা ঈহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। এমনকি তাদের কেউ যদি পাথরের আড়ালে আত্মগোপন করে তাহলে পাথরও বলবে: হে আল্লাহর বান্দা, আমার পেছনে ঈহুদী রয়েছে, তাকে হত্যা করো।
মুহাম্মদকে না মানলে ইহুদি হোক আর খ্রিষ্টান হোক, তাকে জাহান্নামে যেতে হবেই, নিজ ভূমিতেও থাকার অধিকার থাকবে না তার!
মুসলিম-১-২৮৪: মুহাম্মদ বলেছেন: সে সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, ঈহুদি হোক আর খ্রিষ্টান হোক, যে ব্যক্তিই আমার এ আহ্বান শুনেছে, অথচ আমার রিসালতের উপর ঈমান না এনে মৃত্যুবরণ করেছে, অবশ্যই সে জাহান্নামী হবে।
বুখারী-৩-৩৯-৫৩১: উমর ইবনে খাত্তাব, ঈহুদী ও নাসারাদের হিজায থেকে নির্বাসিত করেন। রাসুলুল্লাহ যখন খায়বার জয় করেন, তখন ঈহুদীদের সেখান থেকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। যখন তিনি কোনো স্থান জয় করেন, তখন তা আল্লাহ্, তাঁর রাসূল ও মুসলিমদের জন্য হয়ে যায়। কাজেই ঈহুদীদের সেখান থেকে বহিষ্কার করে দিতে চাইলেন। তখন ঈহুদীরা রাসুলুল্লাহ-এর কাছে অনুরোধ করলো, যেন তাদের সে স্থানে বহাল রাখা হয় এ শর্তে যে, তারা সেখানে চাষাবাদে দায়িত্ব পালন করবে আর ফসলের অর্ধেক তাদের থাকবে। রাসুলুল্লাহ তাদের বললেন, আমরা এ শর্তে তোমাদের এখানে বহাল থাকতে দিব যতদিন আমাদের ইচ্ছা। কাজেই তারা সেখানে বহাল রইল। অবশেষে উমর তাদেরকে তাইমা আরীহায় নির্বাসিত করে দেন।
বুখারী-৪-৫৬-৮১৪: এক খ্রিস্টান ব্যক্তি মুসলমান হল এবং সূরা বাকারা ও সূরা আলে ইমরান শিখে নিলো। নবী করিম-এর জন্য সে অহী লিপিবদ্ধ করত। তারপর সে পুনরায় খ্রিস্টান হয়ে গেল। সে বলতে লাগল, আমি মুহাম্মদ-কে যা লিখে দিতাম তার চেয়ে অধিক কিছু তিনি জানেন না। কিছুদিন পর আল্লাহ্ তাঁকে মৃত্যু দিলেন। খ্রিস্টানরা তাকে যথারীতি দাফন করল। কিন্তু পরদিন সকালে দেখা গেল, কবরের মাটি তাকে বাইরে নিক্ষেপ করে দিয়েছে। তা দেখে খ্রিস্টানরা বলতে লাগল – এটা মুহাম্মদ ও তাঁর সাহাবীদের কাজ। যেহেতু আমাদের এ সাথী তাদের থেকে পালিয়ে এসেছিল। এ জন্যই তারা আমাদের সাথীকে কবর থেকে উঠিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছে। তাই যতদুর সম্ভব গভীর করে কবর খুঁড়ে তাতে তাকে দাফন করা হল। কিন্তু পরদিন সকালে দেখা গেল, কবরের মাটি তাঁকে (গ্রহণ না করে) আবার বাইরে ফেলে দিয়েছে। এবারও তারা বলল, এটা মুহাম্মদ ও তাঁর সাহাবীদের কাণ্ড। তাদের নিকট থেকে পালিয়ে আসার কারণে তারা আমাদের সাথীকে কবর থেকে উঠিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছে। এবার আরো গভীর করে কবর খনন করে সমাহিত করল। পরদিন ভোরে দেখা গেল কবরের মাটি এবারও তাঁকে বাইরে নিক্ষেপ করেছে। তখন তারাও বুঝতে পারল, এটা মানুষের কাজ নয়। কাজেই তারা শবদেহটি বাইরেই ফেলে রাখল।
ইহুদী, খ্রিষ্টান সহ সকল মানবসন্তান নাকি মুসলমান হয়েই জন্মায়! আর তাদের সকল গ্রন্থ বিকৃত।
মুসলিম-৩৩-৬৪২৩: মুহাম্মদ বলেছেন: প্রতিটি নবজাতক ফিতরাতে জম্ম গ্রহণ করে। এরপর তার পিতামাতা তাকে ঈহুদী বানায়, খ্রিষ্টান বানায় এবং অগ্নিপূজক বানায়, যেমন চতুস্পদ জানোয়ার পূর্ণাঙ্গ চতুস্পদ বাচ্চা প্রসব করে। তোমরা কি তাতে কোনো কর্তিত অঙ্গ বাচ্চা দেখো? এরপর আবু হুরায়রা বললেন: এই আয়াতটি তিলাওয়াত করতে পারো; আল্লাহর ফিতরাত হচ্ছে তাই যার উপর তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই।
বুখারী-৩-৪৮-৮৫০: আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস বলেন: হে মুসলিম সমাজ! কি করে তোমরা আহলে কিতাবদের নিকট জিজ্ঞাসা কর? অথচ আল্লাহ্ তার নবীর উপর যে কিতাব অবর্তীণ করেছেন, তা আল্লাহ সম্পর্কিত নবতর তথ্য সম্বলিত, যা তোমরা তিলাওয়াত করছো এবং যার মধ্যে মিথ্যার কোন সংমিশ্রন নেই। তদুপরি আল্লাহ তোমাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে, আহলে কিতাবরা আল্লাহ যা লিখে দিয়েছিলেন, তা পরিবর্তন করে ফেলেছেন এবং নিজ হাতে সেই কিতাবের বিকৃতি সাধন করে তা দিয়ে তুচ্ছ মূল্যের উদ্দেশ্যে প্রচার করেছে যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকেই অবতীর্ণ। তোমাদেরকে প্রদত্ত মহাজ্ঞান কি তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করার ব্যাপারে তোমাদের বাধা দিয়ে রাখতে পারে না? আল্লাহর শপথ! তাদের একজনকেও আমি কখনো তোমাদের উপর যা নাযিল হয়েছে সে বিষয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করতে দেখিনি।
ইসলাম এবং মুহাম্মদের চরিত্র অভিন্ন। সহজ বাংলায় বলা যেতে পারে, মুহাম্মদই ইসলাম; মুহাম্মদ চরিত্রই ইসলামের মূল ভিত্তি। মুহাম্মদের দৃষ্টিভঙ্গি লালন-পালন করে সকল মুমিন মুসলিম; তাই তারাও প্রত্যেকেই মানুষের সমতা বিরোধী প্রাণী। পরের অধ্যায়ে আমরা মুহাম্মদের নতুন একটি দিক অবশ্যই দেখতে পারবো, বিচারের বিষয় কেবল এটাই: হাদীসের আলোকে মুহাম্মদ কেমন মানুষ!

(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন