লিখেছেন আক্কাস আলী
গতকাল ৮ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষিত হতে দেখলাম নিজ চোখে। একদম লাইভ ব্রডকাস্ট! উফফ... জোসসস...
ঘটনাটা খুলেই বলি...
গতকাল সন্ধ্যার দিকে বের হয়েছিলাম, নীলক্ষেতের উদ্দেশ্যে। গার্লফ্রেন্ডের জন্মদিন খুব কাছেই, তাকে কিছু বই উপহার দেবো। একা ঘোরার সৌভাগ্য আমার কখনও হয় না। এলাকায় খুব প্রভাবশালী হওয়ায় এবং কোটিপতি বলেই হয়তো দু’চারটে চ্যালা সব সময় আমার পেছন পেছন থাকেই। সেদিন আমরা প্রায় ৫/৬ জন ছিলাম।
হঠাৎ সন্দেহজনক কিছু একটা চোখে পড়লো। ৮ বছরের একটা বাচ্চা মেয়েকে জোর করে টেনে একটা চিপা গলির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো একটা গাঁজাখোর টাইপের ছেলে। বুঝতে পারলাম কী হতে চলেছে, আমরা পিছু নিলাম।
যা সন্দেহ করেছিলাম, ঠিক তাই। দুই বিল্ডিং-এর চিপায় নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চলছে। আমার তো পুরাই মাথা গরম হয়ে গেলো! এরই মধ্যে আমার চ্যালা চিঙ্কু মফিজ বলে উঠলো, "আক্কাস ভাই, চলেন, শালারে প্যাকেট করে ফেলি।" আমি নিষেধ করলাম, বললাম, "ওকে যা করার করতে দে... ধর্ষণটা শেষ হলে শালাকে প্যাকেট করে ফেলবো... আপাতত তুই মোবাইল বের করে ভিডিও কর...।"
আমরা পুরা ঘটনা লাইভ দেখছিলাম আড়ালে দাঁড়িয়ে। মোটামুটি উত্তেজনা অনুভব করছিলাম সবাই। আড়চোখে লক্ষ্য করলাম যে, ন্যাড়া সুমনের হাত অলরেডি লুঙ্গির তলে চলে গেছে, ঝালমুড়ি বানাচ্ছে শালা। মনে মনে হাসলাম।
ওদিকে মেয়েটি কান্না করছে খুব, গাঁজাখোরটা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে আছে। শুভ কাজটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ধর্ষককে ধরে এখন ধোলাই দেবো। এমন সময় এক মহিলা সেখানে এসে হাজির, সে তার মেয়েকে খুঁজছে। বুঝতে পারলাম, ঐ ধর্ষিতা মেয়েটির মা সে। আর তো দেরি করা যায় না, আমরা সবাই মিলে গেলাম এগিয়ে, গিয়ে ধর্ষককে ধরে আমার চ্যালাদের হাতে তুলে দিলাম, বললাম শালাকে ইচ্ছেমত ধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দিতে।
মহিলা হাউমাউ করে অঝোরে কাদঁতে লাগলো। মেয়েটি আধমরা অবস্থায় নিচে পড়ে আছে। নড়তেও খুব কষ্ট হচ্ছে। করুণ অবস্থা। আমি সান্ত্বনা দেয়ার উদ্দেশ্যে কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, এমন সময় সে অনেকটা আকস্মিকভাবেই আমাকে সজোরে চড় মেরে বসলো! সবাই হতবাক! মহিলা উচ্চস্বরে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, "তুই কি মানুষ নাকি পশু? আমার মেয়েটার এই সর্বনাশ হলো, আর তোরা সবকটা হায়েনার দল চেয়ে চেয়ে দেখছিলি? তোদের বোন এরকম হলে কী করতি তখন? তোদের তো জুতা দিয়ে মারলেও কম হয়ে যাবে রে..."
মহিলাকে বোঝাতে চাইলাম...
"খালা, আমরা খারাপ লোক নই। আমরা তো জাস্ট দেখতে চাইছিলাম কী থেকে কী হয়। আর আমরা আগেই ভেবে রেখেছি ধর্ষণ শেষে ধর্ষককে কঠিন প্যাঁদানি দেবো। যাহোক, আপনাদের অবশ্য একটা বিরাট ক্ষতি হয়ে গেলো। সমস্যা নেই, আমার অনেক টাকা-পয়সা আছে, আপনাদের মা-মেয়েকে এখনই ৫০ লাখ টাকার চেক লিখে দিচ্ছি। আরেকটা কথা, আপনাদের আর বাংলাদেশে থাকতে হবে না। আমি আপনাদের সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করে দেবো, তাও রাগ করিয়েন না... এবার নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন? একটু হাসুন..."
কথাটা শেষ হতে না হতেই পাশ থেকে আমার চেহারায় একগাদা থুতু এসে পড়লো! আমি বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলাম, ধর্ষিতা পিচ্চি মেয়েটি উঠে বসেছে, সে আমাকে থুতু ছুড়ে মারলো! আমার মুখ দিতে কথা বেরুচ্ছিলো না। কথা বেরুলো মেয়েটির মায়ের মুখ থেকে, "শোন হারামজাদা, মানুষকে মূল্য দিতে শিখ। আমার এই বাচ্চা মেয়েটির যে-ক্ষতি হয়ে গেলো, তা তুই কী দিয়ে পুষিয়ে দিবি? পুরো দুনিয়া লিখে দিলেও তো এই ক্ষতি পূরণ হবে না। এই ক্ষতি কখনও পূরণ হওয়ার নয়। মানুষের ইজ্জতের মূল্য কতটুকু, তা তোর মত কুলাঙ্গার কখনই বুঝবে না।"
অতঃপর কাদঁতে কাদঁতে মা-মেয়ের প্রস্থান। আমি আমার চ্যালাসহ দাঁড়িয়ে রইলাম হতবাক হয়ে!
[ধার্মিক ভাইয়েরা, এই ঘটনার খলনায়ক আক্কাস আলী’র জায়গায় আপনারা নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ/ভগবান/গডের নাম বসিয়ে নিবেন। ধর্মহীন আস্তিকদের বেলায়ও এটা প্রযোজ্য]
মোরাল অব দ্য ঘটনা: আমাদের মাঝে মধ্যেই এমন কিছু ক্ষতি হয়ে যায়, যা অপূরণীয়। কিছু ক্ষতি কখনই পূরণ হবে না। অনেক বাচ্চা মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে আমাদের সমাজে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণের পর খুনও করা হয়ে থাকে। এই ক্ষতি কী দিয়ে পোষাবে সৃষ্টিকর্তা? ধর্ষণের দৃশ্য আল্লাহ/ভগবান/গড ঠিকই দেখলো নীরবে, কিন্তু কোনো বাধাই দিলো না, মজা নিলো... সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এমন কাজটা হতে বাধা দিলো না। এই ক্ষতি কি সৃষ্টিকর্তা পুষিয়ে দিতে পারবে? ধর্ষককে কত বছর কঠিন শাস্তি দিলে আর বেহেশতে কয়টা বালাখানা তৈরি করে দিলে ঐ বাচ্চা মেয়েটার ক্ষতি পোষাবে, বলুন তো?
গতকাল ৮ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষিত হতে দেখলাম নিজ চোখে। একদম লাইভ ব্রডকাস্ট! উফফ... জোসসস...
ঘটনাটা খুলেই বলি...
গতকাল সন্ধ্যার দিকে বের হয়েছিলাম, নীলক্ষেতের উদ্দেশ্যে। গার্লফ্রেন্ডের জন্মদিন খুব কাছেই, তাকে কিছু বই উপহার দেবো। একা ঘোরার সৌভাগ্য আমার কখনও হয় না। এলাকায় খুব প্রভাবশালী হওয়ায় এবং কোটিপতি বলেই হয়তো দু’চারটে চ্যালা সব সময় আমার পেছন পেছন থাকেই। সেদিন আমরা প্রায় ৫/৬ জন ছিলাম।
হঠাৎ সন্দেহজনক কিছু একটা চোখে পড়লো। ৮ বছরের একটা বাচ্চা মেয়েকে জোর করে টেনে একটা চিপা গলির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো একটা গাঁজাখোর টাইপের ছেলে। বুঝতে পারলাম কী হতে চলেছে, আমরা পিছু নিলাম।
যা সন্দেহ করেছিলাম, ঠিক তাই। দুই বিল্ডিং-এর চিপায় নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চলছে। আমার তো পুরাই মাথা গরম হয়ে গেলো! এরই মধ্যে আমার চ্যালা চিঙ্কু মফিজ বলে উঠলো, "আক্কাস ভাই, চলেন, শালারে প্যাকেট করে ফেলি।" আমি নিষেধ করলাম, বললাম, "ওকে যা করার করতে দে... ধর্ষণটা শেষ হলে শালাকে প্যাকেট করে ফেলবো... আপাতত তুই মোবাইল বের করে ভিডিও কর...।"
আমরা পুরা ঘটনা লাইভ দেখছিলাম আড়ালে দাঁড়িয়ে। মোটামুটি উত্তেজনা অনুভব করছিলাম সবাই। আড়চোখে লক্ষ্য করলাম যে, ন্যাড়া সুমনের হাত অলরেডি লুঙ্গির তলে চলে গেছে, ঝালমুড়ি বানাচ্ছে শালা। মনে মনে হাসলাম।
ওদিকে মেয়েটি কান্না করছে খুব, গাঁজাখোরটা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে আছে। শুভ কাজটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ধর্ষককে ধরে এখন ধোলাই দেবো। এমন সময় এক মহিলা সেখানে এসে হাজির, সে তার মেয়েকে খুঁজছে। বুঝতে পারলাম, ঐ ধর্ষিতা মেয়েটির মা সে। আর তো দেরি করা যায় না, আমরা সবাই মিলে গেলাম এগিয়ে, গিয়ে ধর্ষককে ধরে আমার চ্যালাদের হাতে তুলে দিলাম, বললাম শালাকে ইচ্ছেমত ধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দিতে।
মহিলা হাউমাউ করে অঝোরে কাদঁতে লাগলো। মেয়েটি আধমরা অবস্থায় নিচে পড়ে আছে। নড়তেও খুব কষ্ট হচ্ছে। করুণ অবস্থা। আমি সান্ত্বনা দেয়ার উদ্দেশ্যে কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, এমন সময় সে অনেকটা আকস্মিকভাবেই আমাকে সজোরে চড় মেরে বসলো! সবাই হতবাক! মহিলা উচ্চস্বরে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, "তুই কি মানুষ নাকি পশু? আমার মেয়েটার এই সর্বনাশ হলো, আর তোরা সবকটা হায়েনার দল চেয়ে চেয়ে দেখছিলি? তোদের বোন এরকম হলে কী করতি তখন? তোদের তো জুতা দিয়ে মারলেও কম হয়ে যাবে রে..."
মহিলাকে বোঝাতে চাইলাম...
"খালা, আমরা খারাপ লোক নই। আমরা তো জাস্ট দেখতে চাইছিলাম কী থেকে কী হয়। আর আমরা আগেই ভেবে রেখেছি ধর্ষণ শেষে ধর্ষককে কঠিন প্যাঁদানি দেবো। যাহোক, আপনাদের অবশ্য একটা বিরাট ক্ষতি হয়ে গেলো। সমস্যা নেই, আমার অনেক টাকা-পয়সা আছে, আপনাদের মা-মেয়েকে এখনই ৫০ লাখ টাকার চেক লিখে দিচ্ছি। আরেকটা কথা, আপনাদের আর বাংলাদেশে থাকতে হবে না। আমি আপনাদের সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করে দেবো, তাও রাগ করিয়েন না... এবার নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন? একটু হাসুন..."
কথাটা শেষ হতে না হতেই পাশ থেকে আমার চেহারায় একগাদা থুতু এসে পড়লো! আমি বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেলাম, ধর্ষিতা পিচ্চি মেয়েটি উঠে বসেছে, সে আমাকে থুতু ছুড়ে মারলো! আমার মুখ দিতে কথা বেরুচ্ছিলো না। কথা বেরুলো মেয়েটির মায়ের মুখ থেকে, "শোন হারামজাদা, মানুষকে মূল্য দিতে শিখ। আমার এই বাচ্চা মেয়েটির যে-ক্ষতি হয়ে গেলো, তা তুই কী দিয়ে পুষিয়ে দিবি? পুরো দুনিয়া লিখে দিলেও তো এই ক্ষতি পূরণ হবে না। এই ক্ষতি কখনও পূরণ হওয়ার নয়। মানুষের ইজ্জতের মূল্য কতটুকু, তা তোর মত কুলাঙ্গার কখনই বুঝবে না।"
অতঃপর কাদঁতে কাদঁতে মা-মেয়ের প্রস্থান। আমি আমার চ্যালাসহ দাঁড়িয়ে রইলাম হতবাক হয়ে!
[ধার্মিক ভাইয়েরা, এই ঘটনার খলনায়ক আক্কাস আলী’র জায়গায় আপনারা নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ/ভগবান/গডের নাম বসিয়ে নিবেন। ধর্মহীন আস্তিকদের বেলায়ও এটা প্রযোজ্য]
মোরাল অব দ্য ঘটনা: আমাদের মাঝে মধ্যেই এমন কিছু ক্ষতি হয়ে যায়, যা অপূরণীয়। কিছু ক্ষতি কখনই পূরণ হবে না। অনেক বাচ্চা মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে আমাদের সমাজে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণের পর খুনও করা হয়ে থাকে। এই ক্ষতি কী দিয়ে পোষাবে সৃষ্টিকর্তা? ধর্ষণের দৃশ্য আল্লাহ/ভগবান/গড ঠিকই দেখলো নীরবে, কিন্তু কোনো বাধাই দিলো না, মজা নিলো... সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও এমন কাজটা হতে বাধা দিলো না। এই ক্ষতি কি সৃষ্টিকর্তা পুষিয়ে দিতে পারবে? ধর্ষককে কত বছর কঠিন শাস্তি দিলে আর বেহেশতে কয়টা বালাখানা তৈরি করে দিলে ঐ বাচ্চা মেয়েটার ক্ষতি পোষাবে, বলুন তো?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন