লিখেছেন সিরাজুল হক
অনলাইনে ও অফলাইনে ইছলামী অপপ্রচার চলে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। মিথ্যা, ভুয়া ও অবাস্তব ইছলামী দাবিও নিঃশর্তে মেনে নিয়ে "আলহামদুলিল্লাহ"-র ঢেঁকুর তোলে তথ্য যাচাইয়ে অনীহ মুছলিমরা। অবশ্য কুয়ার ব্যাঙ কুয়ার বাইরের খবর রাখবে, তেমন আশা করাটাও নির্বুদ্ধিতা।
কোরানে নাকি এমন সব বৈজ্ঞানিক তথ্য দেয়া আছে, যেগুলো নাকি সেই যুগে অর্থাৎ প্রায় দেড় হাজার বছর আগে অজানা তো ছিলোই, এমনকি কোরানে উল্লেখিত সেই তথ্যগুলো নাকি সাম্প্রতিক বিজ্ঞান সবে আবিষ্কার করছে!
৪.
ইছলামী দাবি: ‘বিগ ব্যাং’ থিয়োরি আবিষ্কার হয় মাত্র চল্লিশ বছর আগে। সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
বাস্তবতা: সুরা আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াতে বলা আছে: "কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?"
বিগ ব্যাং কাকে বলে, বোঝেন? এইখানে বিগ ব্যাং-এর কোন থিয়োরি পেলেন আপনি? বিগ ব্যাং অনুযায়ী, কোনো আকাশমণ্ডলী (হাহাহা) বা পৃথিবী ছিলোই না, সেখানে এই আয়াত বিগ ব্যাং হয় কীভাবে? আর কাফেরদের উদ্দেশে বলা আয়াতে আল্লাহ হুট করে বিগ ব্যাং-এর কথা ঢুকিয়ে দিলেন, না? আল্লাহ কি আপনার মতো আবুল?
৫.
ইছলামী দাবি: পানিচক্রের কথা বিজ্ঞান জেনেছে বেশিদিন হয়নি... সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
বাস্তবতা: পানিচক্র তথা Water Cycle-এর কথা প্রথম বলেন Anaxagoras, আবারো সেই ইসলামের ১০০০ বছরেরও বেশি পূর্বে।
৬.
ইছলামী দাবি: বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে লবণাক্ত পানি ও মিষ্টি পানি একসাথে মিশ্রিত হয় না। সূরা ফুরকানের ২৫ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
বাস্তবতা: এই ফাজলামি অনেক আগেই ফাজলামি বলেই প্রমাণিত হয়েছে। কারণ দাবিটি বৈজ্ঞানিকভাবে ভ্রান্ত। নিজে সমুদ্রের পানি আর মিষ্টি পানি মিশিয়ে দেখলেই তো হয়! আর নয়তো এখানে এক সমুদ্রবিজ্ঞানীর লেখা পুরো একটা রিসার্চ পেপার আছে এই বিষয়ে।
(চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন