লিখেছেন নীল নিমো
আমার একজন ঈমানদার মুসলমান মুরিদ এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছে। মহিলাটি আমার কাছে এসে নালিস করল:
- হুজুর, আপনার ঈমানদার মুসলমান মুরিদ আমাকে পিটাইছে। আপনি এর বিচার করেন।
আমি প্রশ্ন করিলাম:
- আমার ঈমানদার মুরিদটি যে মুসলমান, সেটা কীভাবে শিওর হলেন?
মহিলাটি উত্তর দিল:
- তার লম্বা দাড়ি আছে।
আমি বলিলাম:
- রবীন্দ্রনাথেরও তো দাড়ি ছিল, তাই বলে সে কি মুসলমান ছিল?
মহিলাটি বলিল:
- তার নাম, মোহাম্মদ ইসলাম। সে জোব্বা ও টুপি পরিহিত ছিল। আমাকে মার দেওয়ার সময় আল্লাহু আকবর বলে আরবিতে শ্লোগান দিচ্ছিল।
আমি বলিলাম:
- এরপরও আমি শিওর হতে পারছি না, সে মুসলমান কি না। কারণ মুসলমান নাম থাকলেই যে সে মুসলমান হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা নাই। সাদ্দাম হোসেনের খ্রিষ্টান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর নাম ছিল তারেক আজিজ। আজকাল কাতার-দুবাই ভ্রমল করার সময় খ্রিষ্টানরা শখ করে জোব্বা-টুপি পরে। আর তাছাড়া আল্লাহ শব্দটির হিন্দি অনুবাদ হল ভগবান আর বাংলা অনুবাদ হল সৃষ্টিকর্তা। এমন হতে পারে আমার মুরিদ মোহাম্মদ ইসলাম একজন হিন্দু। ঠিক কি না?
মহিলাটি রেগে গিয়ে বলিল:
- সে আমার প্রাক্তন স্বামী, তাকে আপনি আমার থেকেও ভালভাবে চিনেন? কোরান ও সুন্নাকে ফলো করে সে আমারে নিয়মিত মারধর করত। সে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, ৩০ রোজা রাখে, যাকাত দেয়, হজ্ব করেছে। সকাল-বিকাল ৫ কলেমা পড়ে। তাছাড়া তার সুন্নতে খতনা করা আছে।
আমি বলিলাম:
- তাহলে সে মানসিক ভারসাম্যহীন খ্রিষ্টান, একজন মুসলমান কখনই তার বউকে মারতে পারে না।
মহিলাটি বলিল:
- সে একটা মসজিদের খতিব, সে মানসিক ভারসাম্যহীন হতে পারে না। কোরানের সুরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতে নারীদের পিটাইতে বলা আছে। তাছাড়া সহি মুসলিমের হাদিসের উল্লেখ আছে নবীজি নিজেও মেয়ে মানুষ পিটাইতেন। আয়শার বুকে নবীজি ঘুষি মারতেন। নবীজি কি তাহলে মানসিক ভারসাম্যহীন খ্রিষ্টান ছিলেন?
আমি বলিলাম:
- আস্তাগফিরুল্লাহ, আমি এইবার নিশ্চিত, এইটা পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র। মিডিয়ার অপপ্রচার। হিটলার ১১ মিলিয়ন মানুষকে মেরে ফেলেছে। সাদ্দাম, গাদ্দাফি মারা গেল, আর আপনি তো সামান্য মার খেয়েছেন। এগুলোর তুলনায় এই মাইর কিছুই না।
আমার উত্তর শুনে মহিলাটি শলাঝাড়ু নিয়ে আমাকে ধাওয়া দিল। ঝাড়ু ধাওয়া খেয়ে আমি দৌড়ে পালালাম।
আমার একজন ঈমানদার মুসলমান মুরিদ এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছে। মহিলাটি আমার কাছে এসে নালিস করল:
- হুজুর, আপনার ঈমানদার মুসলমান মুরিদ আমাকে পিটাইছে। আপনি এর বিচার করেন।
আমি প্রশ্ন করিলাম:
- আমার ঈমানদার মুরিদটি যে মুসলমান, সেটা কীভাবে শিওর হলেন?
মহিলাটি উত্তর দিল:
- তার লম্বা দাড়ি আছে।
আমি বলিলাম:
- রবীন্দ্রনাথেরও তো দাড়ি ছিল, তাই বলে সে কি মুসলমান ছিল?
মহিলাটি বলিল:
- তার নাম, মোহাম্মদ ইসলাম। সে জোব্বা ও টুপি পরিহিত ছিল। আমাকে মার দেওয়ার সময় আল্লাহু আকবর বলে আরবিতে শ্লোগান দিচ্ছিল।
আমি বলিলাম:
- এরপরও আমি শিওর হতে পারছি না, সে মুসলমান কি না। কারণ মুসলমান নাম থাকলেই যে সে মুসলমান হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা নাই। সাদ্দাম হোসেনের খ্রিষ্টান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর নাম ছিল তারেক আজিজ। আজকাল কাতার-দুবাই ভ্রমল করার সময় খ্রিষ্টানরা শখ করে জোব্বা-টুপি পরে। আর তাছাড়া আল্লাহ শব্দটির হিন্দি অনুবাদ হল ভগবান আর বাংলা অনুবাদ হল সৃষ্টিকর্তা। এমন হতে পারে আমার মুরিদ মোহাম্মদ ইসলাম একজন হিন্দু। ঠিক কি না?
মহিলাটি রেগে গিয়ে বলিল:
- সে আমার প্রাক্তন স্বামী, তাকে আপনি আমার থেকেও ভালভাবে চিনেন? কোরান ও সুন্নাকে ফলো করে সে আমারে নিয়মিত মারধর করত। সে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, ৩০ রোজা রাখে, যাকাত দেয়, হজ্ব করেছে। সকাল-বিকাল ৫ কলেমা পড়ে। তাছাড়া তার সুন্নতে খতনা করা আছে।
আমি বলিলাম:
- তাহলে সে মানসিক ভারসাম্যহীন খ্রিষ্টান, একজন মুসলমান কখনই তার বউকে মারতে পারে না।
মহিলাটি বলিল:
- সে একটা মসজিদের খতিব, সে মানসিক ভারসাম্যহীন হতে পারে না। কোরানের সুরা নিসার ৩৪ নম্বর আয়াতে নারীদের পিটাইতে বলা আছে। তাছাড়া সহি মুসলিমের হাদিসের উল্লেখ আছে নবীজি নিজেও মেয়ে মানুষ পিটাইতেন। আয়শার বুকে নবীজি ঘুষি মারতেন। নবীজি কি তাহলে মানসিক ভারসাম্যহীন খ্রিষ্টান ছিলেন?
আমি বলিলাম:
- আস্তাগফিরুল্লাহ, আমি এইবার নিশ্চিত, এইটা পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র। মিডিয়ার অপপ্রচার। হিটলার ১১ মিলিয়ন মানুষকে মেরে ফেলেছে। সাদ্দাম, গাদ্দাফি মারা গেল, আর আপনি তো সামান্য মার খেয়েছেন। এগুলোর তুলনায় এই মাইর কিছুই না।
আমার উত্তর শুনে মহিলাটি শলাঝাড়ু নিয়ে আমাকে ধাওয়া দিল। ঝাড়ু ধাওয়া খেয়ে আমি দৌড়ে পালালাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন