লিখেছেন আক্কাস আলী
সব সময়ই তো মুমিনদের লুঙ্গি ধরে টানাটানি করি, মহামানবদের নামে কুৎসা রটাই। একজন নাস্তিক হিসেবে আজ নিজেদের সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। নাস্তিকদের একদম তলের খবর বলতে পারেন। অধিকাংশ নাস্তিকই সেক্সের ব্যাপারে একদম লাগামছাড়া, অজাচারে অভ্যস্ত বিকৃত যৌনতার লোক। ফেসবুকে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব এবং বাস্তব জীবনে ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে অনেক নাস্তিক বন্ধুরই কিছু গোপন কথা আমি জানি, যা আজ জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেবো, তাদের আপত্তি সত্ত্বেও। তো চলুন, কিছু রসময় কাহিনী শুনি।
➤ কেস স্টাডি ১:
মিনহাজুল ইসলাম পাটওয়ারী (ছদ্মনাম), মুক্তমনা এই বন্ধুটি সম্পর্কে না বললেই নয়। মিনহাজ ভাই বিড়ি সিগারেট একদমই পছন্দ করেন না, তবে ড্রিংস করেন রেগুলার। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ২/৩ টা মেয়েবন্ধু সহ ফুওয়াং ক্লাবে গিয়ে ড্রিংস করেন, করেন নাচগান... ফস্টিনস্টি... একটা কথা না বললেই নয়, তিনি সবকিছুই দলীয়ভাবে করতে পছন্দ করেন, হোক সেটা বেড়াতে যাওয়া কিংবা সেক্স করা।
➤ কেস স্টাডি ২:
হাবিব আমার খুবই ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু। এই নাস্তিক বন্ধুটির বাসা রামপুরা, আমার বাসার খুব কাছেই। হাবিব ও আরও দু'জন মিলে ছোট্ট একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকে। হাবিব ঢাকার একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়াশুনা করে। আর রুমমেট দুজন চাকুরিজীবী। তো, হাবিবদের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে যে, ওদের বাসায় কোনো কাজের মেয়েই সপ্তাহখানেকের বেশি টেকে না। কারণটা আর কেউ না জানলেও আমি জানি। হাবিব একটু লুইচ্চা টাইপের, কাজের মেয়েদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা ওর আসল উদ্দেশ্য। খালি বাসায় সুযোগ বুঝে কুপ্রস্তাব দেয়, রাজি না হলেই ঐ মেয়ের চাকরি নট। আর রাজি হলেও অল্প কিছুদিন মজা করে তাকে বিদায় করে আবার নতুন কাজের মেয়ে খুঁজতে থাকে। কথায় আছে, চোরের দশদিন আর গৃহস্থের একদিন। সর্বশেষ যতটুকু জেনেছি, হাবিব শুভকাজরত অবস্থায় এলাকাবাসীর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে। অতঃপর, হালকার উপর ঝাপসা উত্তম-মধ্যম খেয়ে ঐ বাসা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
➤ কেস স্টাডি ৩:
মাহবুব আলম (ছদ্মনাম) আমার খুব ভালো একজন অনলাইন বন্ধু। তবে তার কিছু কিছু দিক আমার খুবই খারাপ লাগে। সে তার কলেজ পড়ুয়া ছোট বোনের সাথে খুবই অন্তরঙ্গ। ইনবক্সে মাঝে মধ্যে দুজনের এমন কিছু আপত্তিকর পিক পাঠাতো আমাকে, আমি নিজেই টাশকি খেয়ে যেতাম। যাহোক, আর বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না, তাদের ভাই-বোনের মাঝে কীরকম সম্পর্ক, সেটা ধারণা করা যেতে পারে।
➤ কেস স্টাডি ৪:
এবার বলবো অতি আধুনিক এক পরিবারের কথা, যে-পরিবারের সকল সদস্যই নাস্তিক। তাঁরা থাকেন জার্মানির মিউনিখে। ফ্যামিলির একমাত্র ছেলেটি অনলাইনে খুবই সক্রিয়, সবসময় মানবতার পক্ষে লেখালেখি করে। ফেসবুকে সে 'কালোবিড়াল' ছদ্মনামে লেখে। যাহোক, কিছুদিন আগে আমাদের কালোবিড়াল ভাইয়ের বিয়ের কথা হচ্ছিলো। জার্মান প্রবাসী এক বাঙালী পরিবারে গেলেন পাত্রী দেখতে। কালোবিড়াল ভাই যখন পাত্রী দেখতে গিয়েছিলেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে, তখন পাত্রীর ছোটবোনকে দেখে পছন্দ করে ফেললেন কালোবিড়াল ভাইয়ের বাবা! পুত্রের জন্যে নয়, নিজের জন্যে! আস্তাগফিরুল্লাহ! বলতে চাই না, আবার না বলেও পারছি না, এতো উন্নতমানের লুইচ্চা নাস্তিক আমি খুব কমই দেখেছি। আঙ্কেল নিজের ছেলের জন্যে পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্রীর ছোটবোনকে নিজের জন্যে পছন্দ করে ফেললেন! অবশেষে যা হওয়ার, তা-ই হলো; মেয়ের পরিবার তো আর নাস্তিক নয়, এসব আঁচ করতে পেরে তাদের অনেকটা অপমান করেই তাড়িয়ে দিয়েছিলো।
➤ কেস স্টাডি ৫:
খুলনার এক তরুণ নাস্তিকের সাথে পরিচয় হয়েছে কিছুদিন হলো। তিনি প্রেম করেন তাঁর ভাতিজীর (চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে) সাথে। মেয়েটা কিন্তু খাঁটি মোমিনা, কিন্তু তারপরও এই প্রেমে কীভাবে রাজি হলো, সেটাই ভাবছি।
...
নাস্তিকদের এরকম বিকৃত আচরণ নিয়ে লিখলে আরও অনেক লেখা যাবে। নাস্তেকদের কোনো ধর্ম নেই, জাহান্নামের ভয় নাই, এইজন্যেই বোধহয় ওরা এসব করে বেড়ায়। এখন নাউযুবিল্লাহ বলে এইসব কুলাঙ্গার নাস্তিকদের মুখে তিনবার থুতু ছুড়ে মারা আপনার ঈমানী দায়িত্ব।
থুতু মেরেছেন?
আলহামদুলিল্লাহ... খুব ভালো করেছেন... তো, চলুন এবার দেখি আপনার ছোড়া থুতু কার মুখে গিয়ে পড়লো।
ওপরে বর্ণিত সব কেস স্টাডির চরিত্রগুলো সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং কোনো নাস্তিকের সাথে এই কেসগুলো সম্পর্কযুক্ত নয়। সবগুলো কেসের ক্ষেত্রে নাস্তিকদের পরিবর্তে কোন মুমিন কিংবা নবী-রাসূলের নাম বসাতে হবে। ব্যাখ্যা করছি এক এক করে।
➤ কেস স্টাডি ১:
নাইট ক্লাবে মদ্যপান, মেয়েদের সাথে ফষ্টিনষ্টি (গ্রুপ সেক্স) করা খুব বাজে কাজ, তাই না? এই একই কাজ মুমিন ভাইরা করবে বেহেশতে গিয়ে। সেখানে থাকবে মদের নদী, প্রতি মুমিনের জন্যে ৭২ টা করে উঁচু উঁচু স্তনওয়ালা নারী। দুনিয়ার কোনো নাইট ক্লাব বা পতিতালয়ে এতো বড় পরিসরে আদৌ গ্রুপ সেক্সের আয়োজন করা হয়েছিলো কি না, আমার জানা নেই। একজন স্রষ্টা কী করে সেক্সের লোভ দেখাতে পারে? এতো নিচু মন-মানসিকতা কেন তার?
➤ কেস স্টাডি ২:
নবী মুহাম্মদ মিশরের বাদশাহ মুকাওকিসকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে লোক পাঠান, কিন্তু মুকাওকিস ইসলাম কবুল করেননি। তবে মুহাম্মদের রোষানল থেকে বাঁচতে তার জন্যে যৌনদাসী উপহার পাঠিয়েছিলেন। মারিয়া কিবতিয়া ছিলো মিশরের বাদশাহ থেকে উপহার প্রাপ্ত নবী মুহাম্মদের যৌনদাসী। এই দাসীর পেটে মুহাম্মদের একটা সন্তানও জন্মেছিলো, নাম ইব্রাহিম। ১৩ টা বউ থাকার পরও দাসী মারিয়ার সাথে সেক্স করা ছাড়া থাকতে পারতেন না মুহাম্মদ, দাসীদের সঙ্গে সেক্স হালাল ঘোষণা করে কোরানে আয়াতও ডাউনলোড করেছেন সকল বউদের মুখ বন্ধ রাখতে।
➤ কেস স্টাডি ৩:
আদম-হাওয়ার দুই ছেলে মায়ের সেক্স করতো। এভাবেই মুসলিমদের বংশবিস্তার হয়েছে। আচ্ছা, আল্লাহ কি পারতেন না আদম হাওয়ার মত আরও কয়েক জোড়া নর-নারী সৃষ্টি করতে? তাহলেই তো এক পরিবারের ছেলেরা অন্য পরিবারের মেয়েদের বিয়ে করতে পারতো। মায়ের সাথে সেক্স করা লাগতো না। কিন্তু আল্লাহ এমনটা কেন করেননি? জঘন্যতম উপায়ে মানুষের বংশবিস্তার করাতে হলো কেন? আসলে আল্লাহ ওরফে মুহাম্মদ মানুষের সৃষ্টি নিয়ে চাপাবাজি করার সময় অত কিছু খেয়াল রাখতে পারেননি। মুহাম্মদ ভাবতেই পারেনি, তার এই চাপাবাজির কারণে ভবিষ্যতে মুসলিমরা বিব্রত হবে।
➤ কেস স্টাডি ৪:
নবী মুহাম্মদের দাদা আব্দুল মুত্তালিব গিয়েছিলো তার পুত্র আব্দুল্লাহর জন্যে পাত্রী দেখতে। আব্দুল্লাহর জন্যে পাত্রী আমিনাকে দেখতে গিয়ে আমিনার চাচাতো বোন হালা-কে পছন্দ করে ফেললেন আব্দুল মুত্তালিব সাহেব! তবে সেদিন তাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়নি অপমান করে। সেদিন একই সময়ে একই আসরে আব্দুল মুত্তালিব ও তার পুত্র আব্দুল্লাহ মিলে দুই বোন হালা ও আমেনাকে বিয়ে করেছিলো। অর্থাৎ, বাপ-বেটা পরস্পরের ভায়রা ভাই হয়ে গেলো! মুহাম্মদের বাপের বিয়ের কাহিনীটা কত চমৎকার! তাই না? সুবহানাল্লাহ কন না ক্যা রে?
➤ কেস স্টাডি ৫:
মুহাম্মদ তার চাচাতো ভাই আলীর কাছে নিজ মেয়ে ফাতিমাকে বিয়ে দিয়েছিলো। অর্থাৎ, চাচা তার ভাতিজীকে নিয়ে বিছানায় গেলো! চিল্লাইয়া কন, সুবহানাল্লাহ।
➤ বোনাস লুচ্চামি:
মুহাম্মদ ও আবু বকর পরস্পর খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। আবু বকর মুহাম্মদের থেকে বয়সে ২ বছরের ছোট ছিলো। মুহাম্মদ একবার আবু বকরের বাসায় গিয়ে হামাগুড়ি দেয়া শিশু আয়েশাকে দেখে বলেছিলো, এই মেয়েটি বড় হওয়া পর্যন্ত যদি আমি বেঁচে থাকি, তাহলে আমি ওকে বিয়ে করবো। চিন্তা করতে পারেন? কতটা বিকৃত হলে নিজের থেকে বয়সে ছোট এক বন্ধুর হামাগুড়ি দেয়া মেয়ের দিকে কুনজর দেয়া যায়? মুহাম্মদের এই কু-ইচ্ছে কিন্তু ঠিকই পূরণ হয়েছিলো, ৫১ বছরের বৃদ্ধ মুহাম্মদ বিয়ে করেন ৬ বছরের পিচ্চি আয়েশাকে।
মুহাম্মদ তার পালক-পুত্রের বউ জয়নবকেও বিয়ে করে। একসময় যে মেয়েটি মুহাম্মদকে "আব্বা-আব্বা" বলে ডাকতো, এখন সেই মেয়েটি মুহাম্মদকে "ওগো" বলে ডাকে... সুবহানাল্লাহ!
সব সময়ই তো মুমিনদের লুঙ্গি ধরে টানাটানি করি, মহামানবদের নামে কুৎসা রটাই। একজন নাস্তিক হিসেবে আজ নিজেদের সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। নাস্তিকদের একদম তলের খবর বলতে পারেন। অধিকাংশ নাস্তিকই সেক্সের ব্যাপারে একদম লাগামছাড়া, অজাচারে অভ্যস্ত বিকৃত যৌনতার লোক। ফেসবুকে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব এবং বাস্তব জীবনে ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে অনেক নাস্তিক বন্ধুরই কিছু গোপন কথা আমি জানি, যা আজ জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেবো, তাদের আপত্তি সত্ত্বেও। তো চলুন, কিছু রসময় কাহিনী শুনি।
➤ কেস স্টাডি ১:
মিনহাজুল ইসলাম পাটওয়ারী (ছদ্মনাম), মুক্তমনা এই বন্ধুটি সম্পর্কে না বললেই নয়। মিনহাজ ভাই বিড়ি সিগারেট একদমই পছন্দ করেন না, তবে ড্রিংস করেন রেগুলার। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ২/৩ টা মেয়েবন্ধু সহ ফুওয়াং ক্লাবে গিয়ে ড্রিংস করেন, করেন নাচগান... ফস্টিনস্টি... একটা কথা না বললেই নয়, তিনি সবকিছুই দলীয়ভাবে করতে পছন্দ করেন, হোক সেটা বেড়াতে যাওয়া কিংবা সেক্স করা।
➤ কেস স্টাডি ২:
হাবিব আমার খুবই ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু। এই নাস্তিক বন্ধুটির বাসা রামপুরা, আমার বাসার খুব কাছেই। হাবিব ও আরও দু'জন মিলে ছোট্ট একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকে। হাবিব ঢাকার একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়াশুনা করে। আর রুমমেট দুজন চাকুরিজীবী। তো, হাবিবদের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে যে, ওদের বাসায় কোনো কাজের মেয়েই সপ্তাহখানেকের বেশি টেকে না। কারণটা আর কেউ না জানলেও আমি জানি। হাবিব একটু লুইচ্চা টাইপের, কাজের মেয়েদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা ওর আসল উদ্দেশ্য। খালি বাসায় সুযোগ বুঝে কুপ্রস্তাব দেয়, রাজি না হলেই ঐ মেয়ের চাকরি নট। আর রাজি হলেও অল্প কিছুদিন মজা করে তাকে বিদায় করে আবার নতুন কাজের মেয়ে খুঁজতে থাকে। কথায় আছে, চোরের দশদিন আর গৃহস্থের একদিন। সর্বশেষ যতটুকু জেনেছি, হাবিব শুভকাজরত অবস্থায় এলাকাবাসীর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে। অতঃপর, হালকার উপর ঝাপসা উত্তম-মধ্যম খেয়ে ঐ বাসা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
➤ কেস স্টাডি ৩:
মাহবুব আলম (ছদ্মনাম) আমার খুব ভালো একজন অনলাইন বন্ধু। তবে তার কিছু কিছু দিক আমার খুবই খারাপ লাগে। সে তার কলেজ পড়ুয়া ছোট বোনের সাথে খুবই অন্তরঙ্গ। ইনবক্সে মাঝে মধ্যে দুজনের এমন কিছু আপত্তিকর পিক পাঠাতো আমাকে, আমি নিজেই টাশকি খেয়ে যেতাম। যাহোক, আর বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না, তাদের ভাই-বোনের মাঝে কীরকম সম্পর্ক, সেটা ধারণা করা যেতে পারে।
➤ কেস স্টাডি ৪:
এবার বলবো অতি আধুনিক এক পরিবারের কথা, যে-পরিবারের সকল সদস্যই নাস্তিক। তাঁরা থাকেন জার্মানির মিউনিখে। ফ্যামিলির একমাত্র ছেলেটি অনলাইনে খুবই সক্রিয়, সবসময় মানবতার পক্ষে লেখালেখি করে। ফেসবুকে সে 'কালোবিড়াল' ছদ্মনামে লেখে। যাহোক, কিছুদিন আগে আমাদের কালোবিড়াল ভাইয়ের বিয়ের কথা হচ্ছিলো। জার্মান প্রবাসী এক বাঙালী পরিবারে গেলেন পাত্রী দেখতে। কালোবিড়াল ভাই যখন পাত্রী দেখতে গিয়েছিলেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে, তখন পাত্রীর ছোটবোনকে দেখে পছন্দ করে ফেললেন কালোবিড়াল ভাইয়ের বাবা! পুত্রের জন্যে নয়, নিজের জন্যে! আস্তাগফিরুল্লাহ! বলতে চাই না, আবার না বলেও পারছি না, এতো উন্নতমানের লুইচ্চা নাস্তিক আমি খুব কমই দেখেছি। আঙ্কেল নিজের ছেলের জন্যে পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্রীর ছোটবোনকে নিজের জন্যে পছন্দ করে ফেললেন! অবশেষে যা হওয়ার, তা-ই হলো; মেয়ের পরিবার তো আর নাস্তিক নয়, এসব আঁচ করতে পেরে তাদের অনেকটা অপমান করেই তাড়িয়ে দিয়েছিলো।
➤ কেস স্টাডি ৫:
খুলনার এক তরুণ নাস্তিকের সাথে পরিচয় হয়েছে কিছুদিন হলো। তিনি প্রেম করেন তাঁর ভাতিজীর (চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে) সাথে। মেয়েটা কিন্তু খাঁটি মোমিনা, কিন্তু তারপরও এই প্রেমে কীভাবে রাজি হলো, সেটাই ভাবছি।
...
নাস্তিকদের এরকম বিকৃত আচরণ নিয়ে লিখলে আরও অনেক লেখা যাবে। নাস্তেকদের কোনো ধর্ম নেই, জাহান্নামের ভয় নাই, এইজন্যেই বোধহয় ওরা এসব করে বেড়ায়। এখন নাউযুবিল্লাহ বলে এইসব কুলাঙ্গার নাস্তিকদের মুখে তিনবার থুতু ছুড়ে মারা আপনার ঈমানী দায়িত্ব।
থুতু মেরেছেন?
আলহামদুলিল্লাহ... খুব ভালো করেছেন... তো, চলুন এবার দেখি আপনার ছোড়া থুতু কার মুখে গিয়ে পড়লো।
ওপরে বর্ণিত সব কেস স্টাডির চরিত্রগুলো সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং কোনো নাস্তিকের সাথে এই কেসগুলো সম্পর্কযুক্ত নয়। সবগুলো কেসের ক্ষেত্রে নাস্তিকদের পরিবর্তে কোন মুমিন কিংবা নবী-রাসূলের নাম বসাতে হবে। ব্যাখ্যা করছি এক এক করে।
➤ কেস স্টাডি ১:
নাইট ক্লাবে মদ্যপান, মেয়েদের সাথে ফষ্টিনষ্টি (গ্রুপ সেক্স) করা খুব বাজে কাজ, তাই না? এই একই কাজ মুমিন ভাইরা করবে বেহেশতে গিয়ে। সেখানে থাকবে মদের নদী, প্রতি মুমিনের জন্যে ৭২ টা করে উঁচু উঁচু স্তনওয়ালা নারী। দুনিয়ার কোনো নাইট ক্লাব বা পতিতালয়ে এতো বড় পরিসরে আদৌ গ্রুপ সেক্সের আয়োজন করা হয়েছিলো কি না, আমার জানা নেই। একজন স্রষ্টা কী করে সেক্সের লোভ দেখাতে পারে? এতো নিচু মন-মানসিকতা কেন তার?
➤ কেস স্টাডি ২:
নবী মুহাম্মদ মিশরের বাদশাহ মুকাওকিসকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে লোক পাঠান, কিন্তু মুকাওকিস ইসলাম কবুল করেননি। তবে মুহাম্মদের রোষানল থেকে বাঁচতে তার জন্যে যৌনদাসী উপহার পাঠিয়েছিলেন। মারিয়া কিবতিয়া ছিলো মিশরের বাদশাহ থেকে উপহার প্রাপ্ত নবী মুহাম্মদের যৌনদাসী। এই দাসীর পেটে মুহাম্মদের একটা সন্তানও জন্মেছিলো, নাম ইব্রাহিম। ১৩ টা বউ থাকার পরও দাসী মারিয়ার সাথে সেক্স করা ছাড়া থাকতে পারতেন না মুহাম্মদ, দাসীদের সঙ্গে সেক্স হালাল ঘোষণা করে কোরানে আয়াতও ডাউনলোড করেছেন সকল বউদের মুখ বন্ধ রাখতে।
➤ কেস স্টাডি ৩:
আদম-হাওয়ার দুই ছেলে মায়ের সেক্স করতো। এভাবেই মুসলিমদের বংশবিস্তার হয়েছে। আচ্ছা, আল্লাহ কি পারতেন না আদম হাওয়ার মত আরও কয়েক জোড়া নর-নারী সৃষ্টি করতে? তাহলেই তো এক পরিবারের ছেলেরা অন্য পরিবারের মেয়েদের বিয়ে করতে পারতো। মায়ের সাথে সেক্স করা লাগতো না। কিন্তু আল্লাহ এমনটা কেন করেননি? জঘন্যতম উপায়ে মানুষের বংশবিস্তার করাতে হলো কেন? আসলে আল্লাহ ওরফে মুহাম্মদ মানুষের সৃষ্টি নিয়ে চাপাবাজি করার সময় অত কিছু খেয়াল রাখতে পারেননি। মুহাম্মদ ভাবতেই পারেনি, তার এই চাপাবাজির কারণে ভবিষ্যতে মুসলিমরা বিব্রত হবে।
➤ কেস স্টাডি ৪:
নবী মুহাম্মদের দাদা আব্দুল মুত্তালিব গিয়েছিলো তার পুত্র আব্দুল্লাহর জন্যে পাত্রী দেখতে। আব্দুল্লাহর জন্যে পাত্রী আমিনাকে দেখতে গিয়ে আমিনার চাচাতো বোন হালা-কে পছন্দ করে ফেললেন আব্দুল মুত্তালিব সাহেব! তবে সেদিন তাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়নি অপমান করে। সেদিন একই সময়ে একই আসরে আব্দুল মুত্তালিব ও তার পুত্র আব্দুল্লাহ মিলে দুই বোন হালা ও আমেনাকে বিয়ে করেছিলো। অর্থাৎ, বাপ-বেটা পরস্পরের ভায়রা ভাই হয়ে গেলো! মুহাম্মদের বাপের বিয়ের কাহিনীটা কত চমৎকার! তাই না? সুবহানাল্লাহ কন না ক্যা রে?
➤ কেস স্টাডি ৫:
মুহাম্মদ তার চাচাতো ভাই আলীর কাছে নিজ মেয়ে ফাতিমাকে বিয়ে দিয়েছিলো। অর্থাৎ, চাচা তার ভাতিজীকে নিয়ে বিছানায় গেলো! চিল্লাইয়া কন, সুবহানাল্লাহ।
➤ বোনাস লুচ্চামি:
মুহাম্মদ ও আবু বকর পরস্পর খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। আবু বকর মুহাম্মদের থেকে বয়সে ২ বছরের ছোট ছিলো। মুহাম্মদ একবার আবু বকরের বাসায় গিয়ে হামাগুড়ি দেয়া শিশু আয়েশাকে দেখে বলেছিলো, এই মেয়েটি বড় হওয়া পর্যন্ত যদি আমি বেঁচে থাকি, তাহলে আমি ওকে বিয়ে করবো। চিন্তা করতে পারেন? কতটা বিকৃত হলে নিজের থেকে বয়সে ছোট এক বন্ধুর হামাগুড়ি দেয়া মেয়ের দিকে কুনজর দেয়া যায়? মুহাম্মদের এই কু-ইচ্ছে কিন্তু ঠিকই পূরণ হয়েছিলো, ৫১ বছরের বৃদ্ধ মুহাম্মদ বিয়ে করেন ৬ বছরের পিচ্চি আয়েশাকে।
মুহাম্মদ তার পালক-পুত্রের বউ জয়নবকেও বিয়ে করে। একসময় যে মেয়েটি মুহাম্মদকে "আব্বা-আব্বা" বলে ডাকতো, এখন সেই মেয়েটি মুহাম্মদকে "ওগো" বলে ডাকে... সুবহানাল্লাহ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন