আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা - ৭

লিখেছেন ইমানুল হক

৯.
কী যে দুশ্চিন্তায় আচি, বলে বোজাইতে ফাইরব না। গত কাইল তনে আমি তানায় আচি জামিনের অফেক্কায়। কী যে অইল আল্ল্যার দুনিয়াডায়, বুইজবার ফারতিছিনা। এহন আল্ল্যার বিচার কেউ মাইন্তে চায় না, নবি-রাচুলের কতা কেউ শুইন্তে চায় না।

যাই অক, মূল গডনায় আহি। কাইল বিয়ান রাইতে টিক ফজরের আগে আমার বারিতে চোর আইছিল, চোরডায় চুরি করার সুময় আমি চোরডাক দরি ফেইল্লাম। চোর দরার ফেচনেও আর একডা কাহিনি আচে। মাজ রাইতে আমি ছুডু বউরে গুম পারাইয়া তার গর থেইক্যা বাইর অইয়া নুতুন একডা লুঙ্গি ফরি গেলাম বড় বিবির গরে। ঢুকি তার সাত সোয়ার ব্যবস্তা কইল্লাম। বড় বিবির লগে সউয়ার কিচুক্কন ফর চোরডা গরের বেতর ঢুইকল, ঢুকে চোরডা সব কিচু গুচিয়ে গাট্টা বানাল, কিন্তু জাওনের সুময় চোরডা আমার নুতুন লুঙ্গীর দিকে নজর ফইরল। জেই না চোরডা আমার লুঙ্গি ধরে দিল টান অমনি আমার লুঙির কাচা গেল খুলি, আমার দীরগ ফরিস্রমের গুম ডা গেল নস্ট অইয়া। আমি গুমের গরেই চিল্লাই উঠি কইলাম, "কেডা রে সুদির পুত আমার লুঙ্গি দরে টান দেয়!"এই কতা শুনে চোরডা যেইনা গাট্টা লয়ে দৌর দিতে চাইল অমনি আমি খপ করি দইরলাম, দরেই মারলাম একডা কেচকি তারফর দিলাম কয়ডা লাতি আর উস্টা। গর থেইক্যা বাইরে আইন্যা বানলাম উডানের হিজল গাচে।

ফরে দেখি, চোরডা আমাগো সুক্কুরের ফোলা হারু। হারু ফোলাডা ত কারাফ আছিল না কিন্তু বাপ মরি জাওয়ার ফর অবাবে ফরি ফোলাডা কারাফ অই গ্যাছে। এহন চুরি-ছেচ্চরি কইচ্চে। যাই অক, এরফর সিন্তায় ফইরলাম, কী করা যায়। একডা উচিত সিক্কা না দিলে সিক্কা অইব না।

গেলাম মজ্জিদের দিকে ঈমাম সায়েবক কুইজতে, ফতে দেখা অই গেল তরিকুল হুজুরের লগে। তরিকুল কইল, "কই যাও, ইমানুইল্ল্যা?" আমি বইল্লাম, "হুজুর, যাচ্চি মজ্জিদে ঈমাম সায়েবক ডাইক্তে।" কিন্তু ফতি মইদ্দে ফইরল কুদরত হুজুরের বারি। বাইবলাম, তাক ডাকি লই যাই। তরিকুল গুজুর আর কুদ্রতালি হুজুর দুজনেক নি বারি ফিল্লাম। দেহি, হারু চোরা ব্যাতায় কোকাচ্চে। আমি কুদ্রতালি হুজুরকে বইল্লাম, "হুজুর, চোরের সাস্তি কী দেওয়া যায়।"

হুজুর বইল্ল, "চোরের সাস্তি অল হাত কাটি দেওয়া।"

(সূত্র: কুরান: যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়। সুরা মায়িদা, ৫ আয়াত ৩৮। হাদিস: যদি ফাতিমা (রাঃ)ও চুরি করাতো, তবে অবশ্যই আমি তাঁর হাত কেটে দিতাম। বুখারি, ভলিউম ৮, বই ৮১, হাদিস নম্বর ৭৭৯। হাদিস: আয়েশা থেকে বর্ণিত, নবীজি বলেছেন, চোরের হাত কাটতে হবে সে যদি এক দিনারের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ চুরি করে। বুখারি, ভলিউম ৮, বই ৮১, হাদিস নম্বর ৭৮১। হাদিস: আল্লাহর রসুল চোরের হাত কেটেছেন একটি ঢাল চুরির অপরাধে যার মূল্য তিন দিনার ছিল। বুখারি, ভলিউম ৮, বই ৮১, হাদিস নম্বর ৭৮৭। হাদিস: আল্লার রসুল বলেছেন, আল্লাহর অভিশাপ তার উপর যে একটি ডিম চুরি করল অথবা একটি দড়ি, এজন্য তার হাত কাটার শাস্তি দিতে হবে। বুখারি, ভলিউম ৮, বই ৮১, হাদিস নম্বর ৭৯১।)

যেমন কতা তেমন কম্ম। গর তেকে কুরবানীর চাফাতি কানা নিলাম, ঠিক এইর মইদ্দে মেম্বরের ফুলা কইত্তেকে হাজির অইল বুইজলাম না। হালার ফুত আইয়া দিল ফুলিশরে ফুন। ফুলিশের কতা হুনি তরিকুল হুজুর দিল দৌর, কুদ্রতালি হুজুরও তার ফিছ ফিছ দৌরাইতে লাইগলো। মাঝকানে আমি ফইল্লাম ফুলিশের কাছ আইন হাতে নেওয়ার লাই দরা।

ও আল্ল্যা, ও মাবুদ, তোমার আইন, তুমার বিচার মাইনলেও কি দুশ? মানুষের বানানো বিচার কি তুমার বিচার থেইক্কাও বালা?? আমি এহন কী কইত্তাম, তানায় বসে আচি জামিনের লাইগ্যা, সবাই আমার লাই দুয়া কইরবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন