শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭

নিমো হুজুরের খুতবা - ৪৩

লিখেছেন নীল নিমো

১.
শবে মেরাজের দিন রাস্তায় আমার ক্রাশের সাথে দেখা। বলিলাম:
- হানি, রাতে ফ্রি আছো? চলো, দুইজনে মিলে আজকে রাতে মিরাজে যাই।

হানি আমারে পাল্টা প্রশ্ন করিল:
- মিরাজ কী জিনিস?

বলিলাম:
- আরবি শব্দ মিরাজ-এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে - উপরে ওঠা। আমাদের নবীজি রাতের বেলা উম্মে হানিকে নিচে রেখে উপরে উঠতেন। এইটাকে মিরাজ বলা হয়। চলো, দুইজনে মিলে, যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পবিত্র মিরাজ পালন করে বহুত নেকি হাসিল করি।

হানি ক্ষেপে গিয়ে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকাতেই আমি দৌড় দিয়ে পালিয়ে গেলাম। আফসুস, নাস্তিকরা ভ্যালেন্টাইন ডে'র তাৎপর্য বুঝলো, কিন্তু মিরাজের তাৎপর্য বুঝলো না।

২.
আজকে একটি কুকুর খরিদ করিলাম। খরিদ করার পর কুকুরটির নাম কী রাখা যায়, তা নিয়ে পেরেশান হয়ে গেলাম।

এক মুমিন মুরিদ আমাকে পরামর্শ দিয়ে বলিল:
- হুজুর, কুকুরের নাম রাখা অতি সহজ। কুকুরের সেকেন্ড নেম বা ফ্যামিলি (second / surname / family name) নাম রাখা লাগে না। টম, ম্যাক্স এমন একটা সিংগেল নাম রেখে দিলেই হবে।

পাশে এক বেয়াদপ, জাহান্নামি পাতি নাস্তিক ছিল, সে বলিল:
- হুজুর, ঠিক একইরকম ভাবে আমাদের নবীজির কোনো সেকেন্ড নেম নাই। আরবদের কালচার অনুসারে বাবার নাম ইউজ করা হয় সেকেন্ড নেম হিসাবে। কিন্তু নবীজির পিতা আবদুল্লাহ ছিলেন জাহান্নামী মূর্তিপুজারী পেগান। তাই নবীজি লজ্জায় তার নামের শেষে তার পিতার ব্যবহার করিতেন না। নামের আগে পিছে হজরত, আল্লাহর নবী, রাসুল, মহানবী, সঃ, দীনের নবী... ইত্যাদি যতই গুণবাচক বিশেষণ যুক্ত করুন না কেন, সেকেন্ড নেমের হক আদায় হবে না। নামটা কুকুরের নামের মত হয়ে থাকবে। তাই আমাদের উচিত নামাজসহ দরুদ শরিফ সব জায়গাতেই নবীজির পুরো নাম 'মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ' উচ্চারণ করা। আচ্ছা, হুজুর, নামাজের মধ্যে নবীজির নামের পর জাহান্নামি আবদুল্লাহর নাম উচ্চারণ করা কি ঠিক হবে?

নাস্তিকের কথা শুনে আমি জ্ঞান হারালাম। এরপর কিছুই মনে নাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন