আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৫ মে, ২০১৭

পাক-নাপাক ওয়াক...

 গত বছরের একটি খবর: লক্ষ্মীপুরে ইজতেমায় ৯ পুকুরে ৩ লাখ মুসল্লির অজু-গোসল

অর্থাৎ একটি পুকুরে অজু-গোসল করেছে গড়ে ৩৩ হাজার ৩ শো ৩৩ জন।


খবরে বলা হচ্ছে, ইজতেমা চলেছে তিন দিন এবং "এতে নির্বিঘ্নে মুসল্লিরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অজু ও গোসল করছে।"

গোসলের হিসেবটি নাহয় উহ্যই রাখা যাক।

একেকটি পুকুরে ৩৩,৩৩৩ জন দিনে পাঁচবার অজু করেছে তিনদিনব্যাপী। অর্থাৎ তিন দিনে একটি পুকুরে অজু করা হয়েছে ৫ লক্ষ বার। এখন পড়া যাক নিচের লেখাটি।


লিখেছেন সাঈদুর রহমান
রীতিটি যদিও প্যাগান, তবু বলতেই হয়, ইসলাম তার অনুসারীদের জন্য যে কয়টি ভাল চর্চা রেখেছে, তার মধ্যে একটি হল - প্রত্যেক নামাজের আগে নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখার নামে অজু করতে হবে।
ছোটবেলায় যে-এলাকায় বড় হয়েছি, তার মধ্যে দু'-একটা মসজিদ ছাড়া অন্যগুলোতে পুকুরের পানিতে অজু করতে হতো। অজু করতে যেয়ে যে-জিনিসটি চোখে পড়তো, সেগুলোর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ছিলো।
১. পুকুরের পানিতে দুর্গন্ধ।
২. একই সময়ে অনেকজন অজু করছে, অযু করা মানে নিজের হাত-পা ধোয়া, কুলি করা ইত্যাদি।
এখন কল্পনা করুন, ১০০ জন মানুষ দিনে পাঁচবার একই পানিতে নিজেকে ধৌত করছেন, মুখের থুথু ফেলছেন, কুলি করছেন।
৩. অন্যান্য সময় দেখতাম মানুষ গোসল করছে। নিজের শরীরের ঘাম, ময়লা সব ঐ পানিতে ধৌত করছে।
৪. অনেকে আবার অন্য দিকে অন্য কিছু (থালা -বাসন) ধুয়েছে।

সাপ্লাইয়ের পানি আসার আগে বিগত ১৪০০ বছর ধরেই মুসলমানরা এমনটি করে যাচ্ছেন। আমার এখানে প্রশ্ন হলো:

তারা কি অযুর নামে নিজেকে আদৌ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন? নাকি অন্যের মুখের থুথু, শরীরের ঘাম-ময়লা নিজের মধ্যে নিয়ে নিজেদের আরো অপরিচ্ছন্ন করে গেছেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন