সোমবার, ১৫ মে, ২০১৭

হাদীসের প্রথম পাঠ - ০৮

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ
যৌনতার খেরোখাতা

মুহাম্মদ ছিলেন যৌনকাতর মানুষ! অদ্ভুত আচরণে মুহাম্মদ তার যৌনতাকে ভোগ করতেন। আগের অধ্যায়ে আমরা তার কিছু পরিচয় পেয়েছি, বাকীটুকু এ অধ্যায়ে বুঝতে পারবো অবশ্যই।
বুখারী-১-৪-১৪৩: মুহাম্মদ বলেছেন: তোমাদের কেউ তাঁর স্ত্রীর সাথে মিলনের পূর্বে যদি বল, (আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং যা আমাদেরকে দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখো)- তারপর (এ মিলনের দ্বারা) তাদের কিসমতে কোন সন্তান থাকলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
মুসলিম-০২-৫৬৬: একবার এক ব্যক্তি আয়েশা-এর মেহমান হল। অতঃপর সকালে সে তার কাপড় ধুতে লাগল। তখন আয়েশা বললেন, তুমি যদি (কাপড়ে) তা (বীর্য) দেখতে পাও তবে তোমার জন্য শুধু সে জায়গাটা ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট হবে। আর যদি তা না দেখ তবে তার আশে পাশে পানি ছিটিয়ে দিবে। আমিতো রাসুলুল্লাহ-এর কাপড় থেকে তা নখ দিয়ে ভাল করে আচড়ে ফেলতাম। অতঃপর তিনি তা পরে সালাত আদায় করতেন।

বুখারী-১-৫-২৮০: আবু তালহার স্ত্রী উম্মে সুলায়ম মুহাম্মদ-এর খিদমতে এসে বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আল্লাহ্ তাআলা হকের ব্যাপারে লজ্জা করেন না। স্ত্রীলোকের ইহ্‌তিলাম (স্বপ্নদোষ) হলে কি গোসল ফরয হবে? মুহাম্মদ বললেন: হ্যাঁ, যদি তারা বীর্য দেখে।
বুখারী-১-৫-২৯০: মুহাম্মদ বলেছেন: যখন কোনো পুরুষ স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করবে; ফরজ গোসল করা জরুরী।
বুখারী-৮-৭৪-৩১২: মুহাম্মদ বলেছেন: মানুষের জন্য পাঁচটি স্বাভাবিক নিয়ম; খাতনা করা, নাভির নীচের পশম কামানো, বগলের পশম উপড়ানো, গোঁফ কাটা এবং (অতিরিক্ত) নখ কাটা।
মুসলিম-৩৭-৬৬৭৬: মুহাম্মদ-এর উম্মে ওয়ালাদের (প্রভূর সন্তান জন্মানো দাসী, এক্ষেত্রে ‘মারিয়া কিবতিয়া’) সাথে এক ব্যক্তির প্রতি অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তখন মুহাম্মদ, আলী-কে বললেন: যাও; তার গর্দান উড়িয়ে দাও। আলী তার নিকট গিয়ে দেখলেন, সে কুপের মধ্যে শরীর শীতল করছে। আলী তাকে বললেন: বেরিয়ে আসো। সে আলী-এর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। তিনি তাকে বের করলেন এবং দেখলেন, তার পূরুষাঙ্গ সমূলে কর্তিত, তার লিঙ্গ নেই। তখন আলী তাকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকলেন। তারপর তিনি মুহাম্মদ-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! সে তো লিঙ্গ কর্তিত-তার তো লিঙ্গ নেই।
মুসলিম-০৩-৬৮৪: মুহাজির ও আনসারদের একটি দল এ ব্যাপারে মতবিরোধ করল। আনসারগণ বলল: সবেগে অথবা স্বাভাবিক গতিতে নির্গত পানি (বীর্য) বের হওয়া ছাড়া গোসল ফরয হয় না। আর মুহাজিরগণ বলল: স্ত্রীর সঙ্গে শুধু মিললেই গোসল ফরয (বীর্য বের হোক বা না হোক)। আবু মুসা বললেন: আমি এ ব্যাপারে তোমাদেরকে শান্ত করছি। এরপর আমি উঠে গিয়ে আয়েশা-এর কাছে (প্রবেশের) অনুমতি চাইলাম। আমাকে অনুমতি দেয়া হলো। আমি তাকে বললাম, মা! অথবা (তিনি বলেছিলেন) হে মুমিনদের মা! আমি আপনার কাছে একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে চাই কিন্তু আমি লজ্জাবোধ করছি। তিনি বললেন, তুমি তোমার গর্ভধারিনী মাকে যে ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারতে সে ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করতে লজ্জাবোধ করো না। আমি তো তোমার মা। আমি বললাম, গোসল কিসে ফরয হয়? তিনি বললেন, জানা-শোনা লোকের কাছে তুমি প্রশ্ন করেছ। রাসুলুল্লাহ বলেছেন, যখন কোন পুরুষ স্ত্রীর চার হাত-পায়ের মাঝখানে বসবে এবং একের লজ্জাস্থান অপরের লজ্জা স্থানের সাথে স্পর্শ করবে তখন গোসল ফরয হবে।
বুখারী-৭-৬২-১৩৭: আমরা যুদ্ধকালীন সময় গনীমত হিসেবে কিছু দাসী পেয়েছিলাম। আমরা তাদের সাথে আযল করতাম। এরপর আমরা এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি উত্তরে বললেন: আরে! তোমার কি এমন কাজও করো? একই প্রশ্ন তিনি তিনবার করলেন এবং পরে বললেন, কিয়ামত পর্যন্ত যে রূহ পয়দা হবার, তা অবশ্যই পয়দা হবে।
বুখারী-৩-৪৮-৮১৭: মুহাম্মদ অবিবাহিত ব্যভিচারী সম্পর্কে একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুখারী-৩-৪৯-৮৬০: এক বেদুঈন এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আল্লাহর কিতাব মোতাবেক আমাদের মাঝে ফয়সালা করে দিন।’ তখন তাঁর প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে বলল, ‘সে ঠিকই বলেছে, হ্যাঁ, আপনি আমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মোতাবেক ফয়সালা করুন।’ পরে বেদুঈন বলল, ‘আমার ছেলে এ লোকের বাড়ীতে মজুর ছিল। তারপর তার স্ত্রীর সাথে সে যিনা করে।’ লোকেরা আমাকে বলল, ‘তোমার ছেলের উপর রাজম (পাথর মেরে হত্যা) ওয়াজিব হয়েছে।’ তখন আমি আমার ছেলেকে একশ বকরী এবং একটি বাদীর বিনিময়ে এর কাছ থেকে মুক্ত করে এনেছি। পরে আমি আলিমদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা বললেন, ‘তোমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসন ওয়াজিব হয়েছে। সব শুনে মুহাম্মদ বললেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে কিতাবুল্লাহ মোতাবেকই ফয়সালা করব।  বাদী এবং বকরীপাল তোমাকে ফেরত দেওয়া হবে, আর তোমার ছেলেকে একশ বেত্রাঘাত সহ এক বছরের নির্বাসন দেওয়া হবে।’ আর অপরজনকে বললেন, ‘হে উনাইস, তুমি আগামীকাল সকালে এ লোকের স্ত্রীর কাছে যাবে এবং তাকে রাজম করবে।’ উনাইস তার কাছে গেলেন এবং তাকে রাজম করলেন।
মুহাম্মদ কেবল একজন মানুষ ছিলেন, এটা প্রমাণ করার জন্য নিচের হাদীসই যথেষ্ট, যেখানে প্রকৃতির খেয়ালে জন্মানো একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মুহাম্মদের কাছ থেকে বেশী মনোযোগ এবং ভালবাসা পাবার কথা ছিলো; তার বদলে তিনি তাদের গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিতেন! হায় রে প্রেমের নবী!
বুখারী-৭-৭২-৭৭৪: মুহাম্মদ, পুরুষ হিজড়াদের উপর এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলাদের উপর লানত করেছেন। তিনি বলেছেন: ওদেরকে ঘর থেকে বের করে দাও। ইবনে আব্বাস বলেছেন: নবী অমুককে ঘর থেকে বের করেছেন এবং উমর অমুককে বের করে দিয়েছেন।
নারী শরীরের ভালোলাগা বলে কিছু নেই মুহাম্মদের দৃষ্টিতে, কেবল কাম আর কাজের বস্তু হচ্ছে নারী!

বুখারী-৪-৫৪-৪৬০: মুহাম্মদ বলেছেন: কোন ব্যক্তি যদি স্বীয় স্ত্রীকে নিজ বিছানায় আসতে ডাকেন আর সে অস্বীকার করে এবং সে ব্যক্তি স্ত্রীর উপর ক্ষোভ নিয়ে রাত যাপন করে, তবে ফিরিশতাগণ এমন স্ত্রীর উপর ভোর পর্যন্ত লানত দিতে থাকে।
মুসলিম-০৮-৩৩৬৫: মুহাম্মদ বলেছেন: স্বামী ইচ্ছে করলে উপুড় করে, ইচ্ছা করলে উপুড় না করে, তবে তা একই দ্বারে (যোনী) হতে হবে।
মুসলিম-০৮-৩৪৩২: মুহাম্মদ হুনায়নের যুদ্ধের সময় একটি দল আওতাসের দিকে পাঠান। তারা শক্রদলের মুখোমুখি হয়েও তাদের সাথে যুদ্ধ করে জয়লাভ করে এবং তাদের অনেক কয়েদী তাদের হস্তগত হয়। এদের মধ্য থেকে দাসীদের সাথে সহবাস করা রাসুলুল্লাহ-এর কয়েকজন সাহাবী যেন না জায়িয মনে করলেন, তাদের মুশরিক স্বামী বর্তমান থাকার কারণে। আল্লাহ তায়ালা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন: ‘নারীদের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ নারীগণও তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, কিন্তু তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদের বাদে (৪:২৪)’, অর্থাৎ তারা তোমাদের জন্য হালাল, যখন তারা তাদের ইদ্দত (মাসিকচক্র) পূর্ন করে নিবে।
(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন