লিখেছেন নীল নিমো
গত সপ্তাহে সুইডেনের একটি মুসজিদে বয়ান করতে গিয়েছিলাম। বয়ান দিচ্ছিলাম এইভাবে:
- ইহুদি, নাসারা, নাস্তিকরা ভালেনটাইন ডে, মাদার ডে, পহেলা বৈশাখ পালন করে। এইসব উৎসব পালন করা বেদাত বেদাত বেদাত।
আল্লাহরাব্বুল আলামিন আমাদেরকে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা দিয়েছেন। ঈদুল ফিতরে মুসলমানরা গরিবদের দুঃখ কষ্ট বুঝার জন্য সংযম করে, আর ঈদুল আজহাতে মুসলমানরা ত্যাগ স্বীকার করে। ইহুদি-নাসারা কি পারবে এইরকম সংযম, ত্যাগ স্বীকারমুলক বরকতময় একটি দিবস বানাতে? কখনোই পারবে না...
যথারীতি একটি নাস্তিক সামনের কাতারে বসা ছিল। সে আমাকে প্রশ্ন করল:
- কিন্তু হুজুর, ভালেনটাইন ডে-তে গরিবদের খাদ্যদ্রবের দাম বেড়ে যায় না। ত্যাগ ও সংযমের নামে গরিবের পেটে লাত্থি মারা হয় না।
আমি রেগে গিয়ে প্রশ্ন করিলাম:
- ওরে জাহান্নমি নাস্তিক, তুই কী বলতে চাস?
নাস্তিক উত্তর দিল:
- হুজুর, রোজার মাস যদি সংযমের মাস হত, তাহলে তো জিনিসপত্রের দাম কমে যাবার কথা ছিল। ইকোনমিকস বলে, যখন কোনো জিনিষের ডিমান্ড বেড়ে যায়, তখন সেই জিনিষের দাম অটোমেটিকভাবে বেড়ে যায়।
রোজার মাসে মুসলমানরা খাদ্যদ্রব্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, খালি গিলতে থাকে, তাই সব খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। এর মানেই কি সংযম?
আর আপনারা, হুজুররা, বলেন, একদিন মাদার ডে-তে মাকে ভালবেসে কী লাভ? মুসলমানরা সারা বছরই মাকে ভালবাসে। তাহলে তো বলতে হয়, কোরবানির সময় একদিন গরিবদের গরু খাওয়ায়ে প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে কী লাভ? গরিবদের তো সারা বছরই প্রোটিন দরকার। কোরবানি ঈদটা একদিনের মাদার ডে পালন করার মত হয়ে গেল না?
আমি উত্তর দিলাম:
- যারা রোজার মাসে জিনিষপত্রের দাম বাড়ায়, এবং কোরবানীর সময় গরুর দাম বাড়ায়, তারা সহি মুসলমান না। সহি মুসলমানরা কখনই রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় না।
নাস্তিক উত্তর দিল:
- হুজুর, রোজার মাসে খ্রিষ্টান, নাস্তিক, ইহুদি নাসারাদের দেশে দ্রব্যমুল্য বাড়ে না। তাহলে কি ওরাই সহি মুসলমান?
আমি উত্তর দিলাম:
- নাউযুবিল্লাহ মিন জালেক, ফি নারে জাহান্নামা...
গত সপ্তাহে সুইডেনের একটি মুসজিদে বয়ান করতে গিয়েছিলাম। বয়ান দিচ্ছিলাম এইভাবে:
- ইহুদি, নাসারা, নাস্তিকরা ভালেনটাইন ডে, মাদার ডে, পহেলা বৈশাখ পালন করে। এইসব উৎসব পালন করা বেদাত বেদাত বেদাত।
আল্লাহরাব্বুল আলামিন আমাদেরকে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা দিয়েছেন। ঈদুল ফিতরে মুসলমানরা গরিবদের দুঃখ কষ্ট বুঝার জন্য সংযম করে, আর ঈদুল আজহাতে মুসলমানরা ত্যাগ স্বীকার করে। ইহুদি-নাসারা কি পারবে এইরকম সংযম, ত্যাগ স্বীকারমুলক বরকতময় একটি দিবস বানাতে? কখনোই পারবে না...
যথারীতি একটি নাস্তিক সামনের কাতারে বসা ছিল। সে আমাকে প্রশ্ন করল:
- কিন্তু হুজুর, ভালেনটাইন ডে-তে গরিবদের খাদ্যদ্রবের দাম বেড়ে যায় না। ত্যাগ ও সংযমের নামে গরিবের পেটে লাত্থি মারা হয় না।
আমি রেগে গিয়ে প্রশ্ন করিলাম:
- ওরে জাহান্নমি নাস্তিক, তুই কী বলতে চাস?
নাস্তিক উত্তর দিল:
- হুজুর, রোজার মাস যদি সংযমের মাস হত, তাহলে তো জিনিসপত্রের দাম কমে যাবার কথা ছিল। ইকোনমিকস বলে, যখন কোনো জিনিষের ডিমান্ড বেড়ে যায়, তখন সেই জিনিষের দাম অটোমেটিকভাবে বেড়ে যায়।
রোজার মাসে মুসলমানরা খাদ্যদ্রব্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, খালি গিলতে থাকে, তাই সব খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। এর মানেই কি সংযম?
আর আপনারা, হুজুররা, বলেন, একদিন মাদার ডে-তে মাকে ভালবেসে কী লাভ? মুসলমানরা সারা বছরই মাকে ভালবাসে। তাহলে তো বলতে হয়, কোরবানির সময় একদিন গরিবদের গরু খাওয়ায়ে প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে কী লাভ? গরিবদের তো সারা বছরই প্রোটিন দরকার। কোরবানি ঈদটা একদিনের মাদার ডে পালন করার মত হয়ে গেল না?
আমি উত্তর দিলাম:
- যারা রোজার মাসে জিনিষপত্রের দাম বাড়ায়, এবং কোরবানীর সময় গরুর দাম বাড়ায়, তারা সহি মুসলমান না। সহি মুসলমানরা কখনই রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় না।
নাস্তিক উত্তর দিল:
- হুজুর, রোজার মাসে খ্রিষ্টান, নাস্তিক, ইহুদি নাসারাদের দেশে দ্রব্যমুল্য বাড়ে না। তাহলে কি ওরাই সহি মুসলমান?
আমি উত্তর দিলাম:
- নাউযুবিল্লাহ মিন জালেক, ফি নারে জাহান্নামা...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন