আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১০ জুলাই, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা- ১২

লিখেছেন ইমানুল হক

১৪.
গিরামের খাস ইন্দু ফতিত জায়গায় একডা মজ্জিদ বানামু বাইবতে সিলাম। গিরামের প্নঞ্চায়েতের লগে বই মাস তিনেক আগে বাদ'জুঅর একদিন সিদ্দান্ত নিলাম যে মজ্জিদ তৈরির লাই ফ্রতিদিন মাইকিং করি ট্যেহা তুলে মজ্জিদের নিম্মান কম্য সালাই নেওয়া যাইবো, তালি ফড়ে ত কুন সমস্যাই নাই। ট্যেহা ফয়সারও কুন অবাব তাইকবে না আমার সংসারে। মজ্জিদও চইল্য আর আমার সংসারও বালা চইল্য, সমুস্যা কি? ত যেমুন সিন্তা তেমন কম্য। নতুন মুয়াজ্জিনরে টিক কইচ্চিলাম মজ্জিদের লাই ট্যেহা তুলতে। দাড়াই দাড়াই আজ হডাৎ হুইন্তেসিলাম কিবাবে ট্যেহা তুলে আল্লার রস্তে, ইক্টু দেহি। তার বাইষ্যডা মুডামুডি ইরকম- সম্মানিত ফতচারী বাই ও বুনেরা, আসসালামুয়ালাইকুম। আপনাগগের বাম দিকেই দেকতে ফাচ্চেন আমাদের ইমানুল্যা সাহি জামে মজ্জিদ। ফিলার ও দেয়ালের কাজ শেষ অয়েসে। ছাদ আর ফেলাস্টারের কাজ একনও বাকি আসে। ৫-১০ ডা ট্যেহা আমাগগের মজ্জিদের লাই দান করে যান। যুবক-যুবতি বাই ও বুনেরা কত ট্যেহাই ত কতো দিকে নষ্ট অই যায়, (এবারে সুর করে গান) কত ট্যেহা কত ফয়সা অকারনে চলে যায়, আল্লার গড়ে দান করিলে আকেরাতে ফাওয়া যায়। সবাই একত্রে বলেন, কত ট্যেহা, কত ফয়সা অকারনে চলে যায়, আল্লার গড়ে দান করিলে আকিরাতে ফাওয়া যায়...."।
এক ব্যাডা দেকলাম ৫ ডা ট্যেহা দিল। আর সাত সাত মুয়াজ্জিন বইলতে লাইগলো- "আল্লা তুমার এক বান্দা আল্লার গড়ে দান কইচ্চে আল্লা, যাত্রাপতে তার সকল বালা মসিবতগুলান দূর করি দেউ। তার হায়াত আল্লা দ্বারাজ করে দেও। তাক তুমি সৎপতে চলার তউপিক দান করো। আল্লা তার সকল ন্যাক মারফতগুলা তুমি ফুন্য করি দেও। আমিন।" হুনিই আমার পড়ান ডা জুরাই গেল, কত সন্দোর ইসটাইলে ট্যেহা চায়। মানুষ না দি যাইবো কই! "আমি মুয়াজ্জিনেক আরেক্কান কতা যুগ কইত্তে বইল্যাম যে, "আইজ ১ ট্যেহা দান কইল্যে আকেরাইতে ৭০ ট্যেহা ফাওয়া যাইবো। ইডাও বইলো। তালি আরো বেশি ট্যেহা জমা ফইরবো ইন্সাল্লা।"  যাওক, এর ফর ফরই আইজ এক ফুলারে মজ্জিদের মাইকিং এর সামন অইতে দইরে আনা অইচে। হেই ফুলায় নিকি কয়, "হুজুররা নিকি সুমাজের বুজা। হেরা কুনু কামেই আহে না। হেরা বাড়ি বাড়ি বিক্কা করি খায়। মজ্জিদের সামনে মাইক নিয়া বিক্কা করে। মিলাত, দুয়া, মুনাজাত করি ট্যেকা নেয়। দান বাক্সের ট্যাকা মারি বাজার করি খায়। রাস্তা বলোক করি উয়াজ মাপিল করি মানুষের গুম হারাম করি, ছুডু ফুলাফাইনের ফড়ালিকা নস্ট করি ট্যেহা উপাজ্জন করে। আবিজাবি মন্ত্র ফড়ি মানুষেক জারফুক দি, ফানিপড়া দি ট্যেহা নেয়। ট্যেহার বিনিময় কব্বর জিয়ারত করি ফ্যাড চালায়। হুজুরেরা তাইকলে সুমাজ নিকি কুনুদিন আগাইতে ফাইরব না, নাউজবেল্লা! কতাগুলান সইত্য অউক আর মিত্যা অউক সিডা কুন ব্যাফার না, ব্যাফারকানা অইলো সে ইচলামের ত্রানকর্তা হুজুর-মুয়াজ্জিনগোর বিরোদিতা কইচ্চে মানি অইলো গিয়া ইচলামের বিরুদিতা কইচ্চে আর ইডার জইন্য হাদীস এ বলা অইছে

[হজরত ইকরামা (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আলী (রা.)-এর খিদমতে কয়েকজন জিনদিককে (ধর্মদ্রোহী) উপস্থিত করা অলে তিনি তাগের আগুনে পুড়িয়ে অত্যা করেন। এ কবর হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)- এর কাচে পৌচলে তিনি বইল্যেন, আমি অলে তাগেরেক আগুন দি ফুরাইতাম না। রাসুল (সা.)-এর নিষেধ তাকার কারণে। তিনি আরোও বইল্যেন, তুমরা আল্লার শাস্তি মত করি কাউকে শাস্তি দিও না। তয় অবশ্যই আমি তাগের অত্যা কইত্তাম। কারণ রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি স্বীয় ধম্য ইচলাম ত্যাগ কইরবে তাক হত্যা করো। (বোখারি, জামউল ফাওয়ায়েদ ১/৪৮৪)]
আপনেরাই কন একজন ফ্রকিত মুমিন ইসেবে আমাগের একন হালারফুত্ত্রে কি শাস্তি দেউয়া উচিৎ???
 

1 টি মন্তব্য: