বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭

হাদীসের প্রথম পাঠ - ১২

লিখেছেন নরসুন্দর মানুষ

> পর্ব > পর্ব১০ > পর্ব১১


শরীরবিদ্যার জারিজুরি

        মুহাম্মদ শিক্ষা দিয়েছেন বা'হাত দিয়ে হাগুর রাস্তা পরিস্কার করতে, খুব ভালো কথা; কিন্তু জন্মসুত্রে যে বাহাতি তার ব্যাপারে কী বিধান? এছাড়াও তিনি ডান হাতে পুরূষাঙ্গ ধরতে মানা করেছেন! কিন্তু কেনো?

মুসলিম-০২-৫০৪:    সালমান থেকে বর্ণিত: একবার তাঁকে বলা হলো, তোমাদের নবী তোমাদেরকে সব কাজই শিক্ষা দেন এমনকি পেশাব পায়খানার পদ্ধতিও! তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি আমাদেরকে পায়খানার বা পেশাবের সময় কিবলামুখী হয়ে বসতে নিষেধ করেছেন, ডান হাত দিয়ে ইসতিনজা করতে, তিনটি টিলার কম দিয়ে ইসতিনজা করতে এবং গোবর বা হাড় দিয়ে ইসতিনজা করতে।
বুখারী-১-৪-১৪৪:             মুহাম্মদ যখন প্রকৃতির ডাকে যেতেন তখন বলতেন, (হে আল্লাহ! আমি মন্দ কাজ ও শয়তান থেকে আপনার আশ্রয় নিচ্ছি।)
বুখারী-১-৪-১৪৬:             মুহাম্মদ বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন প্রকৃতির ডাকে যায়, তখন সে যেন কিবলার দিকে মুখ না করে এবং তার পিঠও না করে, বরং তোমরা পূর্ব দিক এবং পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে।
বুখারী-১-৮-৩৮৮:    মুহাম্মদ বলেছেন: যখন তোমরা পায়খানা করতে যাও, তখন কিবলার দিকে মুখ করবে না কিংবা পিঠ ও দিবে না, বরং তোমরা পূর্বদিকে অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে। আবু আয়্যুব আনসারী বলেন: আমরা যখন সিরিয়ায় এলাম তখন পায়খানাগুলো কিবলামুখী বানানো পেলাম। আমরা কিছুটা ঘুরে বসতাম এবং আল্লাহ তালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতাম।
বুখারী-১-৪-১৪৭:             লোকে বলে মল-মুত্র ত্যাগের সময় কিবলার দিকে এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের দেকে মুখ করে বসবে না। আবদুল্লাহ ইবনে উমর বলেন: ‘আমি এক দিন আমাদের ঘরের ছাদের উপর উঠলাম। তারপর রাসুলুল্লাহ কে দেখলাম বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে দুই ইটের উপর তাঁর প্রয়োজনে বসেছেন।
বুখারী-১-৪-১৫৬:             তোমাদের কেউ যখন পস্রাব করে তখন সে যেন কখনো ডান হাত তার পুরূষাঙ্গ না ধরে এবং ডান হাত দিয়ে ইসতিনজা না করে এবং পান করার সময় যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ছাড়ে।
মুসলিম-০৩-৭২৯:    মুহাম্মদ শৌচাগারে প্রবেশ করার সময় বলতেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুষ্ট পুরুষ জিন ও নারী জিন থেকে পানাহ চাচ্ছি।
বুখারী-১-৪-১৬৩:             মুহাম্মদ বলেছেন: তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উযু করে তখন সে যেন নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে। আর যে ইসতিনজা করে সে যেন বেজোড় সংখ্যক ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে তখন সে যেন উযুর পানিতে হাত ঢুকানোর আগে তা ধুয়ে নেয়; কারণ তোমাদের কেউ জানে না যে, ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় থাকে।
বুখারী-১-৪-১৩৭:             মুহাম্মদ বলেছেন: যে ব্যক্তির হাদস হয় তাঁর সালাত কবুল হবে না, যতক্ষন না সে উযু করে। হাযরা-মাওতের এক ব্যক্তি বলেন, ‘হে আবু হুরায়রা! হাদস কী?’ তিনি বলেন, ‘নিঃশব্দে বা সশব্দে বায়ু বের হওয়া।’
বুখারী-১-৪-১৩৯:             মুহাম্মদ-এর কাছে এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, তার মনে হয়েছিল যেন নামাজের মধ্যে কিছু হয়ে গিয়েছিল। মুহাম্মদ বললেন: সে যেন নামাজ থেকে ফিরে না যায়, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা গন্ধ পায়।
বুখারী-১-৮-৪৩৬:             মুহাম্মদ বলেছেন: তোমাদের কেউ মসজিদে সালাতের পর থেকে বায়ু ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত যেখানে সে সালাত আদায় করেছ সেখানে যতক্ষণ বসে থাকে ততক্ষণ ফিরিশতারা তার জন্যে দোয়া করতে থাকেন। তাঁরা বলেন: হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন! হে আল্লাহ! তার প্রতি রহম করুন।
বুখারী-১-৮-৪০৪:            মুহাম্মদ বলেছেন: তোমাদের কেউ যেনো তার সামনে বা ডানে থুথু না ফেলে; বরং তার বাঁয়ে বা পায়ের নীচে ফেলে।



প্রাণীত্বত্ত্ব-হোমিওপ্যাথী

          সাত সংখ্যার প্রতি নবী মুহাম্মদের ছিলো প্রবল প্রেম! কাবায় সাত পাঁক, সাতবার পাহাড়ে দৌড়ানো! ৭-৭০-৭লাখ-৭০লাখ সব হচ্ছে হোমিওপ্যাথীর মত; ঔষধ ছাড়াই পাওয়ার বাড়তে থাকে! ও হ্যাঁ তার পোলা-মাইয়া ছিলো ৭টা! তিনি বিড়াল পুষতেন কিন্তু কুকুরের মত প্রভুভক্ত প্রাণী ছিলো তার দু-চোক্ষের বিষ! সাপ, গিরগিটি নিয়েও কুসংস্কার ছিলো দ্বীনের নবী মুস্তফার!

বুখারী-১-৪-১৭৩:             মুহাম্মদ বলেছেন: তোমাদের কারো পাত্রে যদি কুকুর পান করে তবে তা সাতবার ধুইবে।
বুখারী-৩-৩৯-৫১৫:   মুহাম্মদ বলেছেন: যে ব্যক্তি শস্য খেতের পাহারা কিংবা হিফাযতের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে কুকুর পোষে, প্রতিদিন তার নেক আমল থেকে এক কীরাত পরিমান কমতে থাকবে।
বুখারী-৭-৬৭-৩৮৯:   মুহাম্মদ বলেছেন: যে ব্যক্তি এমন কুকুর লালন পালন করে যেটি পশু রক্ষার জন্যও নয় কিংবা শিকারের জন্যও নয়; তার আমল থেকে প্রত্যেহ দুই কীরাত পরিমাণ হ্রাস পাবে।
বুখারী-১-৯-৪৯০:             আয়িশা থেকে বর্ণিত: একবার তাঁর সামনে সালাত নষ্টকারী জিনিসের আলোচনা করা হল। লোকেরা বললো: কুকুর, গাধা ও মহিলা সালাত নষ্ট করে দেয়। আয়িশা বললেন: তোমরা আমাদের কুকুরের সমান করে দিয়েছো! আমি নবীকে দেখেছি, সালাত আদায় করেছেন আর আমি তাঁর ও কিবলার মাঝে চৌকির উপর কাত হয়ে শুয়ে থাকতাম। কোনো কোনো সময় আমার বের হওয়ার দরকার হতো এবং তাঁর সামনের দিকে যাওয়া অপছন্দ করতাম। এজন্যে আমি চুপি চুপি সরে পড়তাম।
মুসলিম-০৪-১০৩২:  মুহাম্মদ বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন নামাজে দাঁড়ায়, সে যেন হাওদার খুটির ন্যায় একটি কাঠি তার সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। সে যদি তার সামনে হাওদার পিছনের খুটির ন্যায় একটি কাঠি দাঁড় করিয়ে না দেয়- এমতাবস্থায় তার সামনে দিয়ে গাধা, স্ত্রীলোক এবং কালো কুকুর যাতায়াত করলে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে। (আবদুল্লাহ ইবনে সামিত বলেন): আমি বললাম: হে আবু যার! কালো কুকুরের কি অপরাধ, অথচ লাল ও হলুদ বর্ণের কুকুরও তো রয়েছে। তিনি বলেলেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তুমি আমাকে যে প্রশ্ন করেছ, আমিও রাসুলুল্লাহুকে অনুরূপ প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি উত্তরে বলেছেন: কালো কুকুর হল একটি শয়তান।
মুসলিম-১০-৩৮১৩:   মুহাম্মদ কুকুর হত্যা করার জন্য আমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। অতঃপর কোনো বেদুঈন নারী কুকুরসহ আগমণ করলে আমরা তাও হত্যা করে ফেলতাম। পরে নবী তা হত্যা করতে নিষেধ করেন এবং বলেন, চোখের উপর সাদা দুই টিকা বিশিষ্ট ঘন কৃষ্ণ বর্ণের কুকুর তোমরা হত্যা কর কেননা উহা হল শয়তান।
বুখারী-৩-৩৪-৪৩৯:  মুহাম্মদ কুকুরের মূল্য, ব্যভিচারের বিনিময় এবং গনকের পারিতোষিক (গ্রহন করা) থেকে নিষেধ করেছেন।
বুখারী-৪-৫৪-৫১৮:   মুহাম্মদকে মিম্বারের উপর ভাষণ দান কালে বলতে শুনেছেন, ‘সাপ মেরে ফেলো। বিশেষ করে মেরে ফেলো ঐ সাপ, যার মাথার উপর দুটো রেখা আছে এবং লেজ কাটা সাপ। কেননা, এ দুপ্রকারে সাপ চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয় ও গর্ভপাত ঘটায়।
বুখারী-৪-৫৪-৫২৭:  মুহাম্মদ বলেছেন: পিঠে দুটি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপকে মেরে ফেলো, কেননা এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তিকে নষ্ট করে আর গর্ভপাত ঘটায়।
বুখারী-৪-৫৪-৫২৯:   ইবনে উমর প্রথমে সাপ মেরে ফেরতেন। পরে মারতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, নবী একবার তাঁর একটি দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। তাতে তিন সাপের খোলস দেখতে পান। তখন তিনি বললেন, দেখো! কোথায় সাপ আছে? লোকেরা দেখলো (এবং তাঁকে জানাল) তিনি বললেন, একে মেরে ফেল। এ কারণে আমি সাপ মেরে ফেলতাম। এরপর আবু লুবাবার সাথে আমার দেখা হল। তিনি আমাকে জানালেন, নবী বলেছেন, পিঠের উপর দুটি রেখা বিশিষ্ট এবং লেজকাটা সাপ ব্যতীত অন্য কোন সাপকে তোমরা মেরো না। কেননা এগুলো গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয়, তাই এ জাতীয় সাপ মেরে ফেল।

বুখারী-৪-৫৫-৫৭৯:  মুহাম্মদ গিরগিটি বা কাকলাশ মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন: ইব্রাহীম যে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তাতে এ গিরগিটি ফুঁ দিয়েছিল।
বুখারী-৩-৩৬-৪৮৪:  মুহাম্মদ পশুকে (বাচ্চা জন্মের জন্য) পাল দেওয়ানো বাবদ বিনিময় নিতে নিষেধ করেছেন।
বুখারী-৪-৫২-১১৫:   মুহাম্মদ গনীমাতের মাল থেকে ঘোড়ার জন্য দু'অংশ এবং আরোহীর জন্য এক অংশ নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন।

বুখারী-৩-২৯-৫৪:            মুহাম্মদ বলেছেন: পাঁচ প্রকার প্রানী হত্যা করাতে তাঁর (মুসলিমের) কোনো দোষ নেই, যেমন: কাক, চিল, ইদুর, বিচ্ছু ও পাগলা কুকুর।
মুসলিম-২০-৪৬২১:   মুহাম্মদ বলেছেন: বরকত রয়েছে ঘোড়ার ললাটে।

মুসলিম-৩৫-৬৫৮১:  মুহাম্মদ বলেছেন: যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনতে পাবে তখন আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ চাইবে। কেননা সে ফিরিশতা দেখে থাকে। আর যখন তোমরা গাধার বিকট আওয়াজ শুনতে পাবে তখন আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে পানাহ চাইবে। কেননা সে শয়তান দেখে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন