একজন
মোসলমান যখন আল্লাহ কে রাহমানুর রাহিম বলে তখন তা আসলে এই অর্থে বলেনা যে আল্লাহ আসলেই
অসীম দয়ালু, সে অবচেতন ভাবে ঠিকই অনুভব করে যে আল্লাহ খুবি নিষ্ঠুর শাস্তিদাতা যিনি
সৃষ্টিককর্তা হিসেবে সবাইকে সৃষ্টি কইরা মাইনকার চিপায় ফেইল্লা ফাসায়া দিছেন। তারপর
ও একরকম ভাবে বিশ্বাস করে যে তাকে যদি রহমানুর রাহিম হিসাবে বিশ্বাস পাকাপোক্ত করা
যায় এবং হয়ত তাকে যদি আমৃত্যু রাহমানুর রাহিম ডাকতে থাকা যায় হয়ত তিনি তার প্রতি পরকালে
দয়ালু হবেন।
আল্লাহ
এই রকম হইবার কারন সম্ভবত ইসলাম ধর্ম যখন প্রচলন করা হচ্ছিল তখন মানুষ দেখতো চার পাশে
মানুষ কি অসহায়।চার দিকে খুন খারাপি যুদ্ধ বিগ্রহ, রোগ শোক, মহামারী এবং ক্ষুদা অনাহারের
আক্রমনেব নিরপরাধ মানুষগুলোও অকারনেই মারা যাচ্ছে। মানষ কিছুই করতে পারছেনা। আর তাই
মানুষ এই রকম ঈশ্বর কল্পনা করে নিল যাতে পরকালের আরো বড় আজাবের বা বড় পুরষ্কারের কল্পনা
করে যাতে দুনিয়ার যন্ত্রনা সেই বেহেস্তের আশায় এবং সেই নড়কের ভয়ে পার করে দেয়া যায়।
আর
এইটাই যেহেতু আল্লাহর প্রকৃত রুপ, আমার কাছে তাই বর্তমান কালের দৃষ্টিতে অনৈতিক কাজ
যেমন গনিমত সংগ্রহ , ধর্ষন, পাথর ছুরে মারা, হাত কাটা, বৌ পিটানো, খুন, লূট পাটের নির্রদেশনা
কেন অনুমোদন দেয়া হল আর এই কারনে ইসলাম মিথ্যা হবে এটা ইসলামী বিশ্বাসের সত্যতার বিরুদ্ধে
খুব শক্ত যুক্তি বলে আমার মনে হয়না, কখনো মনে হয়নি। কারন কোন মোমিন ভিতরে ভিতরে মনে করতে পারে -হতে
পারে ঈশ্বর এগুলোই চান এবং কারন যে ঈশ্বর এতই বদের হাড্ডি যে শুধু মাত্র তার উপরে বিশ্বাস
না করলে অনন্তকাল নড়কে জ্বালাইবেন তিনি এই জাতীয় অপকর্ম করা জায়েজ করবেন এতে অবাক হবার
কি আছে।
আমার
মতে ধর্ম গুলো যে সত্য তা ভাববার কোন যৌক্তিকতা নাই তা নিশ্চিত হবার জন্য মানব ইতিহাস,
বিবর্তনবাদ, মনোবিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা এবং দর্ষনে পাওয়া তথ্যা গুলো
মুক্তমনে মিলিয়ে দেখলেই যথেষ্ট। কোন নবী রাসুলের জীবন পর্যালোচনা করা, কিংবা লৌহযুগে
রচিত কিতাব খানা নিয়া ঘাটা ঘাটি অপ্রয়োজনীয় সময় নষ্ট করার মতই মনে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন