বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা- ১৩

লিখেছেন ইমানুল হক

১৫.
নাউজবেল্লা, নাউজবেল্লা। এ আমারে কি হুনাইলো রে। আল্লা আমি এ কুন দুনিয়ায় আইছি গো! আমারে একনো উডাই নেউ নাই ক্যা আল্লা? ৬ মাস আগে চা-আলা মইত্যা আমারে কয়, মেম্বরের ফুলার বিবির নিকি ফুলা ফ্যাডে। এহন ৪ মাস চইলতেছে।" ঢাকার ডাক্তরেরা নিকি কইছে, আলতাসুনু না কি জানি কয়, ওইডা দি পরিক্কা করি ডাক্তার আগ তেকেই নিকি কই দিতে ফাড়ে ফ্যাডের বাচ্চা চেলে না মেয়ে! কিন্তু ইডা ত কুনু বাবেই সম্বব না। কারন মআন আল্লাফাক নিজে ফবিত্র  কুরানে ইসসাদ কইচ্চেন, "নিচ্চই আল্লার নিকটই রয়েচে কিয়ামতের গেয়ান আর উনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন আর উনিই জানেন গর্ভাশয়সমূহে যা রয়েচে। কুনো লুক জানে না আগামীকাল সে কী কামাই কইরবে। আর কুনো লুক জানে না কোন্ স্তানে সে মৃত্যুবরণ কইরবে। নিশ্চয় আল্লা সর্বজ্ঞ ও সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।” (সূরাহ লুক্বমান, আয়াত নং ৩৪)। আর এই ৫ ডা বিষয় ( কিয়ামতের গেয়ান, বিষ্টির গেয়ান, গর্ভাশয়ের গেয়ান, আয়রুজির গেয়ান আর মিত্যুর গেয়ান) অইলো গিয়া গাইবি ইলম বা অদিশ্য বিষয়ের গেয়ান যা একমাত্তর আল্লা চাড়া আর কেউ জাইন্ত ফাইরবে না। এ বিষয় ডা সূরাহ রা‘দের ৮ নম্বর আয়াতে আরো পস্টো করে বলা অয়েচে। সেকানে মআন আল্লা ইরশাদ করেচেন : “আল্লাহ জানেন : ফ্রইত্যেক নারী যা গর্ভধারণ করে আর যা গর্ভাশয়সমূহ সংকুচিত করে ও বধ্যিত করে। আর ফ্রইত্যেক জিনিস তাঁর নিকটে এক নির্দিষ্ট পরিমাপে রয়েচে।” (সূরাহ রা‘দ, আয়াত নং ৮)। আয়াতডার  ব্যাক্কা বন্যনা করে প্রসিদ্দ তাবিয়ী ইমামুত তাফচীর হযরত কাতাদাহ্ (রহ.) কন : “আল্লা চারা কেউ জানে না গর্ভাশয়ে কী আচে; তা ফুলা না মাইয়া অতবা পরসা না কালা!” (দ্রষ্টব্য: তাফসীরে ইবনে কাছীর, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৩৫৬ পৃষ্ঠা)।


কিন্তু আইজ সত্য সত্যই ফুলা অই গ্যাছে। আমি ত এদিক দি চিন্তায় ফড়ি গেলাম, ইডা ক্যামনে সুম্বাব? আলতাসুনুডা আবার কি জিনিস? মিয়া মানুষ যেইডা দি সাজুগুজু করে হেইডা নিকি? হতি ফারে, এইজইন্যই ত কই, আল্লাফাক মাইয়া মানুষেক ক্যান বাসার তেকে বের অইতে নিষেদ কইচ্চেন। এই আলতাসুনু- সাজুগুজু ত তালি আর কইত্তে দেওয়া যাবে না। আল্লায় বালার জইন্য হালির বেটিগো পদ্দা করা বাইদ্দতামুলক কইচ্চেন। যাওক এক ডাক্তারের কাচে গি জানলাম "মানুষের স্রবণসীমার বাইরের কম্পাংকের সব্দ তরঙ্গের মাইদ্যমে শরীরের বিতরের চবি নেয়ার পদ্ধতি অইলো আলতাসুনুগ্রাপি। রুগীর শইল্যের যে অংশে আলতাসুনুগ্রাম করা অবে সেকানে এক দরনের জেল লাগানু অয়। এরফর একডা ট্রান্সডিউসার একই সাতে সব্দ তরঙ্গ তৈরি করে আর প্রতিপলিত অয়ে আসা সব্দ গ্রঅণ করে। প্রতিদ্যনিত শব্দতরঙ্গ বিশ্লেষণের মাইদ্দমে বিতরের অঙ্গফ্রত্যঙ্গের আকার ও দূরত্য নিন্যয় করা যায়। একডা মনিটরে ছবি প্রদশ্যিত। আলতাসুনুগ্রামের মাইদ্যমে তিরিমাতরিক ছবি নেয়া অলে হেইডাক ৩ডি কয়। আর গতিশীল ছবি অর্তাৎ চতুর্থ মাত্রা ইসেবে সমুয় তাইকলে হেডাক ৪ডি আলতাসুনুগ্রাপি। এর মাইদ্দমে ফুলা  না মাইয়া হেইডা মাত্তর ২০-২২ সপ্তাফরেই নির্বূলবাবে নিন্যয় করা নিকি সুম্বাব অয়।"

এইকতা সুইন্যাই আমি বুচ্চি যে হালারফুতেরা সব বুয়া কতা কয়। "আরে ব্যাডা, আলতাসুনু-মুনু দি কুনো কাম অইতো না। হুদা মাইন্সেরে সয়তানের দুকা দ্যাস। আর নিজেরা ত আদীস তেকে টিকি রাচূলের দিকানু চিস্টেমে বের করস বাচ্চা ফ্যাডের মইদ্দে ফুলা না মাইয়া। হারামকুর কুনহানের!" আদীসকানা দি দিলাম, “ফুলা বাচ্চার কেত্রে পুরুষের বীয্যের আগে ময়িলার বীয্য নিরগত অয় আর মাইয়া বাচ্চার কেত্রে ময়িলার বীয্যের আগে পুরুষের বীয্য নিরগত অয়।” [বুখারী শরীফ]। যেকানে আদীসের দিকানু ফতে নিন্যয় করা যায় সেকানে তগের আলতাসুনু সব বূয়া। তগের আলতাসুনুর উফ্রে আল্লার গজব ফড়ুক। আসলে হারামীরফুতগোর হাসপাতাল আর ডাক্তারি ফেশাডা বন্দ করি দেয়া সব মুমিনগের লাই ইমানি কইত্তব্য অই দাড়াইছে। [আল্লা অদেরকে তুমি দ্বংস করি দেউ কুদা। অদেরকে তুমি দ্বংস করি দেউ মাবুত]

1 টি মন্তব্য:

  1. হুগুর, আপনের ধোয়া কবুর অউক, আফনার গরে ১৪টা মাইয়া অউক। এতাত্তোন ১গ্গা মাইয়া বিয়া গরি আই আন্নেরে হউর বানামু।
    হিহিহিহি........
    ভালা থাহইন.......
    -TruthToSaveGeneration

    উত্তরমুছুন