মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

হাস্যকোরান ২: আল্লাহ ইচ্ছা করলে আকাশ ভেঙ্গে দিতেন

লিখেছেন: বেহুলার ভেলা


মানুষ কল্পনাপ্রবণ প্রাণী। একদম আদিম কাল থেকে তার আশেপাশের দৃশ্যমান সবকিছু নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনার শেষ নাই। মাথার উপরে বিশাল নীল আকাশ। এ আকাশ কী? এত বিশাল আকাশ কে ধরে রেখেছে, কে একে তারকা দিয়ে সাজিয়েছে? এই বিশাল আকাশের উপরেই বা কী আছে?

কেউ কল্পনা করল এই আকাশকে দেবতারা ধরে রেখেছে। কেউ কল্পনা করল এর হয়ত কোনো পিলার আছে, কেউ মনে করল তার আল্লাহ এত শক্তিশালী যে পিলার ছাড়াই আকাশকে ধরে রেখেছেন। কেউ ধরে নিল এই আকাশের উপর আরো আকাশ আছে, মোট সাতটি আকাশ। কেউ মনে করল এই আকাশের উপরে ঈশ্বর তাঁর দেবদূত বা ফেরেশতাদের নিয়ে বাস করেন।

আমরা বর্তমানে জানি আকাশ বলতে আসলে কঠিন কোনো পদার্থ, চাদর বা আবরণ নেই। এটা নীল দেখা যায় কারণ নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম বিধায় আকাশে নীল রঙের আলোর বিক্ষেপণ বেশি হয়।যদি বায়ুমণ্ডল না থাকত তবে আকাশকে কালো দেখা যেত।

আজ  থেকে হাজার দেড়েক বছর আগে মক্কার লোকেরা আকাশ সম্পর্কে কী ভাবত তা ফুটে উঠেছে কোরানে। খুবই হাস্যকর সন্দেহ নাই। কোরান থেকে আমরা সেসময়ের মানুষের কল্পনা সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু বর্তমান সময়ে এগুলো মানুষ কিভাবে বিশ্বাস করে তা বুঝা মুশকিল। কোরান পড়ার সময় মুমিনেরা ওজু করে নেন। এর চেয়ে বরং গাঁজা সেবন করে নিলে ভাল হয়।  

 আকাশ নিয়ে আল্লাপাকের বিশাল ভাবনা ছিল।  কোরানে আকাশ নিয়ে একই ধরণের  বেশ কিছু আয়াত ডাউনলোড করে নিয়েছেন মহানবি।  একটি নির্ভরযোগ্য ও অন্তত তিন বা চার দশক আগের কোরানের অনুবাদ ও তফসির নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে পারেন। নতুন অনুবাদ ও তফসিরগুলো মুমিনরা বিকৃত করে ফেলেছে তাদের ইমান রক্ষার্থে ও ধর্মব্যবসার স্বার্থে। এমন হওয়া সম্ভব নয় যে আগের যুগের মানুষেরা কোরান কম বুঝত বা ভুল বুঝত কারণ কোরান সব যুগের মানুষের জন্যই এসেছে।  যাদের হার্টের অবস্থা ভাল তারা তফসিরে জালালাইন বা অন্তত শ খানেক বছর আগের তসফির পড়তে পারেন।

বিনোদনের প্রস্তুতি নিয়ে বসেন আর প্রথমেই নিচের আয়াত পড়েন -

 তারা কি তাদের সামনের ও পশ্চাতের আকাশ ও পৃথিবীর প্রতি লক্ষ করে না? আমি ইচ্ছা করলে তাদের সহ ভূমি ধ্বসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোনো খন্ড তাদের উপর পতিত করব। আল্লাহ অভিমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। (সুরা আস সাবা, ৩৪; আয়াত ৯)

কোরান রচয়িতারা আকাশকে একটি গম্বুজের আকারের সপ্ত-স্তরবিশিষ্ট কঠিন পদার্থ বলে মনে করতেন। খালি চোখে দেখলে ও আকাশ সম্পর্কে কোনো জ্ঞান না থাকলে এমন ভাবা অসম্ভব নয়।

আয়াতটি আরেকবার পড়েন, কী থ্রেট মাইরি! তিনি আকাশের কোনো খণ্ড তাদের উপর পতিত করে দিতে পারেন, ভূমি ধ্বসিয়ে দিতে পারেন। যেন কোনো এক বর্বর-সাম্রাজ্যবাদি-যুদ্ধবাজ হুমকি দিচ্ছে। এরকম হুমকি যে গ্রন্থে আছে সেটা কিভাবে মহান কোনো সত্তার বাণী বলে বিশ্বাস করতে হয়?

আল্লাহ নামক করুণাময়-কল্যাণকামী কোনো ঈশ্বর থাকলে তাঁর চিন্তা-ভাবনা থাকত ভিন্ন।  যেহেতু তিনি সর্বশক্তিমান তাই তিনি কেন এ ধরণের হুমকি দিবেন? মানুষকে বিপদে ফেলে দিতে পারতেন অথচ তা করছেন না, এটা আবার কী ধরণের মহত্ত্ব। আমাদের সবারই অন্যের ক্ষতি করার বা অনর্থ সাধন করার কম-বেশি ক্ষমতা আছে এবং সেটা না করা এতটাই  স্বাভাবিক যে তাতে কোনো কৃতিত্ব খুঁজে পাই না। কোরানের ঘোষণা শোনলে মনে হয়  যেন কোনো এক অসভ্য নৃপতি ঘোষণা করছে- আমি ইচ্ছা করলে রাজ্যের যে কাউকে কতল করতে পারি, যেকোনো নারীকে অপহরণ করতে পারি কিন্তু সেটা করছি না, তাই আমি মহান করুণাময়। 

আকাশ সম্পর্কে ইসলামের আজগুবী ধারণার চিত্র: সাত স্তরের আকাশ, সবার উপরে আল্লাহর আরশ বা সিংহাসন

দেখেন নিচের আয়াতগুলো

নির্মাণ করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ। (সুরা আন নাবা, ৭৮আয়াত ১২)

মন্তব্য: বহুত বড় এক কাজ করেছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা।


 (কিয়ামতের সময়) আকাশ বিদীর্ণ হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে। (সুরা আন নাবা ৭৮, আয়াত ১৯)

মন্তব্য: বলতেই পারেন এরকম কথা। তখনকার সময় মানুষ তো আর জানত না আকাশ সম্পর্কে।  আকাশ বিদীর্ণ হয়ে তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে কিয়ামতের সময়, হাহ হা।  



তিনি খুঁটি ব্যতীত আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছেন; তোমরা তা দেখছ। (সুরা লোকমান ৩১, আয়াত ১০)

মন্তব্য: বাহ, খুটি ছাড়াই! তিনি কত যে মহান! এ থেকে বোঝা যায় আল্লাপাক আকাশকে কঠিন পদার্থ যা ধরে রাখতে হলে খুটি আবশ্যক বলে মনে করতেন।

আল্লাহ, যিনি উর্ধ্বদেশে স্থাপন করেছেন আকাশমন্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ। অতঃপর তিনি সিংহাসনের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন।( সুরা আর রাদ ১৩,    আয়াত ২)

একটু ব্যাখ্যা করি। আয়াতটি বেশ সরল। খালাক্বাস সামাওয়াতি বিগাইরি আমাদ। আমাদ মানে হচ্ছে পিলার। তাই বিগাইরি আমাদ মানে দাঁড়াল Ôপিলার ব্যতীত। অর্থাৎ একদম সরল- আল্লাহ পিলার ছাড়াই আকাশ বানিয়েছেন। বলেন, সুভানাল্লাহ, হাহ হা!


যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাউকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান। (সুরা বাকারা ২, আয়াত ২২)

মন্তব্য: আকাশ হচ্ছে ছাদ আর ভূমি বিছানা! কী অপূর্ব উপমা!  দোহাই আপনাদের, আল্লার সাথে কাউকে শরিক করবেন না, এতে তাঁর পবিত্রতা ধ্বসে পড়বে।


যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে, যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে, এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে, তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে। হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল? (সুরা আল-ইনফিতার, ৮২ আয়াত ১-৬)

মন্তব্য: কিয়ামত নামক কিছু যদি কখনো সংঘটিত হত তবে এর কথা জানিয়ে মানুষকে আগ থেকে সন্ত্রস্থ করে তোলার মানে কী? সেই মুহাম্মদের সময়ও কিয়ামত হয়ে যাবে এই ভয়ে অনেকে মসজিদে দৌড়াত সূর্য-গ্রহণের সময়। এসবের একটাই অর্থ, ধর্মান্ধ মানুষদের ভয় দেখিয়ে বশ করে ফায়দা লোটা।



যখন আকাশের পরদা সরিয়ে ফেলা হবে৷ (সুরা তাকভির ৮১, আয়াত ১১)  

তাফহিমুল কোরানের তফসির:  অর্থাৎ এখন যা কিছু দৃষ্টির অগোচরে রয়ে গেছে তা সব সুস্পষ্ট হয়ে ভেসে উঠবে ৷ এখন তো আকাশ কেবল শূন্যই দেখা যায় এবং তার মধ্যে দেখা যায় মেঘ , ধুলিকনা, চন্দ্র, সূর্য ও গ্রহ তারকা ৷ কিন্তু সেদিন আল্লাহর সার্বভৌম কর্তৃত্ব তার নিজস্ব ও আসল রূপে আবরণ মুক্ত হয়ে সবার সামনে প্রকাশ হয়ে পড়বে৷

মন্তব্য: মানে হচ্ছে আকশের বাধার কারণে আমাদের সামনে মহান আল্যার সার্বভৌম কর্তৃত্ব তার নিজস্ব ও আসল রূপে হাজির হতে পারছে না। হাহ হাহ হা!  এ সুরা পুরোটা পড়ে নিয়েন, পাবেন এক নির্মল বিনোদন। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লা পাক কেবল হুমকিই দিচ্ছেন তিনি কিয়ামতের সময় হেন করবেন, তেন করবেন। যেমন, পর্বত চলমান করে দিবেন, সূর্য  নিষ্প্রভ করে দিবেন, সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলবেন, তারকাদের বিক্ষিপ্ত করে দিবেন। মজার বিষয় হচ্ছে  সূর্যের মৃত্যুর অনেক আগেই পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।  আর সূর্যের মৃত্যু মহাবিশ্বের জন্য বড় কোনো ঘটনা হবেনা।


সেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে। সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে ও বিক্ষিপ্ত হবে। (সুরা হাক্কাহ ৬৯, আয়াত ১৫-১৬)

মন্তব্য: হাহ হাহ হা! কী মহান ননসেন্স!

আপনাদের কী মনে হয় আকাশ নিয়ে আল্লা পাকের নামে বুজরুকির এখানেই শেষ? না, আরো বিনোদন নেন

সুরা ৪১, হা-মীম আস সাজদাহ এর দুটি আয়াত

আয়াত ১১: তার পর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেছেন যা সেই সময় কেবল ধূয়া ছিল৷ তিনি আসমান ও যমীনকে বললেন : ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক তোমরা অস্তিত্ব ধারন করো৷ উভয়ে বললো : আমরা অনুগতদের মতই অস্তিত্ব গ্রহণ করলাম৷

আয়াত ১২: তারপর তিনি দু
দিনের মধ্যে সাত আসমান বানালেন এবং প্রত্যেক আসমানে তিনি তাঁর বিধান অহী করলেন৷ আর পৃথিবীর আসমানকে আমি উজ্জ্বল প্রদীপ দিয়ে সজ্জিত করলাম এবং ভালভাবে সুরক্ষিত করে দিলাম৷ এসবই এক মহা পরাক্রমশালী জ্ঞানী সত্তার পরিকল্পনা৷ 

মন্তব্য: কী সাংঘাতিক! এগুলো হচ্ছে বিজ্ঞানময় আয়াত। আয়াত ১১ তে কী বলা হচ্ছে পড়ে আরেকবার হাসেন। আয়াত ১২ তে আসুন। বলা হচ্ছে, ফাক্বাদ্বা-হুন্না সাবআ সামা-ওয়াতি ফি ইয়াওমাইন। ফাক্বাদ্বা-হুন্না মানে তারপর বানালেন, সাবআ সামা-ওয়াতি মানে সাত আকাশ (সাবআ মানে সাত আর সামা-ওয়াতি মানে আকাশগুলো),ফি ইয়াওমাইন মানে দুই দিনের মধ্যে।  সুরা তালাক নামে একটি সুরা আছে, নম্বর ৬৫। সুরার নামটি খেয়াল করেন।এ সুরার ১২ নম্বর আয়াতে ৩য় শ্রেণীর বাচ্চাদের উপযোগী একটি আয়াত রচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে আল্লাহুল্লাজি খালাক্বা সাব সামাওয়াতি অর্থ  সেই একই - আল্লাহ সেই সত্তা যিনি সাত আসমান বানিয়েছেন। যেন একখান বিশাল কাজ করেছেন!  এরকম সহজ-সরল-গাঁজাখুরি আয়াতকে আল্লার বাণী বলে বিশ্বাস করতে হলে সেইরাম লেভেলের ইমানদার হতে হবে বৈকী!

তারপর আসুন সুরা মুলকে, এর নম্বর ৬৭। এ সুরার ৩ থেকে ৫ নম্বর আয়াত দিচ্ছি

৩) তিনিই স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাতটি আসমান তৈরী করেছেন৷ তুমি রহমানের সৃষ্টকর্মে কোন প্রকার অসংগতি দেখতে পাবে না৷ আবার চোখ ফিরিয়ে দেখ, কোন ক্রটি  দেখতে পাচ্ছ কি?  

৪) তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ, তোমার দৃষ্টি ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে৷  

৫) আমি তোমাদের কাছের বা সর্বনিম্ন আসমানকে তারকা বা  প্রদীপমালায় সজ্জিত করেছি৷  আর সেগুলোকে শয়তানদের মেরে তাড়ানোর উপকরণ বানিয়ে দিয়েছি৷  এসব শয়তানের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি৷     

এরকম আয়াত দিয়ে, হুমকি-ধামকি দিয়ে, রূপকথার গল্প শুনিয়ে কোরানে আয়াতের পর আয়াত এসেছে। এগুলোর উপযোগিতা কী? যে গ্রন্থ কিয়ামত পর্যন্ত মানুষকে পথ দেখাবে সে গ্রন্থের এই দশা কেন? আকাশ নিয়ে আল্লাপাকের এত বাচালতার রহস্য কী? একই আয়াত বার বার বলার মানে কী? অনেকে আকাশ বলতে বায়ুমণ্ডলকে বুঝিয়ে ইমান রক্ষা করতে চান। এখন সুরা মুলকের ৫ম আয়াত পড়ে বলেন, আল্লাহ কি বায়ুমণ্ডলকে তারকা বা  প্রদীপমালায় সজ্জিত করেছেন? তারকা দিয়ে শয়তানকে কিভাবে আঘাত করা হয়? আসলে আমরা তারা খসা নামক একটি ঘটনা দেখি যেখানে মনে হয় একটি তারকা হঠাৎ দ্রুত চলতে শুরু করেছে। এগুলো মোটেই তারকা নয় বরং উল্কা মাত্র যা বায়ুর সংস্পর্শে জ্বলে উঠে। ছোটবেলায় উল্কাপাতের ঘটনাকে শয়তানের উপর তারা নিক্ষেপ বলে ওয়াজ করতে শোনতাম হুজুরদের। কোরান থেকে এসব বিনোদনদায়ী ঐশী জ্ঞান পেয়েছেন  তারা। আর সুরা মুলকের ৩য় আয়াতে বলা হয়েছে আকাশে কোনো খুঁত নাই। বায়ুমণ্ডলকে আকাশ বলে ধরলে ওজন স্তরে বিশাল এক ফাঁকের সৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।  এর ব্যাখ্যা কী দিবেন? উক্ত ৫ম আয়াতে শয়তানকে জ্বলন্ত আগুনে শাস্তি দেয়ার উদ্ভট পৈশাচিক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা। কিন্তু শয়তান তো জীন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত যাদেরকে নাকি আগুন দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাহলে ওরা আগুনে পুড়বে কিভাবে? মানে মানুষের দুর্বল চিন্তা দিয়ে তৈরী আয়াত আর কী!  

যারা মুমিন-মুসলমান তাদের জন্য একটা নসিহত। যেমন ধরেন এসব আয়াত কোরানে নাই। এখন যদি কেউ দাবি করত এগুলো কোরানে আছে তাহলে এমন বাজে কথাবার্তা কোরানে আছে দাবি করার অপরাধে আপনারা কি কল্লা কাটতে আসতেন না? একটু নিজেকে জিজ্ঞেস করেন। এসব অদরকারী, আজগুবি কথাবার্তায় কী ফায়দাটা হয় বলেন? যেসব কথা কিছুমাত্র ঘিলুসম্পন্ন একজন মানুষও বলবেনা সেসব কথা কি বলবে এমন কেউ যে নাকি এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা?

এরকম অসংখ্য বিনোদনের এক মহান ভাণ্ডার কোরানে করিম। বেশি করে কোরান পড়েন, অর্থ সহ, তফসির সহ এবং বিনোদন লাভ করেন।

৬টি মন্তব্য:

  1. মাশাল্লা বেহুলার ভেলা কুব বালো পুস্ট আগায়া যান হ!!!

    উত্তরমুছুন
  2. "যদি বায়ুমণ্ডল না থাকত তবে আকাশকে কালো দেখা যেত।" -শুরুতেই দারুন একটা জিনিস জানলাম।
    এগিয়া যাই দেখি আর কি চোখে পড়ে। - TTSG.

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. একটু জানান এই লাইনে ভুল কি? আকাশ নীল দেখায় কেন? আর কালো কখন দেখায়?

      মুছুন
  3. হাস্যকোরান: "২২:৬৫- তিনি - তুমি কি দেখ না যে, -- তিনি আকাশ স্থির রাখেন, যাতে তাঁর আদেশ ব্যতীত ভূপৃষ্ঠে পতিত না হয়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি করুণাশীল, দয়াবান।"
    -TruthToSaveGeneration

    উত্তরমুছুন
  4. বিজ্ঞানের যুক্তি গুলো এড্য করুন, পোস্ট গুলো আরও ভাল হবে

    উত্তরমুছুন