আমাদের
পাড়ায় বেয়াদপ টাইপের ব্যাপক পড়ুয়া এক বড় ভাই ছিলেন, নাম জামাল। আমাকে বেশ আদর
করতেন। হুজুরদের সাথে যখন তর্ক করতেন তখন মনে হত তিনি কোরান, হাদিস আর তফসিরে
পণ্ডিত। তবে তাঁর একটা সমস্যা ছিল। কখনো নামাজ পড়তেন না, রোজা রাখতেন না।
একদিন
বড় হুজুরকে সঙ্গে করে সবাই দল বেঁধে উনাকে বোঝাতে গেল।
হুজুর
বললেন, তুমি কি একদিনও আর নামাজে আসবে না, এমনকি জুম্মার নামাজ আর ইদের নামাজেও না?
তিনি
নির্বিকারভাবে জবাব দিলেন, না!
হুজুর
অত্যন্ত কর্কশ গলায় জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আল্লাকে ভয় করো না?
জালাল
ভাই বললেন, আল্লা কি বাঘ-ভল্লুক যে তারে ভয় পেতে হবে?
এ
লাইনে কাজ হবেনা দেখে এক মুরুব্বি এগিয়ে এলেন। বললেন, বাবা, দেখো, তুমি যে এরকম
করতাছো আল্লা কিন্তু বেজার হবে।
জালাল
ভাই বললেন, এবার মন দিয়ে শোনেন। বেজার হলে আল্লার কোনো সমস্যা হয়না। তিনি তো আর
আমাদের মত মানুষ না যে রাগ করলে, মেজাজ খারাপ হলে মাথা ধরে। তিনি বরং রেগে গেলে
মজা পান।
সবাই
এক সাথে নাউজুবিল্লাহ পড়লেন।
জালাল
ভাই বললেন, শোনেন। আপনারা বিশ্বাস করেন, এক সময় কিছুই ছিল না। তারপর আল্লাপাক
সবকিছু তৈরি করেছেন। আর আল্লায় সব কিছু জানেন, ভবিষ্যতে কী হবে। তাহলে আল্লার যদি
বেজার হতে সমস্যা থাকত তবে তিনি আমাকে এবং নাফরমানদের তৈরি করতেন না। এবার আপনারা
সবাই আসেন।
সবাই
নিচের দিকে তাকিয়ে মৃদু পায়ে চলে গেলেন।
যাই
হোক, এখন কোরানের মহান বাণী দেখি
আল্লাহকে ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনো যে, আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন। (সুরা বাকারা-২, আয়াত ১৯৬)
মন্তব্য: না,
আল্লাহ বাঘভল্লুক নন, তিনি অনেক অনেক মারাত্মক। তিনি এতই মহান যে তার অস্তিত্বের
নিশ্চিত কোনো প্রমাণ না দিলেও তার অস্তিত্বে সংশয়ের কারণে বা ভুল ঈশ্বরে বিশ্বাসের
কারণে বা তাকে অবিশ্বাস করার অপরাধে আগুনে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে থাকবেন
অনন্তকাল। তাকে ভয় না পেয়ে উপায় কী? কিন্তু এই ভয় পেয়ে আর সাথে জান্নাতের
লালসায় আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে জীবন যদি ব্যয় করি তাতে
আল্লাহপাকের লাভখানা কোথায়, বা তিনি কোন দিক থেকে স্বার্থক? আর এই মানসিকতার
উৎস কী? এটা নিয়ে ভাবি, গভীরভাবে ভেবে দেখি এই ‘আল্লাহ’ কি কোনো অশুভ
প্রতারকের দুষ্ট চিন্তার ফল কীনা।
মাত্র
দুই দশক আগেও বাচ্চাদের পিটিয়ে শাসন করা হত পরিবারে, স্কুলে সর্বত্র। মনে করা হত
শিশুদের এভাবে গাধার মত পেটালে, ভয়ের মধ্যে রাখলে মানুষ হয়ে যাবে। ফলাফল এদেশে এত
কোটি মানুষের মধ্যেও মানুষ নাই অথচ মাত্র পঞ্চাশ লক্ষ মানুষের জাতির মধ্যেও আপনি
অসংখ্য মানুষ পেতে পারেন। সুইডেনের জনসংখ্যা মাত্র এক কোটি। এই এক কোটি মানুষ মিলে
একটা সভ্য রাষ্ট্র গড়ে তুলেছে, বিশ্বের সেরা অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে,
গবেষণা ক্ষেত্রে তাদের অবদান ব্যাপক।
পেটালে শিশুদের কোমল দেহের অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়,
মানসিকভাবেও তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে, লেখাপড়ায় উৎসাহ হ্রাস পায়। কিন্তু আমাদের
মুরব্বি, শিক্ষকরা এগুলো বুঝতে অনেক সময় নিয়েছেন।
আজ
থেকে মাত্র দুই দশক আগের এই অবস্থা। এভাবে মানুষকে ভয়ের মধ্যে রাখতে পারলে তাদের
মানুষ করা সম্ভব বলে অনেকেই বিশ্বাস করতেন। আপনি আসলেই যদি একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন
তবে অন্তত কিছুদিনের জন্য মানুষকে
নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য, মানুষের সঠিক বিকাশের ক্ষেত্রে
সেটা প্রতিবন্ধক, বিপদজনক ও সম্পূর্ণ অকার্যকর।
মানুষ
ভয়ের মধ্যে ছিল। সবাই ভয় পেত রাজাকে, আমির-উমরাহদের, জমিদারদের, ক্ষমতাবানদের,
ধনীদের, প্রতাপশালীদের, গোত্র-প্রধানদের, মুরব্বিদের, মা-বাবাদের, শিক্ষকদের, স্ত্রীরা স্বামীদের। ভয় ছিল হিংস্র পশুর, মহামারীর, প্রাকৃতিক
দুর্যোগের যেগুলোকে অভিশাপ বা গজব বলে বিশ্বাস করতেন অনেকেই। একটা সাধারণ রোগ
কলেরা-ডায়রিয়ায় গ্রাম থেকে গ্রাম উজাড় হইয়ে যেত। স্লোগানে
শোনতাম - যার হয় যক্ষা, তার নেই রক্ষা। যখন মানুষ সভ্য হতে শুরু করল, বিজ্ঞান
অগ্রগতি সাধন করল তখন থেকেই এই ভয়ের রাজত্ব ধ্বসে পড়তে শুরু করল। বর্তমান সময়ে
কোনো সভ্য মানুষকে কেউ ভয় পায়না, তিনি রাষ্ট্রপতি হোক অথবা সেনাপ্রধান হোক। প্রকৃতিকে মানুষ বশ বানিয়েছে, তাই সে ক্ষেত্রেও
ভয়ের পরিমাণ কমেছে।
কোরান
যখন নাজিল হয়েছিল তখন মানুষ নি:সন্দেহে ভয়ের রাজত্বের মধ্যে ছিল। তাই যখন বলা
হয়েছিল, ‘আল্লাকে ভয় কর’ তখন সেটার পজিটিভ
একটা অর্থ বের করা তখন সম্ভব ছিল। এখন কোনোকিছুকে ভয় পাওয়ার জন্য কাউকে আহবান
করাকে সরাসরি আপত্তিকর বলে ধরে নেয়া হবে।
আর
ভয় কেন পাবেন আল্লাকে?
কারণ তিনি মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে পারেন। তাঁর ক্ষমতা বিশাল
ইত্যাদি। এসব কারণে আল্লাকে ভয় পেতেই পাবে। কী উদ্ভট! যিনি মানুষকে আগুনে পোড়ানোর
শাস্তি দিয়ে উপাসনা চান, স্তুতি চান তিনি মহান হওয়া তো দূরের কথা, তিনি অত্যন্ত মন্দ
কোনো সত্তা। অর্থাৎ মোটকথা আল্লাহ বলতে কিছু নাই, তাকে তৈরি করেছে নিচু মানসিকতা
সম্পন্ন কিছু ইতর। আল্লাহর চরিত্রকে
নিজের পাশবিক চরিত্র, অশুভ চিন্তা দ্বারা চিত্রিত করেছে তারা।
ইসলামে
আল্লাহকে ভয় করে মেনে চলাকে এক গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ গুণ বলে ধরা হয়, একে ‘তাক্বওয়া’ বলে আর যারা তা করেন তাদের ‘মুত্তাক্বী’ বলা হয়। আমরা তাদের পরহেজগার
বলে থাকি।
এবার
আরো কিছু বিনোদনের দিকে যাই। নিচের আয়াত লক্ষ্য করেন
পেছনের দিক দিয়ে ঘরে প্রবেশ করার মধ্যে কোন নেকী বা কল্যাণ নেই। অবশ্য নেকী হল আল্লাহকে ভয় করার মধ্যে। আর তোমরা ঘরে প্রবেশ কর দরজা দিয়ে এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা নিজেদের বাসনায় কৃতকার্য হতে পার। (সুরা বাকারা-২, আয়াত ১৮৯)
মন্তব্য: মানে জানালা
বা ছাদ দিয়ে নয়, আপনি দরজা দিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তাঁর
বান্দাদের মতই আহম্মক। যাই হোক, এ আয়াতে দরজা বলতে ঘরের সামনের দরজাকে ধরে নিলাম।
কিন্তু কথা হল, এরকম আহম্মকি উপদেশ আল্লাপাক মানুষকে দিচ্ছেন না গাধাকে দিচ্ছেন?
অজস্র জরুরী বিষয় থাকতে ঘরে সামনের না পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকবেন,
রসুল কেন পালক পুত্রের স্ত্রী বিয়ে করবেন(সূরা
আহযাব, ৩৩:৩৭) ও চার বিয়ের অধিক বিয়েতে রসুলের সমস্যা
নাই(সূরা আহযাব, ৩৩:৫০) এসব ব্যাপার
নিয়ে আল্লাহপাককে ব্যস্ত হতে দেখলে হাসি পায়, বড্ড হাসি পায়।
এখন
এই ভয় পাওয়ার আহবান আল্লাহ কোরানে কতবার করেছেন দেখেন
হে বনী-ইসরাঈলগণ, তোমরা স্মরণ কর আমার সে অনুগ্রহ যা আমি তোমাদের প্রতি করেছি এবং তোমরা পূরণ কর আমার সাথে কৃত প্রতিজ্ঞা, তাহলে আমি তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করব। আর ভয় কর আমাকেই।(সুরা বাকারা-২, আয়াত ৪০)
মন্তব্য: আল্লাহপাকের কথাবার্তা লক্ষ্য করেন, বনী-ইসরাঈলীদের সাথে কী সুন্দর দেন-দরবার। আল্লাহ মনয় একটা চুক্তি করতে চান এদের সাথে। হাহ হা। এর পরবর্তী আয়াতেও বলা হচ্ছে, ‘খালি আমাকেই ডরাও’।
অবশ্য যারা অবিবেচক, তাদের কথা আলাদা। কাজেই তাদের আপত্তিতে ভীত হয়ো না। আমাকেই ভয় কর। (সুরা বাকারা-২, আয়াত ১৫০)
মন্তব্য: মানে অবিবেচকদের আপত্তিতে ভয় না পেয়ে পরম বিবেচক, মহান আল্লাহপাককে ভয় পান। আসুন, আমরা সবাই একসাথে মিলেমিশে ভীত হই, সুবানাল্লাহ!
বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর জবর দস্তি করেছে, তোমরা তাদের উপর জবরদস্তি কর, যেমন জবরদস্তি তারা করেছে তোমাদের উপর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন।(সুরা বাকারা-২, আয়াত ১৯৪)
এর দুই আয়াত পরে বলা হচ্ছে,
আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনো যে, আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন। (সুরা বাকারা-২, আয়াত ১৯৬)
এর পরের আয়াত,
নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম পাথেয় হচ্ছে আল্লাহর ভয়। আর আমাকে ভয় করতে থাক, হে বুদ্ধিমানগন! (সুরা বাকারা-২, আয়াত ১৯৭)
মন্তব্য: সুরা বাকারার উক্ত ১৯৪ নম্বর আয়াতটি অত্যন্ত আপত্তিকর। যেভাবে প্রতিশোধ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে তাতে সমাজ যে উচ্ছন্নে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কোনো মহান মানুষও এরকম আহবান জানাতে পারেনা। সমাজে বিচার ব্যবস্থা আছে, আদালত আছে। এখন কেউ জবরদস্তি করলে তাঁর উপর যদি জবরদস্তি করা শুরু করতে হয় তবে এর ফল কী হবে? যেমন আমার মনে হল করিম আমার উপর জবরদস্তি করেছেন তাই আমাকেও তাঁর উপর জবরদস্তি করতে হবে। তো আমি সেটা করতে গিয়ে যা করলাম তাকে করিম মারাত্মক জবরদস্তি বলে মনে করল। ফলে তারা গোত্র-গোষ্ঠী নিয়ে কোরানের আহবানে সাড়া দিয়ে ঝাপিয়ে পড়ল আমাদের উপর। আল্লাহপাকের নৈতিকতার ও কমন সেন্সের কোনো ভালাই নাই, মানবিকতার সামান্য বুঝও নাই। অনেকে বলবেন এ আয়াত এক বিশেষ উপলক্ষে এসেছে। কিন্তু আল্লাহ পাক কোনো উপলক্ষেই নৈতিকতা ও কাণ্ডজ্ঞানহীন হতে পারেন না। এছাড়া কোরানের আয়াতগুলোর হুকুম কিয়ামত পর্যন্ত নাকি জারি থাকবে। সকল আয়াতই কোনো না কোনো উপলক্ষেই এসেছে, এভাবে উপলক্ষের অজুহাত দিলে ধর্মটাই ভেস্তে যাবে বৈকি! পরের আয়াত অর্থাৎ ১৯৬ নম্বর আয়াতে তো হুমকি দেয়া হচ্ছে, আল্লার আজাব খুব কঠিন বলে তাকে ভয় পেতে হবে। কী আজব!
যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা’আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। (সুরা হাশর-৫৯, আয়াত ২১)
মন্তব্য: এই অদ্ভূত
আয়াতখানির মানে কী ভাবেন। কোরান হচ্ছে একটি গ্রন্থ, একে পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করলে
পাহাড় ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে যাবে কেন? কোরানে কী কোনো কুদরতি খুন্তি
লাগানো আছে? এসব আয়াত দিয়ে হয় কী? কেন
আল্লাপাকের মধ্যে এই ভাবনা আসবে যে তিনি কোরান পাহাড়ের উপর নাজিল করতে পারতেন?
মানুষের হাতে বর্তমানে যেসব নিউক্লিয়ার বোম আছে সেগুলো দিয়ে শুধু
পাহাড় নয়, গোটা পৃথিবীকে কয়েকবার ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব। আচ্ছা, আল্লাহপাকের এত গরম
কোরান তিনি পাহাড়ে নাজিল না করে সাগরের শীতল পানিতে নাজিল করে দিলে কেমন হতে পারত?
যে গ্রন্থ মানুষের জন্য পথ প্রদর্শক হবে সে গ্রন্থকে পাহাড়ের মধ্যে
নাজিল করার ভাবনা আসে কোত্থেকে?
বেহেশতের
লোভ আর দোজখের ভয়াবহ আযাবের ভয় দেখানোর পাশাপাশি মুহাম্মদের আরেকটি বদ-অভ্যাস ছিল। সেটা
ছিল কিয়ামতের ভয় দেখানো। সে সময় সূর্যগ্রহণ হলেও অনেকেই কিয়ামত হয়ে যাচ্ছে
বলে ভীত হয়ে পড়ত। মুহাম্মদ কিয়ামতের ভয় দেখিয়ে অসংখ্য আয়াত নিয়ে এসেছেন যেসব
আয়াতের কোনো মানেই নেই। কিয়ামত সংগঠনের সময়ের মানুষ ছাড়া এই যে হাজার বছর ধরে
অসংখ্য মানুষ এই ভয়ে প্রকম্পিত এর কী প্রয়োজন ছিল? আর
বিজ্ঞান বলছে কিয়ামত কোরানের বিবরণ অনুযায়ী হবেনা। এক সাথে সব কিছু ধ্বংস হয়ে পড়বে
এমনটি অসম্ভব। পৃথিবী সূর্যের অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে যাবে। মানুষ হয়ত তখন সৌরজগতের
বাইরে অন্য গ্রহে পাড়ি জমাবে। যাই হোক, সুরা হজ্জ্বের প্রথম দুই আয়াত দেখুন –
হে লোক সকল ! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার।যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে তুমি দেখবে মাতাল; অথচ তারা মাতাল নয় বস্তুতঃ আল্লাহর আযাব সুকঠিন।(সুরা হজ্জ্ব-২২, আয়াত ১ ও ২)
এরকম
অসংখ্য আয়াত আছে যেখানে আল্লাহকে ভয় করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। আল্লাহকে ভয় করার নির্দেশ একবার দিলে সমস্যা কী
ছিল? এতোগুলা আয়াত অহেতুক নষ্ট। পুরো কোরানে এভাবে একই আয়াত বারবার বলা হয়েছে
যার কোনো মানেই নেই, কোনো উপযোগিতা নেই। নামাজ কায়েম করার নির্দেশই দেয়া হয়েছে মোটামুটি
শতবার। কী অপচয়! কী নির্বুদ্ধিতা! কী
উদ্ভট!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন