শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৭

ইমানুলের ধর্মকথা- ১৫

পাঠিয়েছেন ইমানুল হক


আল্লার আদেসে বিষ্টিত বিজি, দুই তিন দিন দরে জ্বরে বুইগতেচি। বিচানা চারি উটতে ফাইচ্চি না। সহালে ফাডাইচিলাম গেদ্দু মিয়ারে আমাগের বদরু মলানার (মোহাম্মদ মাওলানা বদরুদ্দীন) কাচে ফরা ফানি আইন্তে। কিন্তু ফানি ফরা কাই, জ্বর কমনের কুনো বাবই দেইক্তেসিনা। আল্লা তুমি আমাক কেন এত কডিন পরিক্কা নিচ্চ আল্লা! ও মাবুত আমি যে আর সইয্য কইত্তে ফাইত্তেসি না। আমি কম্বলের তলে বইসে জ্বরে কুকাইচ্চি। আর সুদু মলানার দেওয়া ফরা ফানি কাইচ্চি। ফাসে বসে হালিমা ফানি ডাইলচে আর ডাইলচে মজ্জিনা আর জরিনা বইস্যা কান্নাকাডি কইত্তেসে। আমি বাইবতেচি এই কয় দিন জরে ফরি বিবিদের আদর সোহাগ কইত্তে ফাচ্চি না। এর মদ্দি গরে ডুকল রইচ মুন্সি আর সাত দিকি আবার মেম্বারের ফুলাক নি আইসচে। উনাদের দেকি বিবিরা আড়ালে চলি গেল। রইচ মুন্সি আমার ফাসে এসে বইসলেন আর মেম্বারে ফুলা এসে আমার মাতায় আত দিলো। মেম্বরের ফুলা আমারে কয়, "চাচা, আপনের সরিলের অবস্তা দেহি বালা না। জ্বর ত সারা সরিলে চইল্যা গেসে, মুনকয় ১০৪ ডিগ্রির কম না। রইচ চাচা উনাক তাত্তারি দরেন। গঞ্জের ডাক্তারের দুকানে নি যাই।" আমি বইল্যাম, "না বাবা আমি কুতাও যামু না। আল্লা আমাক পরিক্কা নিচ্চে বাবা। আদীসে আচে, আবু জামরাহ জুবাই অইতে বন্যিত, তিনি বলেন, আমি মক্কায় ইবনে আব্বাস এর নিকট বইসতাম। একদিন আমি জ্বরে আক্রান্ত অইলাম, তকন ইবনে আব্বাস বলিলেন, তুমার সরীলের জ্বর যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর। কেননা হুযুর বলিয়াচেন, জ্বর দোজখের তেজ অইতেই অইয়া থাহে। তাই তা পানি দ্বারা কিংবা বলিয়াচেন যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর। সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৪৮৩। আয়শা অইতে বন্যিত,জ্বরের তাপ দোজখের তাপ অইতেই আসে, তাই তা পানি দ্বারা ঠান্ডা করতে অয়। সহি বুখারি হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৪৮৫। ইবনে ওমর অইতে বন্যিত, হুযুর বলিয়াচেন, জ্বরের তাপ আসে দোজখের তাপ অইতে। তাই তা পানি দিয়ে প্রশমন কর। সহি বুখারী হাদিস , বই-৫৪, হাদিস-৪৮৬।"

অবশেসে দুইজন জোর করি দইরা বাইর করি নি আইলো। ব্যান ঠিক কইল্য গঞ্জের ডাক্তারকানার যাওয়ার লাই। নি গেল গঞ্জের পার্মেসি বিষনু দাওয়াকানায়। এই মালু কাপের বিষনু ডাইকক্তাররেক আমি একদম সইয্য কইরতেফারি না। এই সুদির ফুত আল্লার ফরিক্কার বেগ্যাত গটায়। আমি জাওয়ার ফর কি একডা কাডি দিয়ে মেপে কয় আমার ১০৫ ডিগ্রি জ্বর। তারফর আমাক জিগায়, "বিষ্টিত বিচ্চেন্নি?" আমি উত্তর দিলাম, "অ, বিজিচিলাম। তাফর তেকেই জ্বরে বাচিনা। ফরা ফানি কেয়েসি, ফানি ডাইলচি। কিন্তু কাজ অইচ্চে না।"

উত্তরে কইলো, " দেকেন চাচা, বিষ্টির ফানি টান্ডা, তাই হডাৎ করে গায়ে টান্ডা ফানি পইল্যে সরীলের তাপমাত্রার বড় ফরিবত্যন আসে, যেডা অইত্যান্ত কম সুময়ের মইদ্দে নার্বাস সিস্টেম এর কাচ একডা ইলেক্ট্রিক শক ’য়ের মতন। ফলে উত্তেজনায় সরীলের ছুড ছুড শিরাগুলা বন্দ অই যায় আর তাপমাত্রা কমানু বা বের করে দেয়া অসম্ভব অই ফরে। সরীলের বিতর তাপমাত্রা আটকে তেকে তার বহিফ্রকাশ জ্বরের মাইদ্দমে ঘডায়। তাই বয়ের কিচু নাই, প্যারাসিটামল কাইলেই টিক অই যাইবো। কিন্তু গায়ে কুনু গরম চাদর বা কম্বল জরাইয়েন না। তালি ফরে আরো জ্বর বারি যাইবো।

ডাইকতারের কতা হুনি কুব রাগ অইল, আল্লার ইবাদতের চেয়ে বড় অসুদ কিচু আচে নিকি!! কুন মত বিদায় জানাই দুকান বের অই আইসলাম। রাতের মদ্দেই দিকি মালুর দেয়া অসুদে আমার জ্বর বালা অই গেসে। বুজলাম না কিবাবে কি অইলো। মালোয়ানেরা ত আল্লা-কুদার নাম লয় না। তালিফরে হ্যার অসুদ কাই কিবাবে বালা অই গেলাম? এই কতা ভাইবতেই আমার শক্ত ঈমানে ক্যামুন যানি একডা আলকা দাক্কা লাইগলো!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন